“অধ্যায়" বইটির ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথাঃ মানুষের জীবন একটি বিচিত্র সমগ্র। জীবনে ঘটে যাওয়া বিচিত্র সব ঘটনানির্ভর অদ্ভুত সব অধ্যায় দিয়েই এই জীবনসমগ্র সাজানাে থাকে। যার শুরু থে... See more
TK. 250 TK. 215 You Save TK. 35 (14%)
Get eBook Version
US $2.51
কমিয়ে দেখুন
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষনীয় সব অফার!
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষনীয় সব অফার!
“অধ্যায়" বইটির ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথাঃ মানুষের জীবন একটি বিচিত্র সমগ্র। জীবনে ঘটে যাওয়া বিচিত্র সব ঘটনানির্ভর অদ্ভুত সব অধ্যায় দিয়েই এই জীবনসমগ্র সাজানাে থাকে। যার শুরু থেকে শেষ অবধি জড়িয়ে থাকা অধ্যায়গুলােয় জুড়ে থাকে জীবনের নানান ঘটনা। কখনাে আবেগ আর মায়া জড়ানাে, কখনাে আবার ভয়ঙ্কর নিশ্চুপ আহাজারির নিদর্শন। প্রতিটি অধ্যায়ে ফুটে থাকে মানুষের জন্মলগ্ন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তের কথন। সেখানে অনুভূতিরা বিচরণ করে বেখেয়ালি ভাবে, আবেগ ছুটে মরিয়া হয়ে এইখান থেকে সেইখানে; সর্বত্র। কখনাে কখনাে আবার জীবনসমগ্রের কোনাে এক অধ্যায়ে ভালােবাসা ধারণ করে মহামারী আকারে। কেবল অফুরান। ভালােবাসাই যেন সর্বার্থ। সবকিছুতেই যেন ভালােবাসার উপস্থিতি অনিবার্য। কিন্তু দায়িত্বের বেড়াজালে যখন নিজেকে বিসর্জন দিতে হয় তখন জীবনসমগ্রের অতীত অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে নতুন এক অধ্যায়কে বরণ করে নিতে হয় কৃত্রিমতায় ভরা সত্য হাসির অবয়বে মিথ্যা হাসিতে। যেখানে অনুভূতি, আবেগ আর ভালােবাসা সব যেন সীসার বেষ্টনীতে গড়া কঠিন ধাতব সিন্দুকে ভরে অথৈ সমুদ্রজলে ডুবিয়ে দেয়া আবশ্যক। ভেসে চলে যাবে। কোথায় যাবে, কতদূর যাবে তা জানবার কোনাে উপায় থাকে না। তবুও ভাগ্যের রােষানলে পড়ে যদি সেই সিন্ধুক তীরে ভিরে, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। অনেক আবেগ আর ভালােবাসা তখন গুপ্তধন রূপে ফিরে। এলে তা কেবলই যেন যাদুঘরে স্থান পাবার যােগ্য; মনের ঘরে নয়। দেখে সুখ নেবার স্বাধীনতা থাকে কিন্তু ছুঁয়ে কিংবা লালন করার স্বাধীনতা থাকে না।
তকিব তৌফিক- বর্তমান সময়ের পাঠকপ্রিয় একজন লেখক। পাঠক মহলের অনেকেই যাকে বলে ‘বিষাদ যপা লোক’। লেখকের লেখাজুড়ে বিষাদের যে ছাপ তা পাঠকের অন্তরে বেশ গেঁথে যায়। এবং পাঠকের মনে লেখককে বাঁচিয়ে রাখতে এই বিষাদী আকুলতাই যেন যথেষ্ট। ২০১৮ সালের গ্রন্থমেলায় লেখকের প্রথম বই ‘এপিলেপটিক হায়দার’ প্রকাশিত হয়। বইটি মূলত একটি মৌলিক উপন্যাস। ব্যতিক্রমধর্মী শিরোনামের এই উপন্যাসটি লেখকের প্রথম উপন্যাস হলেও সাড়া পায় দ্রুত। এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ রূপে বাস্তবমুখী। সামাজিক এই উপন্যাসটি মূলত মৃগীরোগ নিয়ে সমাজের কুসংস্কার নিয়ে এবং আত্মশুদ্ধি নিয়ে লেখা হয়েছে। উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় নালন্দা প্রকাশনী থেকে। ২০১৯ সালের গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয় লেখকের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘অধ্যায়’। এটি মূলত প্রেমের উপন্যাস। এবং এই উপন্যাসটি’ই তকিব তৌফিককে অসংখ্য নতুন পাঠকের কাছে লেখক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। যার মধ্যে রয়েছে লেখকের দারুণ সব কথা মালা এবং গল্পের প্রয়োজনে লেখকের সৃষ্ট কিছু বিক্ষিপ্ত কবিতা। একই বছরে লেখক