"হাইজেনবার্গের গল্প" প্রচ্ছদ কাহিনী: ১৯৩৯ সালে শুরু হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আটলান্টিক মহাসাগরের অপর পাশে যুক্তরাষ্ট্র তার বিখ্যাত “Manhattan Project” শুরু করে যেখানে রবার্ট অপে... See more
TK. 200 TK. 160 You Save TK. 40 (20%)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
কমিয়ে দেখুন
বাংলাদেশে এই প্রথম অনলাইন বাণিজ্য মেলা রকমারিতে। ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে 100+ Bundle Deal, Buy1 Get1, আর Free Shipping নির্দিষ্ট পণ্যে!
বাংলাদেশে এই প্রথম অনলাইন বাণিজ্য মেলা রকমারিতে। ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে 100+ Bundle Deal, Buy1 Get1, আর Free Shipping নির্দিষ্ট পণ্যে!
"হাইজেনবার্গের গল্প" প্রচ্ছদ কাহিনী: ১৯৩৯ সালে শুরু হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আটলান্টিক মহাসাগরের অপর পাশে যুক্তরাষ্ট্র তার বিখ্যাত “Manhattan Project” শুরু করে যেখানে রবার্ট অপেনহাইমার সাহেবের নেতৃত্বে প্রথম মার্কিন পারমাণবিক বোমা তৈরির গবেষণা চলছিলো। যুদ্ধে টিকে থাকতে হলো হিটলারকেও বানাতে হবে জার্মান এটম বোম! কিন্তু, কে বানাবে এই মারণাস্ত্র? হিটলার কড়া নাড়লেন হাইজেনবার্গের দরজায়। গত চার দশক ধরে যেই নামকড়া জার্মান বিজ্ঞানীরা পরমাণুর গঠনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে দিন-রাত এক করে ফেলেছিলেন তারাই এবার শুরু করলেন জার্মান নিউক্লিয়ার রিসার্চ টীম — ইউরেনিয়াম ক্লাব। হাইজেনবার্গ হিটলারের শত্রু থেকে পরিণত হলেন মিত্রে। ভূমিকা: লেখা-লেখির অভ্যাসটা বেশ অনেকদিন ধরেই আমার উপর চেপে বসেছে। আমি বিজ্ঞানের মানুষ; আমার বসবাস ল্যাবরেটরীর সাদা আলোর নীচে। সেই জীবনটা বেশ কঠিন পরিশ্রমের; প্রায়শই রাজ্যের ক্লান্তি ভর করে শরীরটার উপর। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সাধারণত আমি ল্যাব থেকে বের হয়ে রাস্তার ধারের একটা কফিশপে ঢুকে পড়ি। গরম ধোঁয়া তোলা তিতা স্বাদের কালো বর্ণের তরলে চুমুক দিতে দিতে ল্যাপটপটা বের করে আরম্ভ করি লেখা-লেখি। বেশির ভাগ সময়ে সেই গল্পগুলোতেও চলে আসে আমার ল্যাবের বিজ্ঞান। ২০১৭ সালের শুরু দিকে আমার আদরের ছোট ভাই ফাহমিদের সফটওয়ার ফার্ম (batttery low interactive) আমার নামে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট বানিয়ে দেয়। www.shamirmontazid.com । নিজের লেখা বিজ্ঞান আর ভ্রমণ বিষয়ক গল্পগুলো একটু একটু করে প্রকাশ করতে থাকি ফেইসবুকে। এই সাইটটায় প্রতি সপ্তাহে প্রায় চার-পাঁচ হাজার মানুষ আমার লেখা পড়তে আসে। আমি বেশ অবাক হয়ে যাই। ফেইসবুকের জঞ্জালে কেটী পেরী এবং ক্যাট ভিডিও বাদ দিয়ে আমার বিশাল বিশাল ঘুমপাড়ানী বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা প্রবন্ধ পড়তে মানুষ কেন আগ্রহী হবে? কিছু মানুষের কাছে আমি সরাসরি কারণটা জানতে চাইলাম। ১০ মিনিট স্কুলের আদরের সহকর্মী অভীপ্সু (IBA, JU) বলেছিলো, “ভাইয়া, আমি ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্র কিন্তু বিজ্ঞানকে ভালোবাসি। কঠিন রিসার্চ পেপার পড়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু, যতবারই আপনার লেখা সায়েন্স আর্টিকেল