‘মাইন্ডসেট: চেঞ্জিং দ্য ওয়ে ইউ থিংক টু ফুলফিল ইয়োর পটেনশিয়াল’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ ক্যারল ডিউইক ব্যক্তিত্ব, সামাজিক মনোবিজ্ঞান ও উন্নয়নমুখী মনোবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত একজন গবেষক । তিনি কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে সাইকোলজির উইলিয়াম বি. রেন্সকোর্ট প্রফেসর ছিলেন এবং বর্তমানে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে সাইকোলজির লিউস ও ভার্জিনিয়া ইটন প্রফেসর এবং আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস এন্ড সায়েন্স’ এর সদস্য হিসেবে আছেন। তাঁর “সেলফ-থিয়োরিস, দেয়ার রোল ইন মটিভেশন, পার্সোনালিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট” বইটি ওয়ার্ল্ড এডুকেশন ফেলোশীপ কর্তৃক ‘বুক অব দ্য ইয়ার’ এর সম্মান লাভ করেছে । নিউ ইয়র্কার, টাইম, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোষ্ট ও বোষ্টন গোবে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার পালো এলটো’তে স্বামীর সাথে বাস করেন । প্রচ্ছদ : অমর্ত্য আতিক সূচিপত্রঃ ভূমিকা- ১১ প্রথম অধ্যায় চিন্তাধারা- ১৫ মানুষ কেন বিভিন্নরকম হয়- ১৬ এগুলোকে আপনার কেমন মনে হয়? দুটি চিন্তাধারা- ১৭ দুটি চিন্তাধারার দর্শন- ১৯ কাজেই, নতুন কি পেলেন?- ২১ আত্মোপলব্ধিঃ নিজের সম্পদ ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা কার আছে- ২৩ কি কি জমা আছে- ২৩ দ্বিতীয় অধ্যায় চিন্তাধারার গভীরে- ২৬ সফলতা কি শেখা না নিজেকে স্মার্ট প্রমাণ করা?- ২৭ চিন্তাধারা পরাজয়ের অর্থ বদলে দেয়- ৪৩ চিন্তাধারা প্রচেষ্টার অর্থ বদলে দেয়- ৫০ প্রশ্ন ও উত্তর- ৫ তৃতীয় অধ্যায় সামর্থ্য ও সম্পাদনের ব্যাপারে সত্যতা- ৬৪ চিন্তাধারা ও স্কুলের অর্জন- ৬৫ শৈল্পিক ক্ষমতা কি জন্মগত?- ৭৫ সুনামের বিপদ ও ইতিবাচক স্তর- ৭৯ নেতিবাচক স্তর ও এটি কিভাবে কাজ করে- ৮৩ চতুর্থ অধ্যায় খেলাধূলা : একজন চ্যাম্পিয়ানের চিন্তাধারা- ৯০ সহজাত মতবাদ- ৯১ চরিত্র- ৯৮ সফলতা কি?- ১০৫ ব্যর্থতা কি?- ১০৬ সফলতার দায়িত্ব গ্রহণ করা- ১০৮ সপ্তম অধ্যায় বাবা-মা, শিক্ষক ও কোচ: চিন্তাধারা কার কাছ থেকে আসে?- ১৮১ বাবা-মা (এবং শিক্ষকেরা) সফলতা ও ব্যর্থতার বাণী- ১৮৩ শিক্ষক (এবং বাবা মায়েরা) : মহান শিক্ষক (বা বাবা-মা) কেমন করে হওয়া যায়?- ২২২ কোচ : চিন্তাধারার মাধ্যমে জয়লাভ- ২১১ মেকি পরিপক্ক চিন্তাধারা- ২২০ আমাদের উত্তরাধিকার- ২২৬ অষ্টম অধ্যায় পরিবর্তিত চিন্তাধারা- ২২৮ পরিবর্তনের প্রকৃতি- ২২৮ মাইন্ডসেট লেকচার- ২৩২ মাইন্ডসেট ওয়ার্কসপ ২৩৪ ব্রেইনোলজি- ২৩৭ পরিবর্তনের ব্যাপারে আরো কিছু- ২৩৯ উন্নয়নের জন্য নিজেকে মুক্ত করে দেয়া- ২৪২ যেসব মানুষ বদলাতে চায় না- ২৪৬ আপনার সন্তানের চিন্তাধারা বদলান- ২৫০ চিন্তাধারা ও ইচ্ছাশক্তি- ২৫৫ পরিবর্তন বজায় রাখা- ২৫৯ একটি (প্রকৃত) পরিপক্ক চিন্তাধারার পথে যাত্রা- ২৬১ শেখা ও শিখতে সাহায্য করা- ২৬৮ সামনের পথ- ২৭০ ভূমিকাঃ একদিন আমার ছাত্রছাত্রীরা আমাকে বসালো আর এই বই লেখার অনুরোধ জানাল। তারা চাইল অন্য লোকেরা আমাদের কার্যক্রম ব্যবহার করে জীবনকে সুন্দর করে তুলুক। এরকম কিছু আমিও করতে চাইছিলাম, তবে এরপর ব্যাপারটি আমার জন্য প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়াল। আমার কাজ হল সাইকোলজির সেই অংশ নিয়ে যা মানুষের বিশ্বাসের শক্তিকে প্রকাশ করে। এই বিশ্বাসগুলো সজ্ঞানে বা অজ্ঞানে আমরা হয়ত ধারণ করি, তবে আমাদের চাওয়া ও প্রাপ্তির সফলতায় এগুলোর জোরালো প্রভাব রয়েছে । কেবল তা-ই নয়, মানুষের পরিবর্তিত ন্যূনতম বিশ্বাসেরও শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। এই বইয়ে আপনি জানতে পারবেন, একটি সহজ বিশ্বাস আপনার জীবনের বৃহত্তর অংশ কিভাবে পরিচালনা করে। মূলত: এটি আপনার জীবনের প্রতিটি অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যক্তিত্ব অনুসারে আপনার ভাবনার বেশিরভাগ অংশ এই চিন্তাধারা থেকে উৎপন্ন হয়। আপনার সুপ্তশক্তি বিকাশের পথে সে বাধা, তার বেশিরভাগ এখান থেকে জন্ম নেয়। এই চিন্তাধারায় ব্যাপারে কোন বইয়ে বিশ্লেষণ করা হয়নি এবং মানুষের জীবনে এর ব্যবহার সম্পর্কে জানা যায়নি। আপনি বিজ্ঞান ও কলা, খেলাধূলা ও ব্যবসার ব্যাপকতা বুঝতে পারবেন। আপনার সহপাঠি, বস্, বন্ধু, বাচ্চাদের আপনি বুঝতে পারবেন। আপনার নিজের ও সন্তানদের সুপ্তশক্তিকে কিভাবে বিকশিত করতে হয়, তা দেখবেন। আমার নিজস্ব দর্শনকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমি আনন্দিত। প্রতিটি অধ্যায়ে আমি হেডলাইন এবং নিজের জীবন ও অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত গল্পগুলো লিখেছি, যাতে চিন্তাধারাকে আপনি কাজে লাগাতে পারেন । (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নাম ও ব্যক্তিগত তথ্যগুলোকে বদলে দেয়া হয়েছে; কিছুক্ষেত্রে অনেক মানুষের কথা একজনের মাধ্যমে বলা হয়েছে যাতে বক্তব্য পরিষ্কার হয়। কিছু ঘটনা স্মৃতি থেকে নেয়া হয়েছে আর আমি সেক্ষেত্রে নিজের সবটুকু দেয়ার চেষ্টা করেছি।
আমেরিকান এই মনস্তাত্ত্বিক তাঁর মাইন্ডসেট তত্ত্ব ও এই শীর্ষক লেখনী দিয়ে বদলে দিয়েছেন সাফল্যের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি। মানুষের অন্তর্নিহিত সক্ষমতা নাকি সাফল্যকে আমরা যেভাবে দেখি তার উপর আমাদের সফলকাম হওয়া নির্ভর করছে এই চ্যালেঞ্জটি মনস্তাত্ত্বিক অধ্যাপক ক্যারল এস ডিউইক এর বই সমগ্রতে তিনি পাঠকদের প্রতি ছুঁড়ে দেন। ক্যারল এস ডিউইক এর জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৭ই অক্টোবর আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে। এক্সপোর্ট-ইমপোর্টের ব্যবসায়ী বাবা ও এডভার্টাইজিং চাকুরে মায়ের তিনি ছিলেন একমাত্র কন্যাসন্তান। তিন ভাইবোনের মাঝে মেঝো সন্তান ছিলেন ক্যারল। ছোটবেলায় স্কুলে আইকিউ টেস্টের রেজাল্টের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের সিটে বসার নিয়ম ছিলো। যাদের আইকিউ ছিলো সবার থেকে বেশি তারা সুযোগ পেতেন ব্ল্যাকবোর্ড মোছার, পতাকা বহনের কিংবা প্রিন্সিপালের কাছে নোট নিয়ে যাওয়ার। আইকিউ টেস্ট ক্যারলের কাছে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও সেই সময় আর সব শিক্ষার্থীর মতো ক্যারলও চাইতেন অন্যদের মাঝে সফল হতে। এই যে আইকিউ টেস্টের এই বিশেষায়ন এটাই ক্যারলের উন্নয়নের একটি অন্যতম বিন্দু হয়ে গিয়েছিলো। ক্যারল ১৯৬৭ সালে বার্নার্ড কলেজ থেকে তাঁর গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন এবং ১৯৭২ সালে ইয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে মনস্তত্ত্বের উপর পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। গ্র্যাজুয়েশনের পর পর ক্যারল এস ডিউইক তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন ইলিনয় ইউনিভার্সিটি থেকে। এছাড়াও তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতেও অধ্যাপনা করেন ও ফ্যাকাল্টি হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। বর্তমানে তিনি স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে মনস্তত্ত্বের ল্যুইস এন্ড ভার্জিনিয়া ইটন প্রফেসর পদে অধ্যাপনা করছেন। অধ্যাপক ক্যারল এস ডিউইক এর গবেষণার মূল আগ্রহের বিষয় ছিলো মোটিভেশন, ব্যক্তিত্ব ও উন্নয়ন। এই বিষয়ে কাজের জন্য তিনি প্রচুর খ্যাতিও অর্জন করেছেন। তাঁর বই ‘সেলফ থিওরিজ: দেয়ার রোল ইন মোটিভেশন, পার্সোনালিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট’ বইটি ১৯৯৯ সালে ওয়ার্ল্ড এডুকেশন ফেডারেশন কর্তৃক বুক অফ দ্য ইয়ার ঘোষিত হয়। ক্যারল এস ডিউইক এর বাংলা অনুবাদ বই সমূহ এর মধ্যে ‘মাইন্ডসেট: চেঞ্জিং দ্য ওয়ে ইউ থিংক টু ফুলফিল ইয়োর পটেনশিয়াল’ বইটি বেশ পাঠকপ্রিয় এর সাবলীল ও সহজ বর্ণনার জন্য। ক্যারল এস ডিউইক তাঁর বিস্তৃত কর্মজীবনে জেমস ম্যাককিন ক্যাটেল আজীবন সম্মাননা পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার লাভ করেছেন।