ব্যতিক্রমধর্মী এক বই রচনা করে বসলেন। বইটির নাম 'কাঙালের সংলাপ'। এই বইটি মূলত কথোপকথনের বই। যার শুরু থেকে শেষ শব্দটি সংলাপের মধ্যে দিয়েই হয়। এই ব্যতিক্রম বইটিও রোমান্টিক গল্প নির্ভর। ২০২০ সালের গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয় তকিব তৌফিকের তৃতীয় এবং ত্রয়ী উপন্যাসের প্রথম খণ্ড 'নিদাস্তিয়া'। যা পুরপুরি সফলতা বয়ে আনে লেখক তকিব তৌফিকের জন্য। এবং গল্পের মূল চরিত্র নিদাস্তিয়া'র শেষ পরিণতি থেকে নিষ্কৃতির দাবি উঠে পাঠকমহলে। আর তখন পাঠকমহলে জানানো হয় মূলত এই উপন্যাস একটি ত্রয়ী উপন্যাস। যার আরও দুইটি খণ্ড আগামীতে যেকোনো সময় প্রকাশ পাবে। সেই খণ্ডগুলোতেই হয়তো 'নিদাস্তিয়া' চরিত্রের মুক্তি হবে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় লেখক তকিব তৌফিক পাঠকের জন্য নিয়ে এলেন কবিতার বই- ক্যাকটাস। ক্যাকটাস কবিতার বইয়ের মধ্যে দিয়ে তকিব তৌফিককে পাঠক একজন কবি হিসেবেও চিনতে শুরু করে। ক্যাকটাস কবিতার বইয়ের কবিতাগুলোর মধ্যে ‘ক্যাকটাস’, ‘সংসার’, চিরকুট সংলাপ’, ‘সাবলেট’, বিচ্ছেদের বর্ষপূর্তি’, ‘লিকারের তেজ;, ‘সময়ের ভোজ’সহ অসংখ্য কবিতা দুই বাংলার অসংখ্য পাঠকের হৃদয় জয় করে। ২০২১ সালের গ্রন্থমেলায় লেখক তকিব তৌফিক পাঠকদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করেন ‘রিঙ্গণপুর’ শিরোনামের সামাজিক উপন্যাস। যা সমাজের রাজনৈতিক চিত্র যেমন উপস্থাপন করে তেমনই মানুষের গোঁড়ামি থেকে সৃষ্ট উপদ্রব থেকে জীবননাশের চিত্র উপস্থাপন হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসেই লেখক তকিব তৌফিক পাঠকদের জন্য নতুন বইয়ের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। যার নাম ‘একটি হলুদ ফুল’। লেখক তকিব তৌফিক ব্যতিক্রম সব গল্প লেখেন পাঠকের জন্য। তার গল্প বলে দেয়, তিনি পাঠকের স্রোতে গা ভাসিয়ে উপন্যাস, গল্প রচনা করেন না, তিনি এমন সব গল্প রচনা করেন যা পাঠককে কৌতূহলী করে তুলে আর একঘেয়েমিতা থেকে মুক্তি দেয়। লেখক তকিব তৌফিকের জন্মস্থান চট্টগ্রাম জেলায়৷ তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার, লেলাং ইউনিয়নে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা মোস্তফা কামাল পাশা এবং মা জোছনা আকতার-এর চার সন্তানের একমাত্র ছেলে সন্তান তিনি। ব্যবস্থাপনা বিষয়ের উপর স্নাতকোত্তর পাশ করা ছেলেটি একদিন বাংলা সাহিত্যের তরুণ লেখকদের তালকায় ভূমিকা রাখবে তা হয়তো তার নিকটস্থ অনেকেই ভাবেনি৷ এখন সেটা তারা দেখতেই অভ্যস্ত। ‘ইউনাইটেড ন্যাশন'স হাই কমিশনার ফর রিফিউজিস (ইউ এন এইচ সি আর)’-এ রেজিষ্ট্রেশন ইউনিটে একজন কর্মী হিসেবে তিনি নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর ত্রয়ী উপন্যাস 'নিদাস্তিয়া'-এর প্রথম খণ্ডে তার কর্মস্থানের কিছুটা চিত্র ফুটে উঠেছে। এছাড়াও তিনি শরনার্থী শিবিরে তুর্কী পাহাড়ে বসে সূর্যের বিদায় বেলায় দিগন্তরেখায় দৃষ্টি রেখে রচনা করেছিলেন 'আমি শরনার্থী শিবির থেকে বলছি' কবিতাটি। বর্তমানে তিনি বেপজার চট্টগ্রাম শাখার অধীনে ডেলমাস এ্যাপারেলস (প্রাঃ) লিমিটেড-এ কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধান ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
সমসাময়িক উপন্যাস হিসেবে পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠুক অধ্যায়।
Read More
Was this review helpful to you?
By Md Roni Sheikh,
01 Jun 2021
Verified Purchase
Nice
Read More
Was this review helpful to you?
