"কিশোরদের বঙ্গবন্ধু" বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা: একজন আকাশছোঁয়া জনপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া সকলের আদরের খোকা। কিশোর বয়সেই ঝাঁপিয়ে পড়তেন বন্ধুদের সাহায্য করতে-মানুষের কল্যাণে। এরপর সময়ের পরিক্রমায় জড়িয়ে যান রাজনীতির সাথে। ছাত্রনেতা থেকে জাতীয় নেতায় পরিণত হন। পাকিস্তানি শাসকদের অন্যায় শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে বরাবরই প্রতিবাদী ছিলেন শেখ মুজিব। একসময় স্বায়ত্তশাসনের দাবি নিয়ে ছয় দফা আদায়ে ঐক্যবদ্ধ করেন সকল বাঙালিকে। ভীত হয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান দেশদ্রোহের দায় চাপিয়ে শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করেন। দ্রুত বিচার করে ফাঁসিতে ঝোলানোই ছিল তার উদ্দেশ্য। কিন্তু লক্ষ জনতা তাদের প্রিয় নেতারে মুক্তির জন্য রাজপথ আলোড়িত করে। গণমানুষের এই উত্তাপ বিপর্য স্তও করে তোলে আইয়ুব খানকে। নিঃশর্ত মুক্তি দেন শেখ মুজিবকে। বাঙালি তাদের প্রিয় নেতাকে বুকে তুলে নেয়। অনেক শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় উপাধি দেয় ‘বঙ্গবন্ধু’। 1970-এর জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকরা বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা না দিয়ে শুরু করে ষড়যন্ত্র। বাংলার মানুষকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুও চালিয়ে যান দুর্বার আন্দোলন। শেষ কামড় হিসেবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙালির ওপর। শুরু হয় ভয়ংকর গণহত্যা। স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এসময় থেকে তিনি হয়ে যান বাংলাদেশের-বাঙালি জাতির পিতা। আর তাঁর নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি অর্জ ন করে স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ একজন বড় মানুষ কেমন করে বড় হয়ে ওঠেন এর বড় উদাহরণ বঙ্গবন্ধু। বড় মানুষকে না জানলে প্রজন্মের মধ্যে বড় হওয়ার স্বপ্ন তৈরি হয় না। ‘বড় মানুষের গল্প’ বইটি তেমনভাবেই কিশোর পাঠকদের জন্য রচিত হয়েছে অত্যন্ত সাবলীল ভাষায়। আজকের এবং আগামীর প্রজন্মের জন্য তাই অবশ্যপাঠ্য হয়ে উঠেছে এ ধারার বই।
ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ১৯৬০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর জন্ম। পৈতৃক নিবাস বিক্রমপুরের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার গনাইসার গ্রামে। পিতা মরহুম মোসলেম চোকদার ও মা মরহুমা রেজিয়া বেগম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে১৯৮২ ও ১৯৮৩ সালে যথাক্রমে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ফারসি ভাষায় সার্টিফিকেট কোর্স সম্পাদন করেন। ১৯৮৫ সালে। ফোর্ড ফাউন্ডেশনের বৃত্তি নিয়ে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি. অর্জন করেন ১৯৯৪ সালে। সত্তর ও আশির দশকে ‘শাহনাজ কালাম’ লেখক নামে ছড়া ও গল্প লিখিয়ে হিসেবে পরিচিত হলেও পেশা জীবনে এসে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পাঠক্রমভিত্তিক গ্রন্থ রচনা এবং শিল্প-সংস্কৃতি ও প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক গ্ৰন্থ ও প্ৰবন্ধ লেখায় বিশেষ মনোনিবেশ করেন। ড. শাহনাওয়াজের রচিত ও সম্পাদনাকৃত গ্রন্থের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। এক যুগের বেশি সময়কাল ধরে তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে রাজনীতি ও সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ক কলাম লিখে আসছেন।