সাহিদা সাম্য লীনার কবিতার বই ‘একবার বলে দাও’। প্রেমময়, নরম নরম, লাজুক শব্দযোগে রচিত এ কবিতার বইটি। অস্ফুট আবেগে লেখা এ কবিতাগুলো পাঠ মাত্রই অন্যরকম ভালোলাগা তৈরি করবে। কবিতাকে কবি আলাদা কিছু ভাবেননি। খুব স্বাভাবিকভাবে, অকপটে তিনি এ কবিতাগুলো লিখেছেন। কোনো শব্দের কসরৎ নেই, আভিধানিক জটিলতাকে কবি খুব নিরবে অতিক্রম করেছেন। ‘আমি নিয়মিত কবিতা লিখি না,/মেমোরিতে সেভ করে রাখি কোনোমতে। আমি কবিতাকে লালন করি না বুকের মাঝে,/আমি কবি হবারও চেষ্টা করি না...’ (সেভ করা কবিতা/পৃষ্ঠা-১০) কবি স্মৃতিকাতর, কল্পনা তার শখ নয়, তিনি নিজেকে দিয়ে পরীক্ষা করেন যাবতীয় দুঃখ কষ্টের রসায়ন। একাগ্রচিত্তে কবি ধ্যান করে যান তার মনের মানুষের। তাকে নিয়ে নিজে নিজে বলে যান কথা। নানাভাবে তাকে সাজান, নানাভাবে তাকে নিয়ে কল্পনার রাজ্যে বিচরণ করেন। বাংলা কবিতার বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্যের পথে কবি যে গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে এসেছেন এর থেকে ফেরার পথ নেই। তাই কবিকে আরো বেশি যতœশীল হতে হবে কবিতা রচনার ক্ষেত্রে। শিল্পের যে দাবি তা পূরণ না করতে পারলে তা কেবল ব্যক্তিগত দিনলিপি থেকে যায়। আশা করা যায় কবি নিজের অভ্যন্তরীণ সুপ্ত ও সূ² কথাগুলো সামনের কোনো কবিতার বইতে তুলে এনে এ বইটিকে অতিক্রম করে যাবেন।
সাহিদা সাম্য লীনা ফেনীতে বেশ পরিচিত একটি নাম। স্পষ্টবাদী, অন্যায়ের প্রতিবাদে সদা তৎপর। অথচ সহজ-সরল, সদা হাসি-খুশি একজন মানুষ। জন্ম ২২ শে আগস্ট, ফেনীর মহিপালে, নানার বাড়িতে। গ্রামের বাড়ি দাগনভ‚ঞা উপজেলার রাজাপুরে। পিতা আব্দুর রশিদ ও মা বেগম আনোয়ারা চৌধুরী। সাহিদা সাম্য লীনা ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসতেন। সেই থেকে কবিতা লেখার শুরু। ইত্তেফাকের কচিকাঁচার আসর ও নবারুণসহ বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত লিখেন। বর্তমানে কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় লিখছেন কলাম, প্রতিবেদন, ফিচার, গল্প। ফেনীর একটি স্থানীয় দৈনিকে সাহিত্য সম্পাদক ও আরেকটি দৈনিকে নারী বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্পাদিত পত্রিকা আঁচল। বর্তমানে দৈনিক বাংলাদেশের খবর-এর ফেনী সদর প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রথম প্রকাশিত বই ক্ষুদে গল্পরাজ। সাংবাদিকতায় পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিপ্লোমা করছেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট থেকে।