By নাহিদ আহসান,
21 Oct 2020
Verified Purchase
#বুক_রিভিউ মন ধরে রাখার মতো সুন্দর প্রচ্ছদ। একটু রহস্য ঘেরা। একটু অজানা ভয় ভয় কাজ করে। কভার উল্টিয়ে ভেতরে নজর দিতেই চোখ পড়ে বাঁ পাশের ফ্ল্যাপের ভেতর।
" মানুষের জীবন একটি বিচিত্র সমগ্র। জীবনে ঘটে যাওয়া বিচিত্র সব ঘটনানির্ভর অদ্ভুত সব অধ্যায় দিয়ে'ই এই জীবনসমগ্র সাজানো থাকে। যার শুরু থেকে শেষ অবধি জড়িয়ে থাকা অধ্যায়গুলো জুড়ে থাকে জীবনের নানান ঘটনা।....... "
বুঝতে সমস্যা হয়না, এই উপন্যাসটি বাংলা বা সমাজ বইয়ের ' অধ্যায় 'গুলো নিয়ে রচিত না। এই উপন্যাসটি নিশ্চয়ই জীবনের 'অধ্যায়' এর উপর ভিত্তি করেই রচিত। কিন্তু এত কঠিন ভাবগম্ভীর একটা বিষয়ে তরুণ লেখক কেনই বা 'উপন্যাস' লিখেছেন তা ভাবতে ভাবতেই বইয়ের ভেতরে প্রবেশ করা হয়।
তরুণ লেখক তকিব তৌফিকের উপন্যাস 'অধ্যায়'। নালন্দা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। প্রচ্ছদ শিল্পী হিমেল হকের করা প্রচ্ছদটি সবার মন জয় করেছে। মোট ১২৬ পৃষ্ঠার এই বইটির ভেতর আসলেই কি আছে, তা জেনে আসা যাক, চলুন...
" সব উৎসর্গ এভাবে জানিয়ে দিতে নেই, কিছু কিছু উৎসর্গ আড়ালেই শোভা পায়। "
ভীষন সুন্দর এই উৎসর্গপত্র রহস্যজনক। এত সুন্দর একটি বই কাকে উৎসর্গ করা হলো, তা কেউ জানলো না। ভারী মুশকিল! উপন্যাসের ভেতরে প্রবেশের আগেই এতসব জটিল বিষয় ভাবতে ভাবতে ভূমিকা চোখে পড়বে। ভূমিকা জুড়ে লেখা আছে কবিতার কথা। আরেকটু জটিল আকার ধারণ করলো বিষয়টা। উপন্যাসের ভেতরে কি আছে, তা জানার আকাঙ্ক্ষা তখন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এবার শুরু হবে উপন্যাস।
" সন্ধ্যা নেমে এলো ব্যস্ত নগর জুড়ে। আকাশে মেঘ নেই। মেঘশূন্য আকাশকে এতটা পরিচ্ছন্ন পেতেই আড়ালে থাকা পূর্ণিমা ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে সম্মুখে। ঘন অন্ধকারকে পরাজিত করে চাঁদ আলো ছড়িয়ে দেয় চারদিকে। শহরজুড়ে নেমে আসে পূর্ণিমা। "
কী সুন্দরভাবে শুরু! এতোটা চমৎকার করে সাজানো লেখা! সুন্দর বর্ণনায় মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে ধীরে ধীরে এবার ডুবে যেতে হবে 'অধ্যায়' এর ভেতরে। লেখকের মায়ার ভেতরে। কী সুন্দর লেখনি!
পরিবেশ-প্রকৃতির অপরূপ বর্ণনা দিতে দিতে পরিচয় হবে গোফরানের সঙ্গে। কর্নারের মোড়ে গোফরানের পানের দোকান। তার আড়ালে আছে মদের দোকান। রং-বেরঙের আলো ছড়ানো মদের আসর বসে পানের দোকানের আড়ালে। শহরের নামীদামি মদের বারে আর ডিস্কোতে টাকা উড়িয়ে নিঃস্ব হয়েও যারা মদের নেশা ছাড়তে পারেনি, যারা অতীত - বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে মাদকতার কাছে বিলিয়ে দিয়েছে, তারাই এসে গোফরানের মদের দোকানে ভিড় করে। গোফরানের দোকানের গল্প শুনতে শুনতে হাজির হবে আনসারী। এখানের অনিয়মিত কাস্টমার। লেখালেখির খাতিরে যেদিন আয় বেশি হয়, সেদিন ই আনসারী এখানে আসে। অর্থাৎ লেখক আনসারীর আগমন। এই আনসারী পুরো উপন্যাস জুড়ে কবিতা বলে যাবে, লিখে যাবে। আনসারীকে কেন্দ্র করেই উপন্যাস এগোতে থাকবে। একের পর এক মোড় নিতে থাকবে। প্রবাহিত হতে থাকবে নানান ঘটনা।
