আললাচনার বিষয়। প্রাচীনকালে ভারতে পৈতে বা উপনয়নের আগে কী ধরনের শিক্ষাধারা প্রচলিত ছিল তাই আমাদের আলােচনার বিষয়। ধরন বলতে শিক্ষার বিষয়, ব্যাপকতা ও বৈশিষ্ট্য সবই বােঝাচ্ছে। আসলে শিক্ষার বিষয় ও বিষয়গত বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলােচনা অনেকটা সহজ, কেননা কমহলেও এ বিষয়ে নির্ভরযােগ্য সাক্ষ্য হয়তাে কিছু পাওয়া যেতেও পারে। কিন্তু প্রাক্-উপনয়ন শিক্ষার কোনাে প্রথাবদ্ধ ধারা চালু ছিল কিনা, এ শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ কী ছিল, এ শিক্ষার প্রচলন কতটা ব্যাপক ছিল বা সমাজের বিভিন্ন স্তরে বা বর্ণের মানুষের মধ্যে এ শিক্ষার ধারা কতটা প্রচলিত ছিল সে সম্পর্কে সাক্ষ্যের বড়াে অভাব। প্রাচীন উপাদানগুলি এ বিষয়ে আমাদের খুব একটা সাহায্য করে না। এই অল্প উপাদানের ভিত্তিতেই অবশ্য অনেক ঐতিহাসিক এ বিষয়ে বেশ বড়াে বড়াে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। প্রধানত স্মৃতি, পুরাণ, জাতকের গল্প, সংস্কৃত কাব্য-সাহিত্য, পালি সাহিত্য, শিলালেখ ও পর্যটকদের বিবরণ থেকেই এ বিষয়ে তথ্য জোগাড় করা হয়। প্রাচীন যুগের শিক্ষার ইতিহাস যাঁরা লিখেছেন তারা এইসব উপাদানের ভিত্তিতেই সে যুগেও লেখা, পড়া আর অঙ্ক শেখার প্রাক্-উপনয়ন প্রাথমিক শিক্ষার বিশেষ প্রচলন ছিল একথা নানাভাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। এঁরা যেসব প্রমাণ হাজির করেছেন, তা থেকে নিশ্চিত করে কোনাে সিদ্ধান্তে আসা যায় না বলেই আমার মনে হয়। প্রচলিত শিক্ষার ইতিহাসগুলিতে যেসব সাক্ষ্য হাজির করা।