যৌবনের প্রারম্ভের সময়টা পাহাড় থেকে নেমে আসা নদীর সমতলে প্রবেশের মত, এই সময়ের গতি অপ্রতিরােধ্য, এই সময়ের চলার পথটা নদী নিজেই তৈরি করে নিতে চায়- তীব্র স্রোতের মত আবেগ নিয়ে, জীবনও তাই চায়। নানারকম প্রয়ােজন মানুষকে ছােট শহর থেকে টেনে নিয়ে আসে বড় শহরে। জেলা শহর থেকে নীতু আসে। উচ্চশিক্ষায় সুযােগ করে নেয়ার প্রয়ােজনে। তার নতুন ঠিকানা, অপরাজিতা ছাত্রীনিবাস। অনেকগুলাে নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হয় তার। অনেকের জীবনের ছােটগল্পে জড়িয়ে যায় সে। সাদিয়া হােস্টেল থেকে পালিয়ে যায়, গিয়ে বিয়ে করে, কিন্তু কাকে? অবিশ্বাসী ভালােবাসার ফল আসে তাহিতির গর্ভে। সেই অনাকাঙ্ক্ষিত শিশুর করুণ পরিণতি তাহিতির জীবনকে কোথায় নিয়ে যাবে? আত্মহত্যা করে আনিকা জীবন থেকে বিদায় নেয়। আর ভালােবাসাকে পেতে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েও ফিরে আসে উর্মি। নীতুর জীবনে অনিন্দ্য আসে ভালােবাসা হয়ে। সে যেন এক উদ্ভাসিত আলাে আর বাড়ন্ত গাছের মত। নীতু ঝুঁকে পরে সে আলাের দিকে বাধা আসে পরিবার থেকে। সেই প্রেমের পরিণতি কী? সাহিত্য আর প্রেমের হাত ধরে এগিয়ে গিয়েছে ‘অপরাজিতা ছাত্রীনিবাস'। তবে এই সব গল্পের বুনটে রয়েছে মানবিক জীবনবােধ, দর্শন। তাই শুধু গল্পের সমাপ্তির তৃপ্তি নয় মিলবে সত্যও। যেসব সত্য জীবনে ঘটনা হয়ে অহর্নিশ ঘটে চলে।
ছোটবেলায় কী হতে চাইতে এই প্রশ্ন না করে বরং আমায় যদি এই প্রশ্ন করা হয় যে কী কী হতে চাইতে না তাহলে উত্তর দেয়া সহজ হবে। যা যা কিছু ভালো তার সব কিছুই আমি হতে চেয়েছি।আস্তে আস্তে সে সব চাওয়াগুলো পরিবর্তিত হয়েছে। তবে এক সময় আমার অবচেতনে অক্ষর কথা বলতে শুরু করলো।বললো, এই যে আমাদের দেখতে পাও না?আমি তাদের কথা খেয়াল করলাম,মন দিয়ে শুনলাম তাদের নীরব ভাষা।অন্তর্গতভাবে এক অনুভবের জন্ম হলো, আমি অক্ষরগুলোকে ভালোবাসলাম, বুঝলাম আমি আসলে একজন লেখক হতে চাই! গতবছর পঞ্চাশ টাকা নামের ছোটগল্প দিয়ে লেখার আনুষ্ঠানিক পথে হাঁটা শুরু করলাম।প্রথম বই হলেও মোটামুটি হোঁচট ছাড়াই হাঁটতে পেরেছে। অপরাজিতা ছাত্রীনিবাস প্রথম উপন্যাস। পঞ্চম,অষ্টম,এস এস সি, এইচ এস সি সবগুলো পর্যায়ে বৃত্তি ছিলো।আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আই ই আরে অনার্স,মাস্টার্স দুটোতে প্রথম শ্রেণী।তাই পড়াশুনার ইচ্ছেটা আরো প্রলম্বিত করছি।এম ফিল করছি আই ই আরেই।যদি সব ঠিক থাকে তবে আরো পড়াশোনার ইচ্ছে আছে। একজন শিক্ষার্থী,একজন লেখক এই গন্ডীতে থাকতে চাই।তবে সব কিছুর শেষে আমি এমনভাবে বাঁচতে চাই যাতে আমার মৃত্যুর পর সবাই বলতে পারে, সে একজন সৎ,ভালো মানুষ ছিলো।