মদ খেয়ে, মাতাল হয়ে ঢুলতে ঢুলতে কবিতা মনে করে আনসারী। হঠাৎ করে তার রেললাইন দেখার শখ হয়। তা দেখতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করে আনসারীর ঠায় হয় হাসপাতালের বেডে। এরপর আর কিছু মনে নেই। হঠাৎ সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখতে দেখতে আহত আনসারীর ঘুম ভাঙে। ঘুম ভেঙে যেই মানুষটিকে দেখে সেই মানুষটিও উপন্যাসটির অন্যতম প্রধান চরিত্র। কিন্তু, আনসারী কাকে দেখে? জানতে হলে পড়তে হবে - অধ্যায়।
আনসারীর বন্ধু আমির। আমির সাহিত্যপ্রেমী। আমিরের ছোট বোনের নাম পারুল, উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ে। প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শেষ, তাই বাসায় আছে। সকালে উঠেই পত্রিকায় চোখ বুলানো আমিরের অভ্যাস। সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পত্রিকা না পড়া হলেও, বাজার থেকে এসে পত্রিকায় চোখ রাখতেই আনসারীর কবিতা 'বিবাদী' চোখে পড়ে। কবিতার মধ্য থেকে চারটে লাইন নীচে দেয়া হলো :
" আমাদের মধ্যে কতশত দ্বন্দ্ব আমাদের ভেতরে__ সব কেড়ে নিজে বড় হবার ছন্দ, আমরা বিবাদী; আবার আমরাই আশাবাদী আমাদের আচরণে পশুর গন্ধ। "
পারুলকে ডেকে এনে খুশি মনেই জাতীয় পত্রিকায় ছাপা আনসারীর কবিতা দেখালো আমির। আমির উল্লসিত। আনসারীর কবিতার পাঠক হলো আমির। গল্প এগোতেই আমিরের ঘরে কলিংবেল বেজে উঠে এবং উপস্থিত হন আনসারী। আমিরের জন্য উপহার নিয়ে এসেছে আনসারী, আজ আমিরের জন্মদিন বলে কথা! রাতের খাবারের দাওয়াত পায় আনসারী৷ গল্প এগোয়।
রাতে খাবারের আগে আনসারীর কাছে এমন কিছু সত্য প্রকাশ করে আমির, যা শুনে হতভম্ব হতে হতে নিজেকে সামলে নেয় আনসারী। এ যেন ভীষণ কঠিন সত্য! কিন্তু কী সেই সত্য?
আনসারীর বোন পারুলের বান্ধুবীরাও আসে দাওয়াতে। তার সাথে এমন একজন আসে, যাকে আনসারী অইদিন হাসপাতালের বেডে চোখ খোলার পর দেখেছিলো! কিন্তু কে সেই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র? কি ঘটবে এরপর?
সবকিছু মিলিয়েই ঘটনা প্রবাহিত হতে থাকে। নতুন নতুন চরিত্ররা আসে। প্রয়োজনীয় হয়ে উঠে, একসময় লুকিয়ে যায়। অপ্রয়োজনীয় হয়ে উঠে। এত সুন্দর করে সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন চরিত্রগুলোর মাঝে! বলাই বাহুল্য এই উপন্যাস অন্যতম সেরা একটি উপন্যাস! তাই আমি ঘটনাপ্রবাহের অর্ধেক বলেই থেমে গেলাম। বইটি অবশ্যই সবার পড়া উচিত এবং নিজ থেকেই সব জানা উচিত।
সচরাচর একজন লেখক যখন লেখালেখির জগতে বৃদ্ধ হয়ে উঠে কিংবা অনেক বেশি ম্যাচিউরড হয়, তখন জীবনকেন্দ্রিক এসব উপন্যাস রচনার সাহসিকতার প্রদর্শন করেন। তরুণ লেখক তকিব তৌফিক শুরুতেই এত গভীর একটা বিষয় নিয়ে উপন্যাস রচনা করেছেন এটা জেনে যেমন থমকে দাঁড়াবেন, এই উপন্যাসটি পড়ার পর আপনি অনেক অনেক বেশি চমকে উঠবেন। তরুণ লেখক এতো সুন্দর উপন্যাস লিখলো কীভাবে! জীবনবোধের এত সুন্দর ও গভীর বিশ্লেষণ, তরুণ লেখকদের মাঝে সচরাচর দেখা যায়না! কিন্তু তকিব ভাইয়ার অনবদ্য সৃষ্টি এই "অধ্যায়" যেন চমকে দেয়ার মতই সুন্দর।
জীবন সম্পর্কে জানা যাবে। আবেগ ও দায়িত্ববোধের মধ্যকার সম্পর্ক সম্বন্ধে জানা যাবে৷ বিশাল বিশ্লেষণ পাওয়া যাবে। বুঝতে পারবেন, ডুবে যাবেন জীবনের সেসব গল্পের মধ্যে। একেকটা জীবনের একেকটা অধ্যায় আপনাকে ছুঁয়ে যাবে। আপনার দম বন্ধ হয়ে আসবে একসময়, একসময় আপনি মন খুলে নিঃশ্বাস নিতে পারবেন। বিচিত্র এ জগতে, সামান্য এই উপন্যাস 'অধ্যায়'-এ ডুবে যেতে যেতে অনুভব করবেন নিজের জীবনকে, জীবনের দায়িত্ব কিংবা গুরুত্ব। এত চমৎকার সব বর্ণনা!
