বড় ধুম-ধাম করে বিয়ে দিয়েছিল বাবা, পাশের বাড়ির শাহজানের সাথে, শাহানা ও খুশি যােগ্য স্বামী পেয়ে। স্বামী তাহার গরীব কিন্তু বেকার না একটি রিক্সা, একটি ভ্যান গাড়ি আছে তার। স্বামীর সংসারে সুখেই আছে বেশ, শাহজাহান ভালাে ছেলে গ্রামে তার সুনাম অশেষ। এক বছর পর তাদের সংসারে এলাে এক নতুন অতিথি, মসজিদের হুজুর ডেকে নাম রাখলাে- জাহানারা আক্তার, সবাই আদর করে জানু ডাকে, শাহানার স্বামী শাহানাকে ডাকেন শানু- ভালােবাসার মানুষকে মানুষ এভাবেই ডাকে, শাহানার ও খুব ভালাে লাগে স্বামীর ভালােবাসার কাছে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আনন্দ পায়, শাহানার মেয়ের বয়স দু’বছর পার হতে না হতেই তাদের ঘরে আসে আরও এক নতুন অতিথি শাহানা জন্ম দেন ফুটফুটে একটা ছেলে সন্তান/নাম রাখলাে মােহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, সবাই জাহিদ ডাকে, দাদি আদর করে যাদু ভাই ডাকেন, কিছু দিন যেতেই সন্তানদের অসুখ বিসুখ সহ নানান রকম সমস্যা দেখা দিয়েছে, এক কথায় সংসারের অভাব অনটন লেগেই আছে, শাহানা স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে, স্বামীকে তার অসহায় মনে হয়, একদিন সে তার এক নিকট আত্মিয়র কাছে তার স্বামীর জন্য সৌদি আরবের একটি ভিসা চায়। তিনি শাহানাকে আশ্বস্ত করেন। বেশ কয়েক মাস পরে খবর আসে শাহজানের ভিসা রেডি হয়ে গেছে, খুশীতে সবাই আত্মহারা কিন্তু দুঃখের কথা হচ্ছে ভিসার টাকা ও টিকেটের টাকা জোগাড় করা।