বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া তুমি বাসন্তী উপন্যাসের প্রধান নায়িকা বাসন্তী। তার দুঃখটা সবচেয়ে বেশি। এক ফাগুনে ভালোবেসেছিল সে। এক ফাগুনে কেউ একজন তার কপাল ছুঁয়েছিল। আবার আরেক ফাগুনে ভালোবাসার মানুষ তাকে ছেড়ে চলে যায়। এই উপন্যাসে রয়েছে আরো কয়েকজন মেয়ে। নমিতা, তমা, রুমা ও নিলু। নমিতার দুঃখটা অন্যরকম। তার গোপন দুঃখটা কেউ কি জানে? নিলুর দুঃখ কারো সাথে মিলবে না। নিলুর বাবা হঠাৎ ব্যবসায় লোকসান খেয়েছে। বাবা-মা, ভাই বোন কারও মুখে হাসি নেই। অনেক কষ্টে নিলু একটি চাকরি পায়। নিলু ভাবে-কবে বাড়ির সবার মুখে হাসি ফুটবে? রুমা ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। স্বামী অ্যাকসিডেন্ট করে মারা যায়। সেই থেকে রুমা সিদ্বান্ত নেয় একাকি কাটাবে সারাটি জীবন। একলার জীবন বেছে নেয় সে। তমা গরিব ঘরের মেয়ে। ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর স্বামীর আসল চেহারা চিনতে পারে। তার স্বামী একজন লোভী মানুষ তা বুঝতে পারে। বাসন্তী, নিলু, তমা ও রুমা এক সময় একই এনজিওতে চাকরি করে। মফস্বল শহরের একটি বাড়িতে থাকে ওরা। সারাদিন চাকরি করে, রাতেরবেলা বাড়ির ছাদে গিয়ে নিজেদের গোপন দুঃখের কথাগুলো শেয়ার করে। ওরা ভাবে-ঝরাপাতার জীবন ওদের। তারপর? একসময় বাসন্তীর বড় একটি চাকরি হয়। নিলু, তমা ও রুমারও জীবনে প্রতিষ্ঠা আসে। কিন্তু বাসন্তী কি ভুলতে পারে তার প্রথম ভালোবাসার মানুষটির কথা? রুমা কি ভুলতে পারে তার হারিয়ে যাওয়া স্বামীর কথা?