"হস্তরেখাবিদ্যা ও চিকিৎসাশাস্ত্র" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: মানবজাতির চরিত্র অধ্যয়নের জন্য বিজ্ঞানের যত রকম শাখার সৃষ্টি হয়েছে, তন্মধ্যে হস্তরেখা বিদ্যার দাবী সর্বাধিক। এ বিদ্যা আলােচনা করে কেবল মানুষের চারিত্রিক ত্রুটিসমূহ খুঁজে বের করা যায় না, উপরন্তু কি প্রক্রিয়ায় সে-সব দুর্বলতাকে জয় করা যায়, তারও নির্দেশ পাওয়া যায়। বস্তুত এ বিদ্যাটি মানব-চরিত্রের দর্পণ-স্বরূপ। আজকের যুগে বিংশ শতাব্দীতে এগিয়ে এসেছেন অনেক ডাক্তার, সাইকোলজিস্ট এবং সাইকিয়াট্রিক। তারা হস্তরেখা, হাতের গড়ন, নখ ও অঙ্গুলাদি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। তারা চাইছেন, পামিস্ট্রি থেকে অর্থাৎ করতল অধ্যয়ন বিদ্যা থেকে তারা কিছু নতুনতর মাল-মশলা পেতে পারেন কিনা? আর এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে তারা এনেছেন একটা যুগান্তর। তাঁরা অভ্রান্তভাবে নির্ণয় করেছেন, মানবের রােগ, চরিত্র, উন্নতি-অবনতির কারণ সম্পূর্ণ বিজ্ঞানের হাতে তথা মানবের হাতে। তাদের গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের ফলে করতলের এই মৌন রেখা মুখর হয়ে উঠেছে হাতের ভাষায়। কিন্তু পরিবর্তন হয়েছে যুগের। মানুষের জ্ঞানচক্ষু উন্মীলিত হয়েছে। ইউরােপ ও আমেরিকার বিজ্ঞানীদের মনে জেগেছে সাড়া। তারা বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে আলােচনা করেছেন পামিস্ট্রির। এভাবে গবেষণা করে তারা প্রভূত উন্নতি সাধন করেছেন চিকিৎসা ও মনঃসমীক্ষণের ক্ষেত্রে।