"বিয়ে স্বপ্ন ও বাস্তবতা" বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে নেয়াঃ সমাজ-বিজ্ঞানের ভাষায় বিয়ে একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি মুসলিম-অমুসলিম এবং উন্নত ও অনুন্নত সকল সমাজেই সুখ-সমৃদ্ধি এবং চারিত্রিক ও নৈতিক বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করে। ইসলামি বিয়ে ও পরিবার-ব্যবস্থা এই সুখ ও নৈতিকতাকে স্বর্গীয় আভায় রাঙিয়ে তােলে। সুনিশ্চিত একটি ভিতের উপর তাকে প্রতিষ্ঠিত করে। কিন্তু আবহমানকাল থেকেই সমাজের প্রতিটি সদস্য অর্থাৎ, বর-কনে, মা-বাবা, আত্মীয় এবং প্রতিবেশী আপন আপন অবস্থান থেকে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিরূপ আচরণ ও মানসিকতা পােষণ করে আসছে। একে স্বার্থপরতার বিচিত্র একটি ক্ষেত্রে পরিণত করেছে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলাের কেউ কেউ এবং কলহপূর্ণ দাম্পত্যের অভিজ্ঞতায় অতিষ্ঠ হয়ে অনুন্নত সমাজের অনেকেই এই প্রতিষ্ঠানটি বর্জনের পক্ষপাত গ্রহণ করছে। ফলে বিয়ের মতাে অনবদ্য এই প্রতিষ্ঠানটি অনেক ক্ষেত্রেই সুখ-সমৃদ্ধির আশীর্বাদ না হয়ে বিচ্ছেদ ও অশান্তির অভিশাপে পরিণত হচ্ছে। এই বইটিতে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটির স্বরূপ, বিবর্তন ও অকার্যকর হওয়ার পিছনের কারণগুলাে সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা করা হয়েছে। একজন আন্তরিক পাঠক, সে যে-ধর্ম বা মতের অনুসারীই হােক না কেন, বইটি পাঠ করে বিয়ের উপযােগিতা, অপরিহার্যতা, পারিপার্শ্বিকতা এবং সুখময় দাম্পত্যের বৈশিষ্ট্য ও অসুখী দাম্পত্যের কারণ সম্পর্কে জানতে পারবে। বিয়ের ব্যাপারে তার মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে উঠবে। দাম্পত্য ও পরিবার বিষয়ে নতুনভাবে ভাবতে আগ্রহী হবে। ইনশা আল্লাহ।
যেসকল লেখক ধর্ম, প্রেম, জীবন ও সৃষ্টিশীলতার মধ্যে অতি সূক্ষ্ম, তবে সুতীব্র ও অটুট একটি যোগসূত্র আবিষ্কারের চেষ্টা করেন, বাস্তবতার আঙিনায় দাঁড়িয়ে শৈল্পিক ও গতিময় ভাষায় সেই যোগসূত্রের প্রাসঙ্গিকতা ও যথার্থতা ব্যাখ্যা করেন, আকরাম হোসাইন সেই সারির একজন তরুণ লেখক। তার লেখনীতে আমরা ধর্ম, প্রেম, জীবন ও সৃষ্টিকর্মকে পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে দেখতে পাই। একটি ছাড়া অপরটি যে কোনোμমেই পূর্ণাঙ্গ ও প্রাণবন্ত হতে পারে নাÑএধারণাটি আমরা তার রচনায় বিশ^াসের উচ্চতায় উন্নীত হতে দেখি। এ ছাড়াও শিশু, কিশোর ও যুবা-কেন্দ্রিক রচনায় আমরা লেখকের ভিন্ন একটি সত্তার সন্ধান পাই। আমরা গভীর বিস্ময়ে আবিষ্কার করি, ব্যক্তিজীবনে একজন নিভৃতচারী মানুষ হয়েও তিনি তার লেখকসত্তার দর্পণে অত্যন্ত নিপুণভাবে শুধু নিজেরই নয় বরং সমকালীন সকলের শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্য, এককথায় জীবনের পটপরিবর্তন এবং শিক্ষা, বয়স ও পরিবেশকেন্দ্রিক চিন্তা ও অভিপ্রায়গুলো চিত্রিত করেন। অভূতপূর্ব দক্ষতার সঙ্গে সেগুলোর প্রকৃতি নির্ণয় করেন। এবং পরম মমতার সঙ্গে এই প্রাকৃতিক পরিবর্তনের পিছনের বিকার ও সৃজনশীলতা ব্যাখ্যা করেন। এভাবে আমরা তাকে μমেই প্রেম, ধর্ম, জীবন এবং জীবনের অচ্ছেদ্য একটি অংশ বিয়ে ও বিয়ে-পরবর্তী জটিলতায় তারুণ্যের নির্ভরযোগ্য আশ্রয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে দেখি। এই প্রতিভাবান লেখক, ১৯৯২ সালের ১৯ নভেম্বর মানিকগঞ্জ জেলা আইড়মারা গ্রামের মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম জনাব আবদুল মান্নান। চার-ভাই বোনের মধ্যে তিনি কনিষ্ঠ।