উপন্যাসটি শেষ হবার পর যখন আপনি ঘোরের মধ্যে চলে যাবেন তখন কথা সাহিত্যিক কিঙ্কর আহসানের লেখা চোখে পড়বে। ফ্ল্যাপের মধ্যে।
" একজন লেখকের স্বপ্ন দেখতে জানতে হয়। তকিব তৌফিক নিজেই আস্ত একটা স্বপ্ন। "
রকমারি থেকে অধ্যায় বইটি অর্ডার করতে নীচের লিংকে প্রবেশ করুন : https://www.rokomari.com/book/174461
'অধ্যায়' বইটি অবশ্যই পড়ুন। বিশেষ করে, বেশি বেশি বই পড়ুন। বই পড়লেই সত্যিকারের মানুষ হওয়া যায়। বই নিয়ে কথা বলতে হবে।
আমি বই নিয়ে কথা বলে যাব এক জীবন। দো'আ রাখার অনুরোধ।
Read More
Was this review helpful to you?
By Sultan,
03 Nov 2019
Verified Purchase
অধ্যায়। একটি শব্দ। অথচ এই শব্দের ভেতর লুকিয়ে আছে কত শত লাইন। কবিতার পঙ্তিমালা। অধ্যায়ের মোড়কে থাকে সুখ, দুঃখ বেদনা। একেকটা অধ্যায় হয় একেকরকম। কারো সুখ,আহ্লাদ,আনন্দে ভরপুর থাকে। কেউ দুঃখ,বেদনা,আর ব্যথার দহনে দগ্ধ হতে থাকে। মানবজীবনের অধ্যায় বৈচিত্র্যময়। সুখ দুঃখকে বুঝতে চায় না। বুঝতে দেয় না। কেউ দুঃখ পুষে সুখ বুঝার ভাণ করে থাকে। মানবজীবনের কবিতার লাইন হয় অদ্ভুতুরে। সময়ের পালাবদলে এ কবিতার লাইনের খোলস বদলায়,পরিবর্তন হয়। হয়তো কেউ সুখটাকে আপন করে নিতে চায়। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত বস্তুর ন্যায় চলে যায়। ঠিক যেভাবে খাঁচাবন্ধি পাখি ছুটি পেলে মুক্তবিহঙ্গে পতপত করে উড়ে যায়। ইজাজ আনসারী। ঘরভিটাহীন এক যুবক। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে চাকরী-বাকরীর আশা বাদ দিয়ে নিজের জন্য যতটুকু প্রয়োজন তা টিউশনি করে জোগাড় হয়ে যায়। বাকি সময় কবিতা লিখে। কবিতার হাত বেশ ভালো। কয়েকটা পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। দাদা সোমনাথ এর নাতী দ্বীব্যনাথকে পড়ায়। দ্বীব্যনাথ ছাত্র হিসেবে মেধাবী। তাকে পড়িয়ে আনন্দ পায় বলে পড়িয়ে যায়। মাঝে মাঝে শিক্ষকের কবিতার কথা বলে। একরাতে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে এক গাড়ি চাপায় পড়ে। গাড়ির মালিক পাশের ক্লিনিকে ভর্তি করিয়ে দেয়। এখান থেকেই গল্পের মোড় নিতে শুরু করে। গল্পের পটভূমির বিস্তৃতি শুরু হতে থাকে। আনসারীর জীবন পরিবর্তন হতে শুরু করে। ভেতরে ভালবাসা,প্রেম,প্রণয়ের বীজ থেকে চারা হতে শুরু করে। যা অনেকবছর থেকে মনে মনে চাইতো তা যেনো হাতের নাগালেও এসে হাতছানি হয়ে গেলো নিয়তির চাকায় পিষ্ট হয়ে। ভালবাসারা বারবার আসে না। আসে একবার। মনের মতন করে। দাদা সোমনাথের কম্পানীতে ম্যানেজার পদে পনের দিনের জন্য অফার পায়। সেই অফারকে অনেক ভেবেচিন্তে লুফে নেয় নিজের ভালবাসার জন্য। ভালবাসার জন্য করতে গিয়ে ভালবাসাকে হারিয়ে ফেলে। পাসপোর্ট হারিয়ে ঝামেলার শিকার হয়ে পনের দিনের জায়গায় চারমাস লেগে যায়। এই চারমাসে গল্পরা হারিয়ে যায় বেদনার সমুদ্রে। আনসারী ফিরে আসে দেশে। এক সমুদ্র আক্ষেপ নিয়ে খোঁজতে থাকে ভালবাসাকে। খোঁজে পাবে কী ভালবাসাকে? সেটা পাঠক মন খোঁজে নিবে। #প্রিয়_কিছু_উক্তি: *যেখানে তুমি নেই,সেখানে কিছুই নেই। হয় তুমিই থাকো; না