এই পৃথিবীর অঙ্গনে মুমিনদেরকে দুটি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করতে হয়। একটি হালাল জীবিকা উপার্জনের সংগ্রাম অপরটি আল্লাহর দ্বীন কায়েমের সংগ্রাম। উপরোক্ত দুটি কাজই মুমিন মুসলমানদের জন্য ফরজ। জীবন ও রিযিক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। রিযিক ছাড়া জীবন কল্পনা করা যায় না। রিযিকের ব্যাপারটি মানুষের জন্য দারুন সমস্যাসঙ্কুল, বস্তুত রিযিক মানুষকে সদা বিব্রত ও ব্যস্ত করে রাখে। শুধু তাই নয়, এ সমস্যা মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বৃদ্ধি করে, স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়, এমনকি তাকে ধ্বংসের দ্বার পর্যন্ত পৌঁছে দেয়, এ সমস্যা মানুষকে করে পাপী ও অসাদাচারী। কিন্তু আল্লাহ তাআলা মুমিনের রিযিকের দায়িত্ব নিয়েছেন। রিযিকের ব্যাপারে আল্লাহ কত অধিক সংখ্যক আয়াত নাযিল করেছেন, তিনি বার বার বান্দার রিজিকের দায়িত্ব নিজের উপর তুলে নেওয়ার কথাটি ঘোষণা করেছেন। তথাপি মানুষ সঠিক পথে ফিরে আসতে পারছে না। আল্লাহর উপর নির্ভর করে নিশ্চিত হতে পারছে না; বরং তাদের সেই একই ভয় একই দুর্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে, কি জানি সন্ধ্যায় বা কাল সকালে যদি খাবার ব্যবস্থা না হয়, যদি চাকরিটা চলে যায়, হঠাৎ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ি, কোন সঞ্চয় করতে পারছিনা, তাদের সিংহ-ভাগ এই ধারণা পোষণ করে যে ইসলামী অনুশাসন মেনে চললে রিযিক কমে যায়। আল্লাহ তাআলা যে মানুষের রিজিকের দায়িত্ব নিজে নিয়েছেন, এ বইটি সে কথা বোঝাতে আরো সহযোগিতা করবে।