পড়েছি ততবারই বিজ্ঞানে একটু বেশী আকৃষ্ট হয়েছি।” অভিপ্সুর কথাটা বেশ মনে ধরলো। বিজ্ঞান তো কেবল যারা সায়েন্স বিভাগে পড়ে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আমার ল্যাবের বিজ্ঞানটা সবার। এর আবিষ্কারের আনন্দটাও তাই সবাই সমানভাবে উদযাপন করবে। অক্সফোর্ডের বন্ধু আনিসুল করিম সবসময় আমার গল্প বলার ক্ষমতার ভূয়সী প্রশংসা করে থাকে। তাই, শেষ মেষ ঠিক করে ফেললাম যে, একটা বিজ্ঞান বিষয়ক গল্পের বই লিখবো যা বিজ্ঞানের ছাত্র না হয়েও সবাই পড়তে পারবে। ব্লগ থেকে বই লেখার পেছনের মূল কৃতিত্বটা অধ্যয়ন প্রকাশনীর তাসনোভা আপুর। তার সাথে প্রথম মিটিং-এর পর আমি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে পিএইচডি করতে চলে আসি। ফেইসবুক মেসেঞ্জারে তিনি দিনের পর দিন আমাকে পান্ডুলিপি পাঠানোর জন্য তাগিদ দিতেন। এই শনিবার, আগামী রবিবার করে করে দুই মাস পর আমি তাকে ব্লগ সাইট থেকে পূর্ব প্রকাশিত ১৫ টি গল্প-প্রবন্ধ একসাথে করে পাঠাই। উনি বললেন, এগুলো নাকি বই হিসেবে পড়তেও ভালো লাগবে। যেহেতু প্রকাশক মানুষ বলেছেন, সেহেতু আশায় বুক বাধঁলাম। যেই মানুষটা গত দেড় বছরে মাত্র ১৫টা বিজ্ঞান বিষয়ক ব্লগ লিখেছে সেই মানুষটাই মাত্র একমাসে আরো নতুন ১০টা গল্প লিখতে মনস্থির করলো। আজ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ অ্যামস্টারড্যামের এক কফিশপে বসে শেষ গল্পটা লিখে ফেললাম। পূর্বপ্রকাশিত ১৫টি এবং নতুন লেখা ১০টি গল্পসহ মোট ২৫টি কাহিনী থাকছে “হাইজেনবার্গের গল্পে”। এই বইটির নাম আমি প্রথম দিতে চেয়েছিলাম “হাইজেনবার্গের প্রলাপ”। ১০ মিনিট স্কুলের কেমিস্ট্রি শিক্ষক হিসেবে আমার ছাত্ররা হাইজেনবার্গ নামটা বেশ পছন্দ করেছিলো। ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ সাহেব আমার সবচেয়ে পছন্দের বিজ্ঞানী। তাই বিজ্ঞানবিষয়ক কিছু করার সময় হাইজেনবার্গ নামটাই আমি বেশী ব্যবহার করি। এই বইয়ের সবগুলো আর্টিকেলকে গল্প বলা যাবে না। কিছু কিছু অংশ আমার মতামত কলুষিত প্রবন্ধ। কয়েকটি অংশে রয়েছে কিছু মজার সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট, কয়েকজন বিজ্ঞানীর জীবনকাহিনী; তবে বেশীর ভাগই সত্যিকার ঘটনা যা আমার মতো বিজ্ঞানপাগল মানুষেরা পড়ে প্রতিনিয়ত রোমাঞ্চিত হয়। তাই গল্প-প্রবন্ধ-উপন্যাস কোন ক্যাটাগরীতে বইটা যাবে তা আমি নির্ধারণ করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছি। আমি সাহিত্যিক নই, বিজ্ঞানী। সাহিত্যের ব্যাকরণ বিচারে হয়তো এই বইটা ডাস্টবিনের নিচের দিকে অবস্থান লাভ করবে। তবে আমার লেখা গল্পগুলো যদি এক-দুইটা স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাকে বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারে তাহলে আমার এই বই লেখার উদ্দেশ্য সার্থক হবে। এই বইটা আমি বিশ্বের বেশ কিছু শহরের কফিশপে বসে লিখেছি। ঢাকার নর্থ এন্ড, অক্সফোর্ডের কস্তা কফি, এডিনবরার এলিফেন্ট হাউস, মক্কার স্টার বাকস, থিম্পুর কফি কালচার, অ্যামস্টারডামের ভাস্কোবেলোতে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে শুধুমাত্র এককাপ কফি খেয়ে ফ্রি ওয়াইফাই কাজে লাগিয়ে এই বইয়ের অধিকাংশ গল্প লেখা হয়েছে। এই প্রতিটি কফিশপের প্রতি তাই আমার গভীর