"উত্তরণের স্বপ্ন" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা” আমরা বাঙালিরা দুঃখবিলাসী। মােটিভেশন আমাদের কাছে অপশনাল, অনেকটা ফোর্থ সাবজেক্টের মতাে। থাকলে ভালাে হয়, না থাকলেও চলে। কিন্তু মােটিভেশন তথা কোনাে কাজ করার অনুপ্রেরণা তাে আর সব সময় থাকে না, তাই না? তাই এর চর্চা করতে হয়, অনেকটা প্রতিদিন গােসল করার মতাে। গােসল করলে যেমন আপনার শরীর সজীব হয়, কাজে নেমে পড়ার জন্য নতুন ভাবে উদ্দীপ্ত হয়, ঠিক তেমনি করে মােটিভেশন আপনার মনকে প্রতিদিন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের জন্য তৈরি করে। প্রতিদিন আপনাকে এর অনুশীলন করতে হবে, প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তবে সেটা শারীরিক নয়, মানসিক। আমার “বদলে যান এখনই” ও “বদলে যান এখনই ২” বই গুলাের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “বদলে যান” অর্থাৎ আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করুন, কিন্তু আমরা খুব কমই সেটা করতে পছন্দ করি। আমরা আত্মউন্নয়ন করতে চাই, কিন্তু এর জন্য কোনাে কষ্ট স্বীকার করতে চাই না, কোনাে অনুশীলন করতে চাই না। তাই আমার “উত্তরণের স্বপ্ন” বইটিতে আমি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করার উপর আলােকপাত করেছি। আমাদের চিন্তা ভাবনার সামান্যতম পরিবর্তনই আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনের নানা সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ দেখায়। তাই উত্তরণের স্বপ্ন দেখুন। আপনার স্বপ্ন আপনাকে বিজয়মাল্য এনে দেবে।
Tarique Huq জন্ম ১৭ জুলাই, ১৯৫১, ঢাকা। বাবা মরহুম ফজলুল হক, মা মরহুমা সামসুন্নাহার হক। ঢাকা ইউনির্ভাসিটি থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স করে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ এয়ার ফোর্সে প্রথম। জিডি পাইলট ব্যাচে যােগদান করেন। পারিবারিক কারনে এয়ার ফোর্স ছেড়ে দিয়ে। রাশিয়া চলে যান। সেখানে অ্যারােফ্লোটে হেলিকপ্টার পাইলট হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৮০ সালে চলে আসেন জার্মানীতে। এখানে। কমপিউটার সাইন্সে পড়াশুনা করে কাজ করছেন জার্মানীর এক নামকরা ব্যাংকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। বর্তমানে স্ত্রী ওলগা, ছেলে পাভেল, পুত্র বধু লেনা আর একমাত্র নাতনী ভিক্টোরিয়াকে নিয়ে জার্মানীর ডুসেলড্রফ শহরে বসবাস করছেন।