’চেঞ্জ ইয়োর থিংকিং চেঞ্জ ইয়োর লাইফ' বইয়ের সূচীপত্র ভাবনা বদলান..........১৫ জীবন বদলান..........২৯ বড় স্বপ্ন দেখুন..........৪৮ ধনী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিন..........৫৮ নিজস্ব জীবনের দায়িত্ব গ্রহণ করুন..........৭৯ উৎকর্ষ সাধনের প্রতিজ্ঞা করুন..........৯০ মানুষকে প্রাধান্য দিন..........১১৪ প্রতিভাবানদের মতাে ভাবুন..........১৩১ মানসিক শক্তিকে মুক্ত করুন..........১৪৬ চিন্তাকে শক্তিশালী করুন..........১৬৮ নিজের ভবিষ্যত নিজে তৈরি করুন..........১৮৭ একটি চমৎকার জীবন-যাপন করুন..........২০৫
‘হু মুভড মাই চিজ?’ বইয়ের লেখক সম্পর্কে কথাঃ স্পেন্সর জনসন, এম ডি একজন ইন্টারন্যাশনাল বেস্টসেলার লেখক। যাঁর লেখা পড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ সহজ সূত্র আবিষ্কার করে কম চাপের মধ্যে অনেক বেশি সুস্থ জীবন যাপন করছেন ও অধিক সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি এক নম্বর নিউইয়র্ক বেস্টসেলার বুক ‘ওয়ান মিনিট ম্যানেজার’-এর উদ্যোক্তা ও সহ-লেখক। বইটি তিনি কেনেথ ব্লেঞ্চার্ড, পিএইচডি এর সাথে লিখেছেন—যিনি একজন নামকরা ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট। বইটি বিজনেস বেস্টসেলার লিস্ট এর মধ্যে বরাবরই স্থান পেয়ে আসছে এবং এতে বর্ণিত পদ্ধতিটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হিসাবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছে। ড. জনসন অনেকগুলো বেস্টসেলারই লিখেছেন। তন্মধ্যে ওয়ান মিনিট সিরিজের পাঁচটি বই রয়েছে: The One Minute Sales Person, The One Minute Mother, The One Minute Father, One Minute For Yourself, One Minute Teacher, Yes or No, The Popular Value TalesTM বাচ্চাদের বই এবং সব সময়ের গিফটের জন্য বিখ্যাত The Precious Present. তিনি সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে সাইকোলজি থেকে বিএ পাস করেন এবং রয়েল কলেজ অব সার্জন থেকে এম ডি ডিগ্রি লাভ করেন। হার্ভার্ড মেডিকেল কলেজ ও মেয়ো ক্লিনিক থেকে মেডিকেল ক্লার্কশিপ অর্জন করেন। তার লেখা বইগুলো মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচারিত হয়। সিএনএন, টুডে শো, ল্যারি কিং লাইভ, টাইম ম্যাগাজিন, ইউএসএ টুডে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, এবং ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল তার লেখা বইগুলো বার বার আলোচনায় আনে। বিশ্বের একচল্লিশটি ভাষায় তার বই পাওয়া যাচ্ছে। মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ বইটির শেষের কথাঃ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর সদরুদ্দিন আহমদের আহ্বানে সিলেট। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ও ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের প্রধান হিসাবে যোগদান করেন। এরই মধ্যে ভারতের বিনায়ক মিশন ইউনিভার্সিটি থেকে এম ফিল ডিগ্রী লাভ করেন। ২০১০ সালে সিলেটের অটিস্টিক শিশুদের জন্য একটি ট্রেনিং। সেন্টার স্কুল অব জয় প্রতিষ্ঠা। করেন। তিনি অটিজম ট্রেনিংএর ম্যানুয়েল ‘এবিএএপ্লাইড বিহেভিয়ার এনালাইসিস’ বইটি রচনা করেন। ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে তার ৭০টির অধিক রিসার্চ আর্টিকেল বিভিন্ন দেশীবিদেশী জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তিনি লেখালেখির চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
‘থিংক এন্ড গ্রো রিচ’ বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ নেপোলিয়ন হিল অলিভার নেপোলিয়ন হিল (২৬ অক্টোবর ১৮৮৩ - ৮ নভেম্বর ১৯৭০) ব্যক্তিগত উন্নয়নের একজন আমেরিকান লেখক। তিনি তার বই “থিংক এন্ড গ্রো রিচ’ বইয়ের জন্য সুপরিচিত। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৩৭ সালে । বইটি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ১০টি আত্ম উন্নয়নমূলক বইয়ের একটি। তিনি ১৯০৮ থেকে ১৯২৮ পর্যন্ত টানা বিশ বছর আমেরিকার সবচেয়ে ধনী ৫০০ জন ব্যক্তির ওপর গবেষণা চালিয়েছেন এটা জানার জন্য যে কেন তারা সফল এবং অন্যরা ব্যর্থ । তিনি সাফল্য অর্জনের জন্য যে সূত্রাবলি আবিষ্কার। করেন তার পুরোপুরি অব্যর্থ । আজকে বর্তমানেও যেকেউ এই সূত্রাবলি কাজে লাগাতে পারে এবং নিজের জীবনে সাফল্য, সুখ ও সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে । সূ চি প ত্রঃ অধ্যায় ০১: সূচনা ২৩ স্বর্ণ থেকে তিন ফুট পিছনে ২৬ পঞ্চাশ টাকায় অধ্যবসায়ের শিক্ষা ২৮ আপনি কর্তৃত্ব করবেন আপনার ভাগ্যের, চালক হবেন আপনার আত্মার', কারণ...৩৪ অধ্যায় ০২ : আকাক্ষা ৩৯ ইচ্ছার কাছে প্রকৃতির হার ৪৮ অধ্যায় ০৩: আস্থা কীভাবে আস্থা গঠন করবেন? ৬০ আস্থা এমন একটি সুস্থির মস্তিষ্কজনিত অবস্থা যা স্ব-পরামর্শ দ্বারা প্রভাবিত করা যায় ৬৩ আত্মবিশ্বাস গঠন পদ্ধতি ৬৬ শত কোটি টাকার একটি বক্তব্য ৭৩ অধ্যায় ০৪ : স্ব-পরামর্শ ৮১ নির্দেশাবলির বিবরণ ৮৬ অধ্যায় ০৫: বিশিষ্ট জ্ঞান ৯১ ‘আপনি কীভাবে জ্ঞান ক্রয় করবেন এটা আপনার জানা দরকার ৯৪ ‘বিশেষজ্ঞদের চাহিদা বেশি ৯৫ ‘শিক্ষানবিস’ প্রস্তাব ৯৫ অধ্যায় ০৬ : কল্পনা ১০৯ দুই প্রকারের কল্পনা কীভাবে আপনার কল্পনাকে ব্যবহারিক প্রয়োগে আনবেন? ১১৩ মনোমুগ্ধকর কেটলি ১১৩ যদি আমার এককোটি টাকা থাকতো তবে আমি কী করতাম? ১১৩ অধ্যায় ০৭: সংগঠিত পরিকল্পনা ১২৫ নিজ দক্ষতাগুলো বিক্রয়ের জন্য পরিকল্পনা ১২৯ নেতৃত্বের প্রধান গুণাবলি ১৩১ নেতৃত্বে ব্যর্থতার ১০টি প্রধান কারণ ১৩৩ এমন কিছু উর্বর জায়গা যেখানে নতুন নেতৃত্ব দরকার হবে ১৩৬ একটি পদের জন্য কখন ও কীভাবে আবেদন করবেন? ১৩৭ যে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দক্ষতা ও সেবা বাজারজাত হচ্ছে ১৩৮ একটি ‘সংক্ষিপ্ত আবেদন পত্রে’ আপনার তথ্য দিন ১৩৯ কীভাবে আপনার আকাঙ্ক্ষিত পদটি পাবেন? ১৪২ দক্ষতা বাজারজাত করার নতুন পথ হচ্ছে চাকরি মানে অংশীদারিত্ব ১৪৩ আপনার গুণ, পরিমাণ ও চেতনা নির্ধারণ করুন ১৪৮ আপনার দক্ষতার উৎকৃষ্ট মূল্য ১৫১ ব্যর্থতার ত্রিশটি প্রধান কারণ, এগুলোর কতটি কারণ আপনাকে পিছনে ধরে রেখেছে? ১৫২ ২৮টি প্রশ্ন দ্বারা নিজেকে আবিষ্কার করুন নিজেকে উদ্ভাবন করুন একজন কোথায় ও কীভাবে ধনী হওয়ার সুযোগ খুঁজে পাবে? ১৬৫ যে ‘অলৌকিক’ ব্যবস্থাপনায় এই সুবিধাদি দেওয়া হয় ১৬৯ অধ্যায় ০৮ : সিদ্ধান্ত ১৮১ একটি সিদ্ধান্তে মুক্তি; নতুবা মৃত্যু ১৮৩ অধ্যায় ০৯ : অধ্যবসায় ১৯৩ অধ্যবসায়ের অভাবের লক্ষণ ১৯৫ কীভাবে অধ্যবসায় গঠন করতে হয়? ২০০ অধ্যায় ১০: ঐক্যমনের ক্ষমতা ২০১ ঐক্যমনের মাধ্যমে ক্ষমতা অর্জন ২০২ অধ্যায় ১১ : যৌনশক্তি রূপান্তরের রহস্য ২০৯ দশটি মন উত্তেজক ২১১ ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে ‘প্রতিভাবান’ গড়ে ওঠে ২১২ কেন পুরুষরা চল্লিশের পূর্বে কদাচিৎ সফল হয়? ২১৯ অধ্যায় ১২ : অবচেতন মন ২৩৩ সাতটি প্রধান ইতিবাচক আবেগ ২৩৭ সাতটি প্রধান নেতিবাচক আবেগ ২৩৮ অধ্যায় ১৩: মস্তিষ্ক ২৪১ বিশ্বের মহান বলগুলো অস্পষ্ট, তা সহজে দেখা যায় না ২৪২ মস্তিষ্কের নাটকীয় ঘটনা ১৪৩ অধ্যায় ১৪ : ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় ২৪৯ স্ব-পরামর্শের মাধ্যমে চরিত্র নির্মাণ ২৫২ আস্থা বনাম ভীতি! ২৫৯ অধ্যায় ১৫ : কীভাবে ভীতির ছয়টি ভূতকে পরাজিত করবেন? ২৬১ ছয়টি মূল ভীতি ২৬২ দরিদ্রতা ভীতি ২৬৪ দরিদ্রতা ভীতির উপসর্গ ২৬৭ টাকা কথা বলে! ২৬৮ নারীরা হতাশা গোপন করে ২৬৯ টাকা ভিন্নতা তৈরি করে ২৭০ সমালোচনা ভীতি ২৭১ সমালোচনা ভীতির উপসর্গ ২৭৪ অসুস্থতা ভীতি ২৭৫ অসুস্থতা ভীতির উপসর্গ ২৭৭ ভালোবাসার কাউকে হারানোর ভীতি ২৭৮
সাকসেস থ্রো এ পজেটিভ মেন্টাল এটিটিউট’ বইয়ের কিছু কথাঃ একটি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সাফল্য অর্জন করুন বইটি এমন নয় যে অনেক মনীষীদের উক্তি ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিয়ে ভরা। এমনকি এটা অনুপ্রেরণার উক্তিতেও যে ভরপুর তা নয়। অনেকের কাছে এটা সত্য নাও লাগতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এটা এমন এক বই যা পাঠ করলে আপনি আপনার দুই পায়ে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়াবেন এবং একটি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ আরম্ভ করবেন যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি সাফল্য অর্জন করছেন। কথাটা জাদুর মতো মনে হলেও এটা পুরোপুরি সত্য। এই বইটি পুরোপুরি বাস্তবতা কেন্দ্রিক। বইটিতে বিশ্বের বড় বড় অসংখ্য লোকজনের সাফল্য যাত্রা সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে; তারা কী ধরনের বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছে এবং কীভাবে সেগুলোর মোকাবিলা করেছে তাও বলা হয়েছে। এসব ঘটনাবলি থেকে নেপোলিয়ন হিল কিছু সাধারণ সূত্র আবিষ্কার করেন যা যেকোন মানুষই তার জীবনে কাজে লাগাতে পারে। আর কেউ যদি এই সূত্রগুলো