হয় শূন্যতা-ই শ্রেয় (কবিতার লাইন) *প্রেমে আবদ্ধ মেয়েদেরকে প্রেমিক ব্যতীত অন্য পুরুষ যতই পাকাপোক্ত প্রেম নিবেদন করুক না কেন,তাদের কাছে সেটা দুধের বাটিতে বিষ ঢেলে দেওয়ার মতো অনুভূত হয়। *একটা স্পষ্ট হৃদয়ের অভাবে অস্পষ্ট হয়ে আছে আমার এই মানুষ মন। *প্রেম মানুষকে অপেক্ষা করার শক্তি যোগায় ঠিক, পক্ষান্তরে স্বার্থপর হওয়ার মানসিকতা সৃষ্টি করে। কেবল প্রেমটাকেই গুরুত্ব দিয়ে সেটার অনিশ্চিত পরিণতিকে নিশ্চিত করার জন্য রক্তের সম্পর্ককেও বিসর্জন দেয়ার মতো ভয়ঙ্কর ইচ্ছাশক্তি সৃষ্টি করে #পাঠ প্রতিক্রিয়া। লেখকের দ্বিতীয় বই এটা। দ্বিতীয় বই হিসেবে লেখার ধরণ চমৎকার। সহজ আর সাবলীল ভঙ্গিমায় লেখা। লেখকের বাচনভঙ্গি,বর্ণনাভঙ্গি ভাললাগার মতন। লেখক কবিতা নিয়ে সংশয়ে থাকলেও কবিতাগুলোই ছিলো মনকেড়ে নেবার মতন। প্রতিটা কবিতা অসাধারণ। অসাধারণভাবে বলে গেছেন সব। শুভকামনা ভবিষ্যতের জন্য। ভালবাসা রাখবেন। পুনশ্চঃ বইটা নিয়ে নেতিবাচক রিভিউ থাকলেও বইটা অসম্ভব সুন্দর। পাঠকভেদে বইয়ের মান নির্ণয় হয়। আপনার কাছে ভালো লাগতে নাও পারে। আরেকজনের কাছে ভালো লাগতে পারে। তাই নেতিবাচক ছেড়ে ইতিবাচকে আসুন।
Read More
Was this review helpful to you?
By Akhi nur,
05 Feb 2021
Verified Purchase
📖#বইকথন বইয়ের নাম : অধ
মানুষের পুরো জীবনটা অধ্যায়ে অধ্যায়ে বিভক্ত। এ অধ্যায়গুলো লিখে রাখছেন স্বয়ং বিধাতা নিজেই। মানুষ জানে অধ্যায়গুলোর নাম, কিন্তু অধ্যায়গুলো লেখার ক্ষমতা মানুষের নেই। অামি, তুমি, অামরা কেউই জীবনসমগ্রের এ অধ্যায়গুলোর ঊর্ধ্বে নই। আমাদের জীবনের এ অধ্যায়গুলো সম্বন্ধে খুব একটা যেন জানা ছিলো না ইজাজ অানসারীরও। শখের কবি ছিলেন এই ইজাজ আনসারী। জীবন থেকে খুব চাওয়া পাওয়াও ছিলো না তার। একটা ছন্নছাড়া জীবন আর কিছু পংক্তি, এই আর কি! গোফরান চাচার মদের দোকানই ছিলো যেন তার ভালোলাগার স্থান। তিনকূলে কেউ বলতে আছে এক বন্ধু, আমির। আমিরের বাসায় আনসারীর যাওয়া হয়নি বহুদিন। আমির ও তার বোন পারুলের ছোট্ট সংসার। আমিরের বাবা-মা দেশে থাকেন না। বহুদিন না দেখা হওয়া বন্ধুর সাথে বুঝি দেখা না হলেই ভালো হতো আনসারীর। কেননা দেখা হওয়াতে কিছু অপ্রিয় ও নির্মম সত্যের মুখোমুখি হয় সে। গাড়ির ধাক্কা খেয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছিলো অানসারীকে। সেখানে দেখা একজন সুন্দরী, অপরূপা ডাক্তারনীর সাথে। চেহারার মত নামটাও বেশ সুন্দর, কনক। দ্বিতীয়বার দেখা হয় অামিরের জন্মদিনে। কারণ কনক হলো পারুলের বান্ধবীর কাজিন। এবারে ধীরে ধীরে অানসারীর ভিতরে এক ধরনের অনুভূতি তৈরি হতে থাকে, নাম যার 'প্রেমানুভূতি'।
'আচ্ছা তুমি কি খুব শান্ত? কথা বলে যে কঠোর - তা মনে হলো না তো! তবুও মন কেন জানি বলছে - তুমি খুব কঠোর, এটুকূ ভেবেই আমি দিশেহারা। জানি না আমি, তবে জানতে চাই - তুমি আসলে কেমন? আমি যেমন ভাবছি ঠিক ঠিক তেমন? নাকি তুমি তোমারই মতোন, অন্য রকম।'
কনককে উদ্দেশ্য করে এরকম অনেক পংক্তি মনের মধ্যে তৈরি করতে থাকে অানসারী। কিন্তু উল্টো দিকের মানুষটি কি ভাবছে অানসারীকে নিয়ে?
