কাহিনী পরিচিতঃ “জুলিয়া, আমি! জলদি আমাকে কল ব্যাক কর। প্লিজ, জুলিয়া। খুবই জরুরী...” মৃত্যুর ঠিক আগের দিনটাতে, নেল তার বোন জুলকে ফোন করেছিল। কিন্তু জুল ফোন ধরেনি; আর জানতেও পারেনি কি মর্মান্তিক পরিণতি ওকে বরণ করতে হয়েছিল। নেল ইতোমধ্যে পাড়ি জমিয়েছে না ফেরার জগতে। লোকে বলে, সে পানিতে ঝাপ দিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে। আর ওদিকে জুলকে তার নিয়তি আবারও সেই জায়গায় টেনে নিয়ে আসে, যে জায়গা সে চিরতরে ছেড়ে গিয়েছিল বলে বিশ্বাস করে এসেছে। এখন বোনের পাগলাটে টিনএজ মেয়েকে দেখভাল করার দায়িত্ব বর্তাল জুলের উপরই। কিন্তু জুল খুব ভয় পাচ্ছে। প্রচণ্ড ভয়। তার দীর্ঘ দুঃস্বপ্নের স্মৃতি থেকে, সেই পুরাতন মিল হাউজের স্মৃতি থেকে জুল যেন কখনোই পালিয়ে বাঁচতে পারবে না। তাড়া করে ফিরবে আজীবন! আর সবচেয়ে বেশি সে ভয় পায় পানিকে, আর ডুবন্ত পুল নামে পরিচিত সেই ভয়ানক জায়গাটাকে। ‘দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন’ উপন্যাসের সেই আলোড়ন সৃষ্টিকারী লেখিক পলা হকিন্স ফিরে এসেছেন তার টানটান উত্তেজনার লেখনি আর মানব মনের সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম অনুভূতির পূংখানুপূংখ বিশ্লেষণ নিয়ে। অতীত যে কখনো কখনো আমাদের সামনে অনিবার্যভাবে হাজির হয়ে বর্তমানকেও তছনছ করে দেয়, ইনটু দ্য ওয়াটার গ্রন্থে লেখক সেই নিদারুণ ব্যাপারটিই তুলে ধরেছেন দারুণভাবে।