কৃতজ্ঞতা। আরো কৃতজ্ঞতা আমার বন্ধু শুভ, স্বর্ণা, শামস, আয়মান, অমিতা, ইফতি, বাঁধন, অভিষেক আর ওমরের প্রতি যারা প্রতিনিয়ত আমার জীবনটা উপভোগের সঙ্গী হয়েছে। হাইজেনবার্গের গল্পের এখানেই শেষ নয়। বিশ্বের প্রতিটা কোণার কফিশপে বসে আরো গল্প লিখবো। সেগুলো প্রকাশিত হবে আগামী বছরগুলোতে। আশা করি বিজ্ঞানের জগতে আপনার পরিভ্রমণ সুখকর হোক। জয়, বিজ্ঞানের জয়! "হাইজেনবার্গের গল্প" সূচিপত্র বিজ্ঞান কীভাবে কাজ করে? /১৫ পৃথিবীর প্রথম ভ্যাকসিন /২১ ব্লু ম্যাজিক পিল /২৪ পাস্তুরাইজেশন /২৭ থ্যালিডোমাইড কেলেংকারি /৩০ জঙ্গীবাদের পেছনে আছে DNA /৩৩ একজন বিজ্ঞানী এবং ইসরাঈল /৩৫ স্পার্ম তিমির তেলের গল্প /৩৭ নিষ্পাপ ফাঁসির আসামী /৩৯ মশা ও HIV Virus /৪১ মা যখন খুনী (নয়) /৪৩ ভুল যখন ভালো /৪৪ নীরব ঘাতক /৪৭ ডিম সমাচার /৪৯ যুদ্ধাস্ত্র থেকে মাইক্রোওভেন /৫১ উটপাখির যত দোষ /৫৩ ২০০ বছর পর পিতা-পুত্রের পরিচয় /৫৬ ষষ্ঠ ইন্দ্রীয় /৫৮ ভ্রূণের মহাবিশ্ব /৬৩ কাইমেরিক মা /৬৫ মহাশূণ্যে বারো মাস /৬৭ বিবর্তনের রূপকথা /৭০ রোগ যখন জীবন বাচাঁয় /৭৬ অ্যালান টিউরিং /৭৮ হাইজেনবার্গ /৮৩
এদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে যে ক’জন আপন আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছেন এবং বিশেষভাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন তাঁদের মধ্যে একজন শামীর মোন্তাজিদ। তিনি একাধারে একজন বিজ্ঞানী, গবেষক, পর্যটক, অনলাইন শিক্ষক এবং লেখক। আয়মান সাদিকের প্রতিষ্ঠা করা বিখ্যাত অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্ম ‘টেন মিনিট স্কুল’ এর চিফ অপারেটিং অফিসার হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন, এবং একইসাথে এই দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিভিন্ন শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরির মাধ্যমে অর্থাৎ অনলাইন ভিডিও এর মাধ্যমে লেকচার দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট অনলাইন শিক্ষক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের লেকচার সমৃদ্ধ অন্তত চার শতাধিক ভিডিও তিনি তৈরি করেছেন। তিনি ‘হাইজেনবার্গ’ নামে সকলের নিকট অধিক পরিচিত। শিক্ষাজীবনে তিনি ছিলেন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর শামীর মোন্তাজিদ ২০১১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন এবং এখান থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে ডীন’স অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ফেলোশিপ এর বৃত্তি লাভ করেন এবং সেই সুবাদে বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। বর্তমানে সেখানে মেডিকেল সায়েন্সের উপর পড়াশোনা করছেন ও সেই সূত্রে যুক্তরাজ্যেই বসবাস করছেন। বর্তমানে ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। শামীর মোন্তাজিদ লেখালেখির ক্ষেত্রেও বেশ সিদ্ধহস্ত। শামীর মোন্তাজিদের বই এর সংখ্যা বেশি নয়। তিনি মূলত লেখালেখি করেন তাঁর নিজস্ব ওয়েবসাইট ‘shamirmontazid.com’-এ, যেখানে তিনি ৬০টির বেশি ব্লগ লিখেছেন নিজের জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই। তিনি খাওয়াদাওয়া করতে ও রান্না করতে খুব পছন্দ করেন এবং আরো