আনসারীর ছাত্র দিব্য। দিব্যর বাবা সোমনাথ বাবু আনসারীকে অত্যন্ত স্নেহ করেন। এমনকি অনেক কথা শেয়ারও করেন আনসারীর সাথে। সোমনাথ বাবু অনেক ভেবেচিন্তে আনসারীকে তার কোম্পানিতে চাকরির অফার দেন। আমেরিকার চাকরি। আনসারী জানত না তার ছন্নছাড়া জীবন এমনি করে পাল্টে যেতে পারে। রাজি হয়ে যায় আনসারী। আপাতত মাত্র পনের দিনের জন্য এই চাকরি। তাই যাওয়ার আগে কনক বা আমির কাউকেই কিছু বলে যায় না আনসারী। কিন্তু দেশে ফিরে আসতে বড্ড দেরি হয়ে যায় আনসারীর। আর তাতেই অনেক কিছু বদলে যায়। পাল্টে যায় আনসারীর জীবনের অধ্যায়। এর ঠিক কয়েক বছর পরে আবার নতুন করে দেখা হয় কনক ও আনসারীর। আর তাও আনসারীর জীবনের নতুন আরেকটি অধ্যায়ের সূচনালগ্নে। কনক-আনসারী জীবনটা কি এরকমভাবে বদলে যাওয়ার কথা ছিলো?
নিজস্ব অভিব্যক্তি : মানুষের জীবন সমগ্র বিচিত্র সব অধ্যায় দিয়ে সাজানো। ভারী অদ্ভুত মানুষের জীবন। ভাঙা-গড়া, জোয়ার-ভাটার খেলার মধ্য দিয়ে চলতে থাকে মানুষের এই জীবন। কখন, কী ভাবে জীবনের মোড় ঘুরে যায় তা কেউই জানে না। হয়তো জীবনের এ তত্ত্ব কথা নিয়ে ভাবা হয়না কখনোই। কিন্তু তকিব তৌফিক-এর 'অধ্যায়' শেষ করার পর আরেকটিবার ভাবলাম। লেখক পরিচিতিতে কথাসাহিত্যিক কিঙ্কর আহসান যেন ঠিকই লিখেছেন। আসলেই লেখক তকিব তৌফিকের গল্পগুলো আমাদের জীবন নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে। হতাশা আর স্বপ্নভঙ্গ নয়, ভালোবাসায় ভরে উঠুক প্রতিটি মানুষের জীবনের প্রতিটি 'অধ্যায়'।
Read More
Was this review helpful to you?
By Abdul Alim Hawlader,
08 Apr 2019
Verified Purchase
পড়ার পরে 'অধ্যায়'কে আমি ব্যক্তিগতভাবে তিনটি অংশে বিভক্ত করতে পারি— যার প্রথমাংশ আমার ভালই লাগতেছিলো। ভাল না লেগে উপায় ছিলো না। কিছু কিছু অংশ আমার নিজ চোখে দেখা বাস্তবের সাথে মিলে যাচ্ছিলো। কিন্তু, মধ্যাংশ আমার তেমন ভাল লাগেনাই। আবার শেষে অংশ পড়ে এমনিই আমার কান্না পাইলো। (জানিয়ে রাখা ভালো "আমার আবার আবেগ একটু বেশীই😂😂) বেশী বেশী খারাপ লেগেছিলো যখন আনসারীকে আমিরের লেখা চিটিতে আমির আর পারুলের মা-বাবার কথা জানতে পারলাম। তারপরে, খারাপ লেগেছিলো পল্লবীকে আমিরের লেখা চিঠি ও কবিতা পড়ে। শুধুই যে কষ্ট ল/আবেগ ছিলো তা না। এই উপন্যাসের কিছু কিছু অংশ পড়ে আমি হেসেছিলামও (মানে; কিছু কিছু অংশ পড়ার পরে আমার কাছে বিনোদনমূলক মনে হইছিলো।)
'অধ্যায়'এ মোট ১০টিরও বেশী কবিতা ও কয়েকটি চিঠি লেখা আছে। ২টি কবিতা বাদে বাকি সব কবিতা আমার ভাল লেগেছিলো। বেশী ভাল লেগেছিলো আমিরের লেখা কবিতা ও তার দু'টি চিঠিই আমায় কাঁদোকাঁদো ভাব করে ফেলেছিলো। এর জন্য অধ্যায় লেখককে আমি ধন্যবাদ জানিয়ে খুশি করবো না। যে সংবেদন লেখক সৃষ্টি করেছেন তাতে তার গল্প বলার ক্ষমতা টের পাওয়া যায়। সবকিছু ছাপিয়ে যা সবচেয়ে নাড়া দিয়েছে তা হল— আমিরের মৃত্যুর খবর। বন্ধুত্ব রক্ষা করতে আমিরের প্রতি আনসারীর ভালবাসা, অতপরঃ আমিরের কথা রাখতে আনসারীর ভালবাসাকে বলীদান করে পারুলকে বিয়ে করা। এবং শেষ দিকে আনসারীর প্রতি কনকের অনুভূতি অতপরঃ আর কখনো কনক সংসার গড়বে না। এবং নোটপ্যাডে লেখা কণকের কথাগুলি।
**এই ১২৬ পেইজের 'অধ্যায়' পড়ে ব্যক্তিগতভাবে বলছি— লেখক তৌফিক শতভাগ সফল। 'অধ্যায়' আমি পড়েছি। পাঠকদের আমি অধ্যায় সংগ্রহ করার জন্য বাধ্য করবো না। তবে এতটুকু গ্যারান্টি দিতে পারি। 'অধ্যায়' না পড়লে পাঠকেরা চরম একটা 'অধ্যায়' মিস করবে।
**লেখকের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, "লেখা চালিয়ে যান।"
★সব কথার শেষ কথা, "বই নিয়ে কথা হোক। বইয়ের কথা ছড়িয়ে যাক সর্বত্র।"
★সকলের প্রতি রইলো অফুরন্ত শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।★
Read More
Was this review helpful to you?
