“অভাজনের মহাভারত” বইটির ফ্ল্যাপের লেখাঃ প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগে নিজের পারিবারিক সংকটের ছােট এক সাদামাটা গল্পবয়ান শুরু করেছিলেন কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন। তারপর দ্বৈপায়নের ঘােরতর শত্রুপক্ষসহ হাজারাে মানুষ বহু রঙে রাঙিয়ে নিজেদের কাহিনি ঢুকিয়ে দিয়েছে সেই গল্পের ভেতর। গল্পের সাথে গল্প জোড়া দিতে গিয়ে যেখানে তারা যুক্তিতে কুলিয়ে উঠতে পারেনি; সেখানে অলৌকিকতার রং দিয়ে ঢেকে দিয়েছে বাস্তবতার ফাক। আর এভাবেই তৈরি হয়েছে আজকের বহু বৈচিত্র্যপূর্ণ মহাভারত... কৃষ্ণ দ্বৈপায়নের জন্মকাহিনি পরিচিত হলেও আজ পর্যন্ত কোথাও তার কোনাে মৃত্যর বিবরণ নেই। যেন নিজের শুরু করা গল্পের বিবর্তন বয়ানের জন্য এখনাে বর্তমান তিনি… মহাভারত বড়াে অদ্ভুত এক চলন্ত বর্তমানের গল্প। এখানে বিজয়ীরা বীর নয়; পরাজিতরা বীর্যহীনও নয়। এখানে ভীতরা বিজয়ী হয়ে কাদে; সাহসীরা পরাজিত হয়ে হাসে; যেন ঘটনার আরাে কিছু বাকি আছে; যা দ্বৈপায়নই বলবেন অন্য কোনাে সময়; অন্য কোনােভাবে...। ফলে দ্বৈপায়নের নামেই যুগে যুগে নতুন করে মহাভারত রচিত হতে থাকে। প্রথম বাংলা মহাভারত রচিত হয়েছিল আজ থেকে তিনশাে বছর আগে চট্টগ্রামে। আর বাংলা মহাভারতের সাম্প্রতিকতম সংযােজন অভাজনের মহাভারত; মৌখিক বাংলায় মহাভারতের অলৌকিকতাবিহীন আখ্যান..