"বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার সরকার (২০০৯-২০১৮)" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ ২০০৯-২০১৮, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ইতিহাসে এক স্বর্ণযুগ। শুধু অঙ্গীকার রক্ষায় যাদুকরী এক নেতৃত্বে, এক মনে ও ধ্যানে পিতার অঙ্গীকার পূরণে নির্ভীক চিত্তে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে যাত্রা শুরু হলাে ১৯৮১ সাল থেকে। সেই থেকে চলছে আজ অবধি। তার নাম হাসু থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে বিশ্ব মানবতার জননী হিসেবে, পরিণত হয়েছে বিশ্বের বিস্ময়, উন্নয়নের রােল মডেল ও মানবতার এক শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হিসেবে। যিনি মহান সৃষ্টিকর্তা ও জাতির ভাগ্য উন্নয়ন ছাড়া কাউকেই/কোন কিছুকেই পরােয়া করেন না। ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি-স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি- বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযােদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে, সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর একটা প্রদেশকে মননশীল ও উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করতে। ১৯৭১ সালের নৃশংস মানবতা বিরােধী অপরাধ, ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড, জাতীয় চার নেতার জেল হত্যা এবং ২০০৪ সালে ২১ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতাে মরণ কামড়ে বারংবার ভূলণ্ঠিত হয়েছে। দেশ ও জাতির ভাগ্য উন্নয়নের স্বপ্ন। ওই আক্রমণগুলো শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যার জন্য নয়, বরং দার্শনিক অর্থে উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও আদর্শকে মুছে ফেলে কালাে একটি অধ্যায়কে নিশ্চিত করা- তা'হলাে বাংলাদেশের নাম মুছে ফেলে বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতি সত্তাকে চিরতরে হত্যা করে আবারও মুক্তিযুদ্ধবিরােধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পুনঃস্থাপন করা। গভীর অন্ধকার খাদে নিমজ্জিত, ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে তুলে দলকে সঠিক সাংগঠনিক রূপ দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ১৯৮১ সাল থেকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন জাতির পিতার সেই সােনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে। বিশেষ করে ২০০৯-২০১৮ এই সময়ে দিন বদলের সনদ নিয়ে বহুমূখী শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন ও তারুণ্যের মূল্যায়ন, ভূমিহীনদের আশ্রয়ন, আইন-শৃঙ্খলা, যােগাযােগ ব্যবস্থা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই অগ্রগতি এনে দেশে ও বিশ্বের সচেতন মহলে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছেন এক বিশ্ব মানবতার নেত্রী হিসেবে। যদিও আজ-অবধি থেমে থাকেনি সেই রাজাকার, আল-বদরদের প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রের পতাকা খামচে ধরার ষড়যন্ত্র। শত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও নির্ভীক ও সাহসিকতার এক অপূর্ব প্রতিশ্রুতি নিয়ে কবি সুকান্তের ভাষায় তিনি আবৃত্তি করেন--- “চলে যাব-তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ প্রাণপণে পৃথিবীর সরাবাে জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযােগ্য করে যাব আমি নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার-” কখনও বা অসমাপ্ত পিয়াসু বাংলার প্রেমিক চিত্তে সাধ না মেটার ও আমাদের ছেড়ে যাওয়ার স্বরে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দের ভাষায় এই বিশ্ব মানবতার জননীর মুখে উচ্চারিত হয়েছে- “আবার আসিব ফিরে এই বাংলায়-” এই গ্রন্থে গত দশ বছরের বদলে যাওয়া বাংলাদেশের গৌরবজ্জ্বল অর্জনের দলিলসমূহ উপস্থাপন করা হয়েছে।
Title
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার সরকার (২০০৯-২০১৮)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ গ্রামের শেখাবাদে ১৯৮১ সালে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম হয় শেখ আদনান ফাহাদের। বাবা ভাষা সংগ্রামী, মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শেখ মো. আবু হামেদ ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়ে গ্রামে ফিরে যান। সেখানে তিনি সরাইল ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন । সরাইল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ আবু হামেদ-এর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ আদনান ফাহাদের মা মরহুম নূরজাহান বেগম রত্নগর্ভা বলে পরিচিত ছিলেন। শেখ আদনান ফাহাদ ১৯৯৮ সালে কুমিল্লা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার মানবিক শাখায় ১৮তম স্থান অর্জন করেন। ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই যোগদান করেন বার্তাসংস্থা ইউএনবি'তে। ইউএনবির প্রতিনিধি হিসেবে ২০০৬-২০০৮ পর্যন্ত কাজ করেছেন আওয়ামী লীগ বিটে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিডিয়া টিমে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিডিয়া টিমের সদস্য হিসেবে ২০০৯-২০১১ সালে কাজ করেছেন বিশ্বের কমপক্ষে ১৫টি দেশে। সাংবাদিকতা জীবনের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগে ২০১৯ সালের ২১ মার্চ থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। নিয়মিতভাবে বিভিন্ন জার্নালে গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হচ্ছে শেখ আদনান ফাহাদের। ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে সংবাদের পূর্ব-পশ্চিম নামে একটি গবেষণাগ্রন্থ। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে