লেখকদের নিজস্ব কোন জীবন থাকে না। তাদের জীবন হচ্ছে পরজীবীদের মত। তাদের সৃষ্ট চরিত্রদের জীবনের ওপর ভর করে তাদেরকে বাঁচতে হয়। কিন্তু যখন একজন লেখক রাইটার্স ব্লকের অসহায়ত্বে ভুগতে থাকেন? জীবন ধারন করে বেঁচে থাকার মত আর কোন চরিত্র যখন তার কাছে আর থাকে না? তখন? কোথায় গিয়ে এই অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি চান তারা? ম্যাডাম আনানসি ফিসফিস করে বললেন- এই শহরে এমন কিছু জায়গা আছে, যেখানে লেখকরা একবার গেলে আর কখনো ‘লেখক’ হয়ে ফিরে আসে না। খুন হতে শুরু হলেন বেশ কিছু লেখক ও প্রকাশক। ধীরে ধীরে প্রকাশিত হতে শুরু করল এই প্রকাশনা জগতের এক ঘোলাটে অতীত। কে এই ‘পাছাখানার(!) ভূত’। আদাবরের পরিত্যাক্ত গীর্জায় কি এমন আছে? যার ঘন্টা মনে করিয়ে দেয় ভুলে যাওয়া এক কিংবদন্তী। এই বিষাক্ত ঘোলা জলে ডুবে যেতে থাকেন জনৈক ভূত লেখক- টাকার বিনিময়ে যিনি অন্যের হয়ে বই লিখে দেন, একজন ক্রিমিনোলজিস্ট এবং ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চের একজন ক্লান্ত এজেন্ট; ডুবে যেতে থাকেন গভীরে, আরো গভীরে। একজন লেখক, যিনি টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে বই লিখে দেন, আর একজন লেখক যিনি খ্যাতির মোহে বই লিখে যান। দুজনের সমান্তরাল জীবন মিলে যায় এক ফোঁটা রক্ত বিন্দুতে। ঢং করে ঘড়িতে ঘন্টা বাজে, আর নিমি নামের বিড়ালটা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ঘড়ির কাঁটার দিকে- সময় কত দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে!