"মানুষ যা চায় তা কি পায়?"লেখকের কিছু কথা: আচ্ছা বলুন তাে, মানুষ যা চায় তা কি সে পায়? বলবেন: না, পায় না। মানুষের চাওয়াটা পূরণ হলে সে খুশি হয় আর চাওয়াটা না পেলে সে ধৈর্যহারা হয়ে হতাশার অনলে জ্বলতে থাকে। কেউ কেউ আল্লাহ পাককে দোষারােপ পর্যন্ত করে ফেলে। নাউযুবিল্লাহ! বস্তুত, এসবের মাধ্যমে আল্লাহ মানুষের মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করতে চান। মহান আল্লাহ এ কথার সত্যায়নে বলেন, তিনি জীবন এবং মৃত্যু দিয়ে মানুষকে পরীক্ষা করতে চান তােমাদের মাঝে কার আমল সুন্দর। সূরা মুলক, আয়াত ২। আর চাহিদা তথা সুখ-শান্তি, চাওয়া-পাওয়া এগুলাে তাে মানুষের জীবনেরই অংশ। মানুষ যদি সত্যিই ভালাে কিছু করতে চায় তাহলে তাকে সর্বদা চেষ্টা করে যেতে হবে। লক্ষ্যে পৌছে দেয়ার দায়িত্ব স্রষ্টার। কোনাে কাজে কাক্ষিত ফলের জন্য তার কাছে সাহায্য চাইতে হবে। তিনি যদি চান আপনাকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছে দিতে, তবেই আপনি লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারবেন। নচেৎ নয়। বলতে পারেন তাহলে আমাদের কাজ করে লাভ কী? পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাই লাভ। যা আপনাকে বাঁচিয়ে রাখে। আর চাকরি করেই তাে বেতনের আশা করা যায়। চাকরি না করে কি বেতন চাওয়া যায়? তাই তাে স্বপ্ন বিনির্মাণে মানুষকে সদা সক্রিয় থাকতে হবে। করতে হবে নিরলস পরিশ্রম। মহান অস্লাহ বলেছেন, إن الله لا يغير ما بقوم حتى يتم اما پايهة. ‘আল্লাহ কোনাে জনগােষ্ঠীর অবস্থা ততক্ষণ পর্যন্ত পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নিজেরা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন না করে। সূরা রাদ, আয়াত ১১ এই আয়াতে আরাে বলা হয়েছে। আর আল্লাহ যখন কোনাে জনগােষ্ঠীকে শাস্তি দিতে চান তখন তা কেউ ফেরাতে পারে না। তিনি ছাড়া আর কোনাে বন্ধুও নেই। অর্থাৎ আল্লাহ যা করতে চান, তা করবেনই। মানুষের কিছু করার নেই। করার থাকে না। বরং তখন বলে- আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলাম। বরং আমরা বঞ্চিত হয়ে গেলাম। সূরা ওয়াকিআ, আয়াত ৬৫-৬৭ বলতে পারেন, তাহলে আমরা কিছু করার চেষ্টা করি কেন? যা হওয়ার তাতাে হবেই। এটাই আমাদের নিয়তি। আমি বলবাে- না, আমাদের ভাগ্যলিপিতে কী আছে তা আমরা জানি না। তাই আমাদের কাজ করে যেতে হবে। সফলতা দেয়ার মালিক আল্লাহ তাআলা। এ নিয়ে বিতর্ক করার কিছু নেই। বিতর্ক শুধু বিতর্কেরই জন্ম দেয়। সমাধান দেয় না। পরন্তু এর ফলে ইমানই নষ্ট হবে।