By Haidar Ali,
28 Dec 2019
Verified Purchase
লেখকের প্রকাশিত ২য় উপন্যাস। আনসারী বাবা মা হারা এক যুবক। ডিগ্রি পাস তবুও কোন চাকরি তাকে কখন সেরকম টানে নি। টিউশনি করে নিজে চলার মত চলতে পারত বলে তার আর চাকরি করাটা হয়ে উঠেনি। কবিতা তাকে খুব টানে তাই সময় পেলে কবিতা লেখে। তার কবিতার সবচেয়ে বড় ভক্ত তার একমাত্র বন্ধু আমির। মাতাল অবস্থায় একদিন ট্যাক্সি ক্যাবের সাথে ধাক্কা খেয়ে হাসপাতালে যেতে হয়। সেখানে এতদিন ধরে নিজের অগোছালো জীবনের অবলম্বন হিসেবে সে যে কাক্ষিত মানুষের খোঁজ করছিল তার অববয় দেখা পেল ডাক্তার কনকের ভেতর। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও সেই ডাক্তারের কাছ থেকে নিজের মনকে কোনভাবেই ছাড়াতে পারে নি আর কখনোই পারা হয়ে উঠেও নি। কাকতালীয় ভাবে সেই ডাক্তার কনকের সাথে দেখা হয় আমিরের জন্মদিনে। সেইদিন থেকে শুরু হয় দুটো গল্প। একদিকে আমিরের গোপনে বিয়ে করা আর নিজের ভিতর বয়ে বেড়ানো মরণ-ব্যাধি ক্যান্সার। অন্যদিকে আনসারীর কনকের জন্য না বলা অনুভূতি আর তার লেখা কনকে গোপন চিঠির খেলা। হঠাৎ করে সোমনাথ বাবুর প্রস্তাব রাখতে গিয়ে আমেরিকায় গিয়ে আটকে পড়ে যায় সে। কনক ইতিমধ্যে জেনে গেছে আনসারীর গোপনে দেয়া চিঠি আর সেও তার অপেক্ষা করতে থাকে দিনের পর দিন। একটা সময় নিজেকে সামলে নেয়, ভেবে নেয় আনসারী আর ফিরবে না। আনসারী ফিরে আসে তবে এসে নিজের সেই কাক্ষিত মানুষকে হারাতে হয় দায়িত্ব আর বন্ধুর দেয়া শেষ কথা রাখতে গিয়ে।
Read More
Was this review helpful to you?
By Dr. Asif Shufian Arnab,
28 Dec 2019
Verified Purchase
মানুষের জীবনটা ঠিক একটা বইয়ের অধ্যায়ের মত। সে জানেও না কখন তাকে কোথায় যেতে হবে। সময় আর পরিস্থিতি তাকে দাড় করিয়ে দেয় নতুন এক অধ্যায় সেখানে হয়তো তাকে বিসর্জন দিতে হয় দায়িত্বের আর কর্তব্যের কাছে নিজের মনের অব্যক্ত অনুভূতি, ভালো লাগা, ভালোবাসা সব কিছুর। নিজেকে মিথ্যা আবরণে জড়িয়ে নতুন দায়িত্বের জন্য বেঁচে থাকার কঠিন যুদ্ধ। যার খোঁজ হয়তো এই পৃথিবীর কারোই জানা হয়ে উঠে না। সবাই বইটি পড়ে দেখবেন।
Read More
Was this review helpful to you?
By Xavier Rahman,
23 Jul 2020
Verified Purchase
আগামীর সম্ভাবনাময়ী লেখক তকিব তৌফিক অধ্যায় উপন্যাসে রোমান্টিক গল্প উপস্থাপন করলেও সেটা এমন এক বাস্তবিক পরিণতি আর ঘটনার মুখোমুখি হবার চিত্র দেখিয়েছেন যা সত্যিই দারুণ।
অধ্যায় মানেই যেনো উপলব্ধি।
Read More
Was this review helpful to you?
By Tanzila,
01 Nov 2021
Verified Purchase
বাংলা সাহিত্যে প্রেমের উপন্যাসের এক ভিন্নতা হল অধ্যায়।