"গীটারের অ আ ক খ" বইটির আমার কথা থেকে নেয়াঃ প্রিয় শিক্ষার্থী, বইটি পড়েই আপনি গীটার বাজানাে সম্পূর্ণ শিখে যাবেন এমন দাবী করা অন্যায় হবে। তবে, যে সব শিক্ষার্থী প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে গীটারকে ভালবেসে গীটার ভালভাবে বাজাতে চান এবং যারা পদ্ধতিগত শিক্ষায় আগ্রহী অথচ সঙ্গীতের ব্যাকরণ সম্বন্ধে প্রয়ােজনীয় জ্ঞানের অভাব বােধ করেন, এ বই তাদের জন্য একটি সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। আমার বেশ কয়েক বছরের শিক্ষক জীবনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে, অধিকাংশ শিক্ষার্থীই সঙ্গীতের ব্যাকরণগত দিকগুলাের ব্যাপারে বেশ উদাসীন অথচ তারা কল্পনাই করতে পারেন না যে সঙ্গীতের ব্যাকরণ তাদের গীটার বাজানােকে কতটা সহজ করে দিতে পারে। ব্যাকরণ মানেই কিছু নিয়ম। প্রিয় শিক্ষার্থী, চারপাশে দেখুন, সুন্দর যা কিছু,সবই একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে। তাই আমি বলব, নিজেকে একজন ভাল ও স্বাবলখী গীটার শিল্পী হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে এ বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় আপনাকে ভালভাবে পড়তে এবং বুঝতে হবে ও নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। অনেক শিক্ষার্থীই আছেন যারা পাশ্চাত্যের অনেক বিখ্যাত গীটার শিল্পীদের লেখা বই সংগ্রহে রেখেছেন অথচ যথেষ্ট ইংরেজী জ্ঞান ও পাশ্চাত্য সঙ্গীতের ব্যাকরণ সম্পর্কে ধারণা থাকায় আন্তর্জাতিক স্বরলিপি পদ্ধতিতে (Standard Notation) লেখা বইগুলাের সাংকেতিক চিহ্নগুলাের দিকে তাকিয়ে হতাশ বােধ করেন। এজন্যই এ বইতে আন্তর্জাতিক স্বরলিপি পদ্ধতি বা স্ট্যান্ডার্ড নােটেশনের বিভিন্ন বিষয় আলােচনা করা হয়েছে। শুধু স্বরলিপি পদ্ধতিই নয়, পাশ্চাত্য সঙ্গীতের ব্যাকরণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত গীটার বাজানাের সব প্রাথমিক অথচ গুরুত্বপূর্ণ ধারণাই এ বইতে সংযােজন করার চেষ্টা করেছি। তাই, এ বইটি যারা সঠিকভাবে অনুসরণ করবেন তারা ইংরেজীতে লেখা বইগুলাের অনেক বিষয় ভালভাবে বুঝতে পারবেন। এছাড়া এতে উপমহাদেশীয় সঙ্গীত পদ্ধতি এবং পাশ্চাত্য সঙ্গীত পদ্ধতির যৌথ উপস্থাপনায় স্কেল, ইন্টারভ্যাল, কর্ড, ট্রায়াড প্রভৃতি বিষয় বােঝানাের চেষ্টা করেছি। যারা কণ্ঠ সঙ্গীত, কী-বাের্ডচর্চা করেন অথচ সঙ্গীতের ব্যাকরণ সম্বন্ধে প্রয়ােজনীয় জ্ঞানের অভাব বােধ করেন এই বইটি তাদের জন্যও বেশ সহায়ক হবে।