বেশি পছন্দ করেন দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করতে। এসব বিষয় নিয়েই লেখা হয়েছে শামীর মোন্তাজিদ এর বই সমূহ। শামীর মোন্তাজিদ এর বই সমগ্র এর মধ্যে একটি প্রকাশিত হয়েছে, যার নাম ‘হাইজেনবার্গের গল্প’। আরেকটি শীঘ্রই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে, যার নাম ‘উড়ছে হাইজেনবার্গ’, যেখানে তাঁর ভ্রমণের তীব্র নেশা থেকে বিভিন্ন দেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ার ও সেসব ভ্রমণের বিভিন্ন মজাদার কাহিনী উঠে এসেছে। তিনি তাঁর লেখালেখির মাধ্যমে এদেশের তরুণ সমাজকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছেন।
গল্পের মাধ্যমে মানুষকে বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট করা লেখকের মূল উদ্দেশ্য। তিনি এখন ক্যান্সার ও স্টেম সেলের উপর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন।
লেখক তার নিজের ব্লগ সাইট www.shamirmontazid.com এর ১৫টি বিজ্ঞান বিষয়ক কাহিনী ও বইটি প্রকাশের জন্য পরবর্তী ১০টি কাহিনী, মোট ২৫টি কাহিনী নিয়ে বইটি প্রকাশ করেছেন। বইটির একটি কাহিনীও লেখকের কল্পনাপ্রসূত নয়। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যুগান্তকারী কিছু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের পেছনের ঘটনাই মূলত গল্পের ছলে তুলে ধরা হয়েছে। একজন বিজ্ঞানী আসলে কিভাবে কাজ করেন, উনি কিভাবে একটা আবিষ্কার করেন তার বর্ণনা এসেছে একেবারে শুরুর দিকে। পরে এসেছে কাহিনীগুলো। এক সময়ের মরণঘাতী রোগ গুটি বসন্তের টিকার জনক হিসেবে আমরা জেনারের নাম সাধারণ জ্ঞানের বইতে পড়েছি। গরুর গায়েও বসন্ত হত, কিন্তু সেই বসন্ত কিভাবে এই গুটি বসন্তের টিকা আবিষ্কারের প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছিল? পাস্তুরাইজেশনের মাধ্যমে দুধ আজ আর খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় না। কিন্তু লুই পাস্তুর আসলে কি করতে গিয়ে পাস্তুরাইজেশনের জনক হয়ে যান? আমরা যে আজ বিভিন্ন ধরনের তরল UHT দুধ বাজারে পাই, পাস্তুরাইজেশনের সাথে তার সম্পর্কটা কিভাবে? একটি ব্যাক্টেরিয়ার আবিষ্কার কিভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভাগ্য নির্ধারণ করে একটি রাষ্ট্রই তৈরি করে দিয়েছে? আজ আইন আদালতে DNA টেস্ট কোন ঘটনার প্রেক্ষাপটে এত বহুল প্রচলিত? একটা ভুল থেকে কিভাবে আলেক্সান্ডার ফ্লেমিং জীবন রক্ষাকারী antibiotic এর জনক হয়ে গেলেন? ২০০ বছর পর কিভাবে আমেরিকার ৩য় প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসনের সাথে তার পুত্রের পরিচয় হয়? বিজ্ঞানীরা কিভাবে এক জিনিস আবিষ্কার করতে গিয়ে আরেক জিনিস আবিষ্কার করে ফেলেন? একটা জাতিকে কিভাবে একটা রোগ তার নিজের চেয়েও আরো ভয়ানক একটা মহামারী থেকে রক্ষা করে আসছে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে বইটি অবশ্যই পড়তে হবে। আর প্রচ্ছদ - এত সুন্দর একটা প্রচ্ছদের জন্য হলেও বইয়ের সব গল্প কারো কাছ থেকে নিয়ে পড়ে ফেললেও মনে হবে যে বইটা ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা দরকার। অত্যন্ত সুখপাঠ্য বইটি একবার শুরু করে ফেললে শেষ না করে উঠা যাবে না।
Read More
Was this review helpful to you?
By Aftahi Nayan,
03 Apr 2019
Verified Purchase
গল্পে গল্পে বিজ্ঞান।বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র আমি,বর্তমানে বিজ্ঞানের ছাত্র না হলেও বিজ্ঞানের প্রতি ভালবাসা থেকে এখনো আছি বিজ্ঞানের সাথেই৷ ভবিষ্যতেও থাকব ইনশাল্লাহ।শামীর ভাইয়ের এই বইটি পড়ে বিজ্ঞানকে নতুন করে ভালবাসতে পেরেছি বলে আজ ভাবলাম এই বইয়ের রিভিউটা না হয় লিখেই ফেলি!এবছর যতগুলো বই পড়েছি তার মধ্য অন্যতম পছন্দের বই এটি 😊
একজন মানুষের শরীরে যে দুইরকমের ভিন্ন ডিএনএ থাকতে পারে সেটা কি জানি?এবং জঙ্গীবাদের পিছনে যে এই ডিএনএ দায়ী থাকতে পারে তা কি জানি? আচ্ছা মশা কেন এইচআইভি ছড়ায় না?ডারউইনের বিবর্তন বাদ কেমন ছিল আর আমরা কি বুঝেছি? কেন উটপাখির মুখ বালিতে গুঁজে দেয়াকে তার বিপদের মুখোমুখি না হতে চাওয়ার প্রবণতা হিসেবে ধরে নেয়া হয়? আমরা যে ওষুধ খাই তা একজন বিজ্ঞানীর কত বছরের সাধনার ফল?এবং কিভাবে কতদিনে তার অনুমোদন আসে, মহাকাশে যদি আমরা এক বছর ছুটি কাটিয়ে আসি তাহলে ডিএনএ সিকুয়েন্সের কি কোনো পরিবর্তন হবে? আমরা তো নানা রোগে আক্রান্ত হই, কিন্তু রোগ কি আমাদের জন্য ভালোও হতে পারে? আচ্ছা যারা মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে অনুভব করেছে তাদের সকলের ঐ সময়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল এবং তারা কে কি দেখেছিল এবং জন্ম মৃত্যু কি একই পদ্ধতি? মানুষ কি শুধু তাকিয়ে থেকে একটা চামচকে বাঁকাতে পারে?মস্তিষ্কের পাওয়ার? -এই প্রশ্নগুলোসহ অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর আপনি জানতে পারবেন এই বইটি পড়ে। তাছাড়া পেনিসিলিন, ভায়াগ্রা😁, যুদ্ধাস্র থেকে মাইক্রোওভেন আবিস্কার , পাস্তুরাইজেশনসহ নানা আবিষ্কারের পেছনের মজার গল্প সম্পর্কেও জানা যাবে বইটি থেকে৷ শেষে 'The Imitation Game' মুভিটি যাকে নিয়ে বানানো হয়েছে সেই অ্যালেন টিউরিং এর জীবনের গল্প তো আছেই৷ আমি কি কিছু মিস করে গেছি? :/ ও হ্যাঁ!! হাইজেনবার্গের গল্পে স্বয়ং ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ থাকবেন না তা কি করে হয়! হাইজেনবার্গের সেই এটম বোমার পিছনে ছুটে চলার কাহিনীও আছে বইটিতে😅 আশা করি বইটি সকল বিজ্ঞানপ্রেমীক/প্রেমিকাদের ভালো লাগবে😊র্যাটিং ৯/১০
Read More
Was this review helpful to you?
By Toukir Ahmed Chowdhury,
22 Feb 2019
Verified Purchase
বিজ্ঞান মানে যে 'বিশেষ জ্ঞান' সেই সংজ্ঞাটি এখন পুরনো। এখনকার যুগে সবকিছুই আসলে বিজ্ঞান৷ বিজ্ঞানের প্রতি ভালবাসা থেকে এখনো আছি বিজ্ঞানের সাথেই৷ ভবিষ্যতেও থাকব ইনশাল্লাহ। শামীর ভাইয়ের এই বইটি পড়ে বিজ্ঞানকে নতুন করে ভালবাসতে পেরেছি বলে আজ ভাবলাম এই বইয়ের রিভিউটা না হয় লিখেই ফেলি! 😃
একজন মানুষের শরীরে যে দুইরকমের ভিন্ন ডিএনএ থাকতে পারে সেটা কি জানি? আচ্ছা মশা কেন এইচআইভি ছড়ায় না? কেন উটপাখির মুখ বালিতে গুঁজে দেয়াকে তার বিপদের মুখোমুখি না হতে চাওয়ার প্রবণতা হিসেবে ধরে নেয়া হয়? আমরা যে ওষুধ খাই তা একজন বিজ্ঞানীর কত বছরের সাধনার ফল? মহাকাশে যদি আমরা এক বছর ছুটি কাটিয়ে আসি তাহলে ডিএনএ সিকুয়েন্সের কি কোনো পরিবর্তন হবে? আমরা তো নানা রোগে আক্রান্ত হই, কিন্তু রোগ কি আমাদের জন্য ভালোও হতে পারে? আচ্ছা যারা মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে অনুভব করেছে তাদের সকলের ঐ সময়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? মানুষ কি শুধু তাকিয়ে থেকে একটা চামচকে বাঁকাতে পারে? -এই প্রশ্নগুলোসহ অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর আপনি জানতে পারবেন এই বইটি পড়ে।
তাছাড়া পেনিসিলিন, ভায়াগ্রা, মাইক্রোওভেন, পাস্তুরাইজেশনসহ নানা আবিষ্কারের পেছনের মজার গল্প সম্পর্কেও জানা যাবে বইটি থেকে৷
শেষে 'The Imitation Game' মুভিটি যাকে নিয়ে বানানো হয়েছে সেই অ্যালেন টিউরিং এর জীবনের গল্প তো আছেই৷ আমি কি কিছু মিস করে গেছি? :/
ও হ্যাঁ!! হাইজেনবার্গের গল্পে স্বয়ং ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ থাকবেন না তা কি করে হয়! 😅
আশা করি বইটি সকল বিজ্ঞানপ্রেমী মানুষের ভাল লাগবে। আর আমি রিভিউ তেমন লিখি না৷ তাই যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল৷ 😄
Read More
Was this review helpful to you?
By maruf morshed,
15 Mar 2019
Verified Purchase
শুরুতেই বেশ বাস্তববাদী কথা । বিজ্ঞানী হলে কিন্তু কষ্ট করতে হবে। স্কলারশীপের ধান্ধায় বিজ্ঞানী বিজ্ঞানী ভাব মারলে কিন্তু হবেনা। বিজ্ঞানীদের হয়তো খুব টাকা পয়সা থাকবেনা। জীবদ্দশায় কেউ না চিনেও মরে যেতে হতে পারে। অবশ্য জাফর ইকবাল স্যার হলে অন্য ভাবে বলতেন মনে হয়। ক্লাস ৯-১০ এর বইতে এরকম কথা আছে যে বেশি বেশি পড়, বেশি বেশি শাকসব্জী খাও-;নিশ্চয়ই নভোচারী হতে পারবে। স্বপ্ন দেখত ত মানা নেই। লেখক বলেছেন তার গল্পগুলি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য। টার্গেট ধরতে একটু আধটু ছবি দিলে আরো ভাল হত। একটু খানি বিজ্ঞান আরেকটু খানি বিজ্ঞান জাফর ইকবাল স্যারের বেশ উপভোগ্য ছিল। যাই হোক তুলনা বাদ। পড়ে মনে হচ্ছিল জীবনে কি আর করলাম। পড়লাম মুখস্থ করলাম, উগড়ে দিয়ে আসলাম। ব্যাস ভাল ছাত্র। কিন্তু ওইযে Problem solving, Critical thinking, Creative হইতে পারলাম কই। বিশেষ করে অ্যালান টিউরিং এর উপরে লেখা পড়ে যারপরনাই অনুপ্রানিত। হাইজেনবার্গ তো আরেক বস। নোট সাজেশন মুখস্থ, আর প্রেম আমার টাইপ সিনেমা দেখে জীবনটাই ধ্বংস করে দিলাম মনে হচ্ছে। স্কুল কলেজ না বলে ক্লাস ১১-১২ এর ছাত্র ছাত্রীদের মাস্ট রিড বই।
Read More
Was this review helpful to you?
By ghooms moug,
15 Sep 2022
Verified Purchase
Nice Book 📖
Creates interest in science. Science storys are told in a very enjoyable way in this book.Any one who likes science and want to read a Educational and also enjoyble book can read this.