তার বাস্তব জীবনে কাজে লাগায় তবে তার জীবনে আমূল পরিবর্তন ঘটবে, যা অবশ্যই ইতিবাচক। বইটি থেকে আমরা অজস্র ভালো জিনিস শিখতে পারবো। কীভাবে =>অধ্যবসায় গঠন করতে হয় =>নিজের ভেতরের ভীতি দূর করতে হয় =>নিজের জীবনে যা চাই তা অর্জন করতে হয় =>নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা করতে হয় =>প্রতিটি বাধার সামনে দৃঢ় পদে দাঁড়াতে হয় =>অলসতাকে পরাস্ত করতে হয় (আপনি যদি অলস হয়েও থাকেন তবে বইটি পাঠের পর আর কখনো পূর্বের ন্যায় অলসতা দেখাতে পারবেন না) =>জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে চেষ্টা করবেন =>আপনার কাজকে উপভোগ করবেন =>ইতিবাচক মনোভাব দ্বারা ব্যর্থতার মুখোমুখি হবেন =>জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে নিজেকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন =>খারাপ কিছুর সম্মুখীন হলে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখবেন =>নিজেকে সৎভাবে বিচার করবেন =>বেঁচে থাকার আসল মানে খুঁজে পাবেন
এবং আরও অনেক কিছু আপনি যদি আপনার জীবনকে উপভোগ করতে চান বা জীবনে কিছু পেতে চান তবে এই বই আপনাকে সেই দিকেই পরিচালিত করবে। আপনি এই বইকে আপনার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে কাজে লাগাতে পারেন। আপনি জীবনে সুখী হন এবং সফলতা লাভ করেন এই কামনায় শেষ করছি। -ফজলে রাব্বি নেপোলিয়ন হিল অলিভার নেপোলিয়ন হিল (২৬ অক্টোবর, ১৮৮৩ – ৮ নভেম্বর, ১৯৭০) ব্যক্তিগত উন্নয়নের একজন আমেরিকান লেখক। তিনি সুপরিচিত তার বই 'চিন্তা করুন এবং ধনী হোন' (১৯৩৭) এর জন্য। বইটি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ১০টি আত্ম উন্নয়নমূলক বইয়ের একটি। তিনি ১৯০৮ থেকে ১৯২৮ পর্যন্ত টানা বিশ বছর আমেরিকার সবচেয়ে ধনী ৫০০ জন ব্যক্তির ওপর গবেষণা চালিয়েছেন এটা জানার জন্য যে কেন তারা সফল এবং অন্যরা ব্যর্থ। তিনি সাফল্য অর্জনের জন্য যে সূত্রাবলি আবিষ্কার করেন তা পুরোপুরি অব্যর্থ। আজকে বর্তমানেও যেকেউ সূত্রাবলি কাজে লাগাতে পারে এবং নিজের জীবনে সাফল্য, সুখ ও সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। ডব্লিউ. ক্লেমেন্ট স্টোন উইলিয়াম ক্লেমেন্ট স্টোন (৪ মে, ১৯০২ – ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০২) ছিলেন একাধারে একজন ব্যবসায়ী, লোকহিতৈষী ব্যক্তি ও আত্ম উন্নয়নের নতুন ধারার একজন লেখক। স্টোন একজন বাস্তব উদাহরণ যিনি একদম মাটি থেকে উঠে ধনী হয়েছেন। তাঁর বাবা ১৯০৫ সালে মারা যান। মাত্র সাত বছর বয়স থেকে তিনি সংবাদপত্র বিক্রি আরম্ভ করেন এবং পরবর্তীতে হয়ে ওঠেন একজন ধনী ও মহান ব্যক্তি। তাঁর অন্যতম সফলতা হচ্ছে অগ মানডিনো, যিনি একজন মদ্যপায়ী ছিলেন, তাকে স্টোন তাঁর ছত্রছায়ায় নিয়ে একজন সফল ব্যক্তি হয়ে উঠতে সহায়তা করেন। অগ মানডিনো পরবর্তীতে সাকসেস ম্যাগাজিনের সম্পাদক হন।
Title
জীবনকে নতুন ভাবে ভাবার বা হতাশা দূর করার সেরা ৩টি বই
আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করা অলিভার নেপোলিয়ন হিল আত্মোন্নয়নধর্মী রচনা লেখকদের মাঝে প্রথমদিককার একজন। ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও সফলতা লাভের বিভিন্ন দিক লেখনীতে তুলে এনে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সফল আত্মোন্নয়নমূলক লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে হিলের। নেপোলিয়ন হিলের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের সাউথইস্ট ভার্জিনিয়ায় ২৬ অক্টোবর, ১৮৮৩ সালে। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে শেষ পর্যন্ত ল'স্কুলের পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি তিনি। এর আগে থেকেই যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকতার সাথে, সেই ১৩ বছর বয়স থেকে। ১৯০৮ সালে এন্ড্রু কার্নেগীর সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে হিলের জীবনে আসে বিশাল পালাবদল। তখনকার সময়ের অন্যতম প্রভাবশালী শিল্পপতি কার্নেগী তাকে পরামর্শ দেন ধনী ও সফল ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিতে ও তাদের সাফল্যের সূত্র সম্পর্কে জানতে। এরপর তিনি বিশ্ববিখ্যাত সফল ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু করেন। এই তালিকায় আছেন হেনরি ফোর্ড, আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলসহ আরো অনেকে। এমন ৪৫টি সাক্ষাৎকারের লব্ধ অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি প্রকাশ করেন তাঁর প্রথম রচনা 'দ্য ল অব সাকসেস'। এই বইয়ে তিনি সাফল্যের সূত্রকে ব্যখ্যা করেছেন গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, পুঁজিবাদের সমন্বয়ে মূর্ত দর্শন দিয়ে। নেপোলিয়ন হিল এর বই সমূহ সাফল্যগাঁথার চেয়ে সাফল্যের পেছনের সূত্র সহজীকরণের পাথেয় হিসেবে অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বিখ্যাত এই লেখকের চরিত্রের কিছু রহস্যময় বৈশিষ্ট্য মানুষকে ভাবিয়েছেও বটে। তিনি দাবি করতেন, আত্মাদের সাথে তাঁর যোগাযোগ আছে, তাঁকে দেয় আধ্যাত্মিক জ্ঞান, সাফল্যের মন্ত্র। হিল এই বিষয়টি তাঁর ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত বই 'গ্রো রিচ(!) উইথ পিস অব মাইন্ড' এ খোলাখুলিভাবে বর্ণনা করেছেন। বর্তমানে তাঁর জীবনের অজানা কিছু অধ্যায় উঠে এসেছে গবেষকদের চোখে। তবে নেপোলিয়ন হিল এর বই সমগ্র বিতর্কিত ব্যক্তিজীবনের প্রভাবেও জনপ্রিয়তা হারায়নি। তাঁর রচিত 'থিংক এন্ড গ্রো রিচ' সর্বকালের সেরা আত্মোন্নয়নমূলক দশটি বই এর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী সমাদৃত নেপোলিয়ন হিল এর বই সমূহ হলো 'অ্যাটিটিউড মেন্টাল পজিটিভা', 'দ্য মাস্টার কি টু রিচেস', 'সাকসেস হ্যাবিটস' ইত্যাদি। বিতর্কিত চরিত্রের এই লেখক ১৯৭০ সালের ৮ নভেম্বর বেশ রহস্যজনকভাবে মারা যান। ধারণা করা হয়, তিনি পারকিনসন্স সিন্ড্রোমে ভুগছিলেন।