অতি সাম্প্রতিক ঘটনার ছায়ায় রচিত দৈত্যের বাগান উপন্যাসটি । এই উপন্যাসের দৈত্য চরিত্রটি এক অতি লোভী, নিষ্ঠুর, শিশুহত্যাকারী, যার বাগান খুঁড়ে পাওয়া গিয়েছিল থরে থরে শিশুদের মৃতদেহ। পুলিশ ইন্সপেক্টর সুনন্দ চ্যাটার্জির কাঁধে দায়িত্ব এসে পড়ে শহর জুড়ে বেড়ে ওঠা শিশু পাচার তদন্তের। কাকতালীয়ভাবে ঠিক তখনই নিখোঁজ হয় তার পরিবারের ছোট্ট জয়ন্তী, যাকে দত্তক নিয়েছিল নিঃসন্তান দম্পতি আইভি ও অর্চিষ্মান একটি অনাথ আশ্রম, এঞ্জেলস হাউস থেকে। তদন্ত চলতে থাকে। এবং ঘটনার প্রতি বাঁকেই অপেক্ষা করে থাকে নতুন নতুন চমক। শেষ পর্যন্ত সুনন্দ গ্রেফতার করে পাচার চক্রের চাঁইকে। কিন্তু সে কি খুবই অচেনা ছিল সুনন্দ চ্যাটার্জির কাছে? জয়ন্তী আবার ফিরে আসে পরিবারে, কিন্তু কীভাবে? চ্যাটার্জি পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যা চারুবালা স্বপ্ন দেখতেন একদিন তাঁর ঘর-বন্দি দশা ঘুচবে। তিনি আবার খোলা আকাশের নীচে দাঁড়াবেন, প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গে গান গাইতে গাইতে হেঁটে যাবেন রাস্তা দিয়ে। পূরণ হয়েছিল কি তাঁর স্বপ্ন? খুব সমকালীন, প্রাসঙ্গিক এবং সামাজিক সমস্যা নিয়ে লেখা উপন্যাসটি পাঠককে টেনে রাখে শেষ পর্যন্ত।