"কালান্তরে শিক্ষা" বইয়ের ফ্যাপের লেখা: শৈশবে একসময়ে খাগের কলম দিয়ে লেখার অভ্যাস শুরু করেছিলাম। তারপর একসময়ে শ্লেট-পেন্সিলে লেখা অভ্যাস করলাম। তারপর উডেন পেন্সিলে কাগজে। পরের ধাপে দোয়াত কলমের ব্যবহার। সে কলম ছিলাে লম্বা, আগায় লােহা বা পিতলের তৈরি নিব। দোয়াতে চুবিয়ে চুবিয়ে লিখতে হতাে, ব্যবহার করতে হতাে চোষ কাগজ তথা ব্লটিং পেপার । প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েছিলাম সাড়ে তিন টাকার কেনা রাইটার নামীয় ফাউন্টেন পেন দিয়ে। স্বাধীনতা উত্তরকালে বলপেন ব্যবহার শুরু করি। দুই হাজার খ্রিষ্টিয় সালে যখন অধ্যাপনার চাকুরি শেষ করি তখন নেত্রকোনা সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ আমাকে বিদায় জানাতে গিয়ে উপহার দেয় একটি কম্পিউটার। এর সাহায্যে দশ আঙ্গুলে লেখা শুরু হয় কীবাের্ডে। এখনাে তাই চলছে। সময়ান্তরে ল্যাপটপ সংগ্রহ করে ফেসবুকের সঙ্গে পরিচয় হয়। আমার ছাত্র-ছাত্রীদের সহযােগিতায় ‘যাচ্ছেতাই' লিখতে শুরু করি। আমার এককালের সহকর্মী ও বর্তমানে নেত্রকোনা সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর আফজালুর রহমান জোর করেই আমার ফেসবুকের প্রবন্ধগুলাে প্রকাশনার তাগিদ দিয়ে বিভাস প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আমাদের স্নেহাস্পদ ছাত্র রামশংকর দেবনাথকে প্রবন্ধগুলাে পুস্তক রূপ দিতে বলে। সে সাগ্রহে রাজী হয়। বইটির মাঝে যে-সকল ভুল-ভ্রান্তি রয়েছে তার সম্পূর্ণ দায় আমার।