কবির দায়বদ্ধতা ‘সত্যম্-শিবম্-সুন্দরম্-কবিতার মাঠখানি হবে ছবির মতন।’ এমন ভাবনা যখন মাথায় উঁকি দেয় তখন অকস্মাৎ কবিতাঙ্গনে প্রবেশ। উৎসাহের ঝুড়ি নিয়ে প্রথম আমন্ত্রণ জানালেন কবি বন্ধুবর এমদাদ হোসেন কৈশোর। সেই থেকে গল্প ছেড়ে কবিতায় ঘরবসতি। আশির দশক থেকে এ চলা আজও অন্তহীনÑকখনো খেরোপাতায়, কখনো ছাপার জাদুঘরে, কখনো মুক্তমঞ্চে এবং সকল গণতান্ত্রিক অধিকার-সংগ্রাম-আন্দোলনে। চিরায়ত কাব্যের কর্মী হিসেবে সমকালীন সাহিত্য-আসরে স্বভাবতই প্রবেশ। পরিণত বয়সে তাই প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘জলসেতার’ প্রকাশে যঁাঁরা আমাকে অনুপ্রাণিত করলেন, নৈবদ্য সাজাই- তাঁদের প্রতি। আমার পরিবার-স্বজন, নাহার, নয়ন, নিশি, নিপু, আকাশ, নিতু; কবি বন্ধুবর মোয়াজ্জেম হোসেন আরমান, কবি ও সংবাদকর্মী জামাল হোসেন বিষাদ, কবি মশিউর রহমান মিঠু, নাদিরা সুলতানা, শহীদুল ইসলাম মুকুল, গায়েন ফজলুল হক, পরম সুহৃদ কবি ইব্রাহীম মিজি, কবি আবৃত্তিকার নিজাম উদ্দিন আজাদ, কবি হাবীব উল্যাহ ইমন, বিদগ্ধ কবি বদরুল হায়দার, অধ্যাপক নীলুফার বেগম, কবি প্রাবন্ধিক কাজী খসরু, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠক নুরুল আলম মাসুদ, কবি অধ্যাপক কাজী শিরিন আক্তার, নাট্যজন মিরন মহিউদ্দীন, সর্বজনশ্রদ্ধেয় উন্নয়ন সংগঠক আবদুল আউয়াল, শিক্ষক মোখতার হোসেন এবং অনিঃশেষ ঋণী যাঁর কাছে তিনি কবি প্রাবন্ধিক নিতাই সেন। অতঃপর আমার শিক্ষাগুরু নোয়াখালীর আঞ্চলিক গানের গবেষক সুর¯্রষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ হাশেম ও কমরেড আ ন ম জাহের উদ্দিন, দলিলুর রহমান দুলাল, সংস্কৃতিজন বাবু বিমলেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক রমানাথ সেন, অধ্যাপক প্রাবন্ধিক আবুল বাশার, মোঃ ফয়েজ উল্যাহ, কালচারাল অফিসার, জেলা শিল্পকলা একাডেমি নোয়াখালী, মোঃ মুশফিকুর রহমান, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রমুখ।
ম পানা উল্যাহ্। জন্ম : ০১ জানুয়ারি ১৯৬৩। ধানশালিক ইউনিয়ন, ডাকঘর : চাপরাশীর হাট, গ্রাম : গুল্যাখালী। পিতা : নাদেরুজামান, মাতা : রেশমা খাতুন। একমাত্র বোন রৌশন আরা। সহধর্মিণী শামসুন নাহার। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই কবি নানামাত্রিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। সংগীত, লেখালেখি, মানবাধিকার, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, যুব রেড ক্রিসেন্ট, খেলাঘর আসর, স্কাউট আন্দোলনে সম্পৃক্ততা-সর্বোপরি একজন সমাজকর্মী। উদার নৈতিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী সৃষ্টিশীল এই কবি নব্বইয়ের দশকে টানা এক যুগ সাহিত্যপত্র, ‘সুরঞ্জনা’ সম্পাদনা করেন। ২০০৫ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ঢাকা, বাংলাদেশের আউটরিচ প্রোগ্রামে নেটওয়ার্ক টিচার হিসেবে অদ্যাবধি যুক্ত রয়েছেন। দৈনন্দিন জীবনে তিনি একজন ধ্বনিবিজ্ঞানকর্মী। কবিতা ছাড়াও নোয়াখালীর ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে লেখালেখি তাঁর প্রিয় বিষয়। আশির দশক থেকে নোয়াখালী জেলা জাতীয় কবিতা পরিষদের সহসভাপতি। মুক্তমননে বিশ্বাসী এই কবি প্রেম-দ্রোহের কবিতায় নিয়ত জ্বলে ওঠেন। মাঙ্গলিক ঘরানা আর বাঙালি মুনশিয়ানায় তাঁর কবিতা সকল মানুষকে উদ্দীপ্ত করে। তাই প্রার্থনা, প্রত্যাশার আলোয় উদ্ভাসিত হোক তাঁর সকল শুভ আয়োজন। কবি বর্তমানে একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। তিনি স্কাউটিংয়ে একজন স্নাতক (বি,এস) উড্ ব্যাজার।