“দেওয়ানী মোকদ্দমার স্তরবিন্যাস" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: কিছু কথা দেওয়ানী মােকদ্দমা পরিচালনা করিতে হইলে বেশ কিছু নিয়মকানুন মানিয়া চলিতে হয়। যে নিয়ম-নীতিগুলাে দেওয়ানী কার্যবিধি আইনে বর্ণনা করা হইয়াছে। এই কারণেই ইহাকে বলা হয় দেওয়ানী কার্যবিধি। মূলত দেওয়ানী কার্যবিধি এইটি কোনাে আইন নয়। যদিও আমরা প্রায় সময় দেওয়ানী কার্যবিধি আইন বলিয়া থাকি। মােকদ্দমা বা বিচারকার্য কিভাবে পরিচালিত হইবে দেওয়ানী কার্যবিধি হইতেছে তাহার একটা দিকনির্দেশনা Guide Line (গাইড লাইন) বিচার প্রক্রিয়া যাহাতে সুন্দরভাবে পরিচালিত হইতে পারে এবং শৃঙ্খলার সহিত সুন্দরভাবে শেষ হইতে পারে তাহারই সংক্ষিপ্ত আকারে একটি ধারাবাহিক বর্ণনা এই বইটির মধ্যে প্রদান করা হইয়াছে। যাহার দরুন এই বইটির নামকরণ করা হইয়াছে ‘দেওয়ানী মােকদ্দমার স্তরবিন্যাস'। একটি দেওয়ানী মােকদ্দমা আরজি দাখিলের মাধ্যমে শুরু করিতে হয়। যেটাকে ফাইলিং বলা হয়। ফাইলিং SR, W/S ধারা ৮৯ (এ), ধারা ৩০ এর পদক্ষেপ, ইস্যু গঠন, S/D, P/H, F.P.H Argument রায়, ডিক্রি মােট ১১টি স্তর পাড়ি দিয়া একটি মােকদ্দমার শেষ পরিণতি বা সমাপ্তি ঘটে। যেমন ওপরে বর্ণিত সব কয়টি বিষয় হইতেছে। দেওয়ানী মােকদ্দমা পরিচালনার ক্ষেত্রে মূল স্তর। একটি মূল মােকদ্দমা অতিক্রান্ত হইতে ওপরে উল্লেখিত সব কয়টি স্তর পাড়ি দিতে হইবে। তাই উল্লেখিত স্তরগুলাের মধ্যে কোনাে স্তরে আইনজীবীকে কি কাজ বা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে হইবে তাহা যদি উল্লেখিত স্তর সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকে তাহা হইলে এবং বিষয়গুলাে জানা না থাকিলে আইনজীবীর মনে নানা ধরনের প্রশ্ন জাগিতেই থাকিবে। আর তাহা জানার জন্য বিভিন্ন আইনজীবী, বন্ধু বান্ধব ও সিনিয়রদের নিকট বারবার দ্বারস্থ হইতে হইবে যেই আইনজীবীর মােকদ্দমার প্রতিটি স্তর সম্পর্কে যতটা স্বচ্ছ ধারণা থাকিবে সেই আইনজীবীর মােকদ্দমা পরিচালনা ততটা সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হইবে এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবে।