"সারপ্রাইজিং সায়েন্স পাজলস" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: বেশিরভাগ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের পেছনে একটি করে গল্প থাকে, একটি করে সমস্যা থাকে। সেই সমস্যা সমাধান করার জন্যই আবিষ্কার। সমস্যাগুলাে সমাধানের আগে বেশিরভাগ সমস্যাকে পাজলের মতাে মনে হয়। এসব সমস্যার কোনােটা এতই জটিল যে এগুলাে সমাধান করতে বছরের পর বছর লেগে যায়। নিয়মিত পাজল সমাধান করার অভ্যাস মানুষের যুক্তিকে আরও বেশি তীক্ষ্ম করে। যুক্তি প্রয়ােগে নির্ভুলতা বৃদ্ধি করে। আমরা যে মহাবিশ্বে বাস করছি তার গঠন বেশ জটিল। আধুনিক বিজ্ঞানের এই ক্ষিপ্র অগ্রগতি সত্ত্বেও আমরা এখনাে তাকে পুরােপুরি বুঝতে পারিনি। আমাদের চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা কিন্তু পাজলের সবথেকে বড় উৎস। বেশিরভাগ সময়ই এগুলাে আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। তার অবশ্য কারণও আছে। প্রকৃতি কী নিয়ম মেনে চলে তা জানার জন্য আমরা খুব কম সময়ই ব্যয় করি। সেই প্রাচীনকাল থেকেই পাজল বা ধাঁধার উত্তর খুঁজে বের করার বিষয়টি বেশ জনপ্রিয়। তবে সময়ের সাথে পাজলের ধরন বদলে যায়। পাজল তৈরি করা একটি কঠিন কাজ। কিন্তু তবুও পাজল বইয়ের লেখকরা। প্রচুর বই লিখতে পারেন। কারণ তারা অন্যদের তৈরি করা দেশি বিদেশি পাজল সংগ্রহ করেন। তবে সংগ্রহ করা পাজলগুলাে যে সবসময় হুবহু একই রকম থাকে এমন বলা যাবে না। প্রসঙ্গ ও সময়ের পরিবর্তনের সাথে লেখক তাতে নতুন কিছু যােগ বিয়োেগও করে থাকেন। এ বইয়ের বেশিরভাগ পাজলই ভৌত বা পদার্থবিজ্ঞান সংক্রান্ত। তুমি যদি একজন পদার্থবিদ হতে চাও তবে এ পাজলগুলাে ভৌতবিজ্ঞান সম্পর্কে তােমার ধারণাগুলােকে আরও শক্তিশালী করবে। পাজলগুলাের শেষে কিছু কুইজ দেওয়া হয়েছে। এ কুইজগুলাে তােমার সামনে প্রকৃতি সম্পর্কে মজার মজার প্রশ্ন নিয়ে উপস্থিত হবে। তুমি যদি কুইজের উত্তর না জাননা তাহলে বইয়ের পৃষ্ঠাকে আয়নায় ধরে উত্তর জেনে নিতে পার।