রুমানিয়ার মেয়ে ইলিনা চিঠি লেখে জিপসিদের জীবন নিয়ে গবেষণারত কলকাতার সুধীনকে। রুমানিয়ার কমিউনিস্ট শাসক চাওসেস্কু-হত্যার দিনগুলিতে সে-দেশের রােজকার রক্তক্ষয়ী ভাঙচুরের প্রত্যক্ষ বর্ণনার চিঠিগুলির মধ্যে তার প্রতি সদ্য-তরুণী মেয়েটির গভীর ভালােবাসার পরিচয় পেয়ে সুধীন বিচলিত। এদিকে নবতিপর মহা প্রাজ্ঞ, পণ্ডিত, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও পরে। অধ্যাপক সুধীনের পিতৃদেব একমাত্র জীবিত বংশধর সুধীনের পড়বার জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খ এক পাপনামা গােপন ডায়েরিতে লিখে রেখে গেছেন। পড়ে সুধীন বিস্মিত, দিশাহারা। ছিন্নভিন্ন সুধীনের জীবনে হড়কা বানের মতাে আছড়ে পড়ল আরও একটি ভূমিকম্পের আঘাত। বােবা-কালা যমুনার সঙ্গে এক ঝড়ের রাতে মিলিত হওয়ায় মেয়েটি গর্ভবতী হয়। বৃদ্ধা অতসীবালা ‘কুমারী। পােয়াতি’ মেয়েটিকে ‘বিড়াল পার করা’র মতাে নিয়ে পালিয়ে যায়। সকলের অগােচরে তাকে খুঁজে ফেরে সুধীন। গভীর ভালােবাসার মধ্যে। জীবনকে ছিড়েখুঁড়ে দেখা আর সেই সূত্রে হারানাে মূল্যবােধের পুনর্জন্ম— এই হল এ উপন্যাসের প্রাণভােমরা। একদিকে কমিউনিজম ভেঙে পড়বার মুখে রাশিয়া, রুমানিয়া, আরেক দিকে কলকাতা, কাশী, সুন্দরবনে ঘটনাজাল ছড়ানাে এই উপন্যাস আসলে ভালােবাসার দর্পণে জীবনদর্শনের এক জীবন্ত দলিল।