However the science stuff is not are not advanced level. The educational stuff is not written in a detailed and academic way.This book mainly focuses on the storys and trys to create interest in science . So dont expect a serious science book.
Read More
Was this review helpful to you?
By Md.Roktim Reza,
06 Feb 2019
Verified Purchase
প্রথমেই মোন্তাজিদ ভাই কে ধন্যবাদ এতো সুন্দর বই লেখার জন্য। বইটিতে তিনি বিজ্ঞানের কঠিন বিষয়গুলোকে সহজ সরল সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন যা কিনা বিজ্ঞানের ছাত্র না হয়েও অবলীলায় বুঝতে পারা সম্ভব। বইটিতে তিনি আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে বিজ্ঞানের আলোকে উপস্থাপন করেছেন। কম্পিউটার সাইন্স এর ছাত্র হিসেবে আমার Alan Turing গল্পটা বেশি ভালো লেগেসে। ২য় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Read More
Was this review helpful to you?
By Faria Tabassum,
30 Dec 2019
Verified Purchase
This book contains stories of many scientists and their inventions. It could be read in one sitting. A very good book for science enthusiasts. But one thing that I would like to address is that, as the stories are taken from his blog posts, it should have been a bit of edited before publishing as a whole book considering the language.
Read More
Was this review helpful to you?
By Samiul Islam Ratul,
29 Dec 2019
Verified Purchase
শামীর মোন্তাজিদ ভাইয়ার লেখা হাইজেনবার্গের গল্প বইটি আসলেই খুব মজার ছিল। বইটিতে বিচিত্র টপিকগুলো সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। সায়েন্সের উপর লেখা হয়েছে বইটি। আমার পড়া বেস্ট টপিক ছিল মশা ও এইডস । তাছাড়া কিছু কিছু ছিল মজার ইনফর্মেশন যা আমাকে আনন্দ দিয়েছে। হাইজেনবার্গের গল্প ২ আসবে জেনে আমি আরো খুশি । So I am waiting for Heisenberger Golpo 2.
Read More
Was this review helpful to you?
By Rakibu islam,
06 Dec 2021
Verified Purchase
লেখক শামীম ভাইয়ের কাছ থেকে আরও উন্নতমানের ভালো ভালো বই সামনে ভবিষ্যতে পাবো এই আশায় ll আজকের এই বইটি সম্পর্কে একটু লিখি হাইজেনবার্গের গল্প মোটামুটি মানের হয়েছে ll যারা বিজ্ঞানকে ভালোবাসে শামীম ভাইকে ভালোবাসে, তারা বই পড়ে দেখবেন l আমি বই পড়তে ভালোবাসি l রকমারি ধন্যবাদ আমার কাছে বইটি পৌঁছে দেওয়ার জন্যl – ধন্যবাদ–
Read More
Was this review helpful to you?
By mahmud shafayet zamil,
17 Apr 2019
Verified Purchase
ছোট বেলায় এই ধরনের একটা বই পড়েছিলাম; যেখানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কারের পেছনের ঘটনা সুন্দর ভাবে দেয়া ছিল। বইটার নাম মনে নেই। এই বইটা পড়তে গিয়ে সেই স্মৃতি মনে পড়ে গেল। সুন্দর বই, লিখেছেন ভালো। ভবিষত্যে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার উপর এই ধরনের বই লেখকের কাছ থেকে পাব বলে আশা করছি।
Read More
Was this review helpful to you?
By Shakhawat Hussain,
04 Mar 2020
Verified Purchase
i bought it almost one year back but when i read again it seems i bought new. its amazing experience and many many thanks to the Montazid vi. hope we will get more books from you and your experience help us, motivate us. thank you so much......
Read More
Was this review helpful to you?
By Eahid,
06 Feb 2020
Verified Purchase
আমারা সবাই মনে করি সায়েন্স অনেক সহজ বিষয় এতো সহজেই সব কিছু জানা যায় নেটে সার্চ দিলেই সব পেয়ে যাই কত সহজ তাই না? এ ধারনা আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষের।এ বইটা সাযেন্স সম্পর্কে একটি ধারনা দিবে ।একবার পড়ে দেখতে পারেন আশা করি সময়টুকু বিফলে যাবে না।
Read More
Was this review helpful to you?
By joy Kumar dey,
01 Dec 2019
Verified Purchase
শামীর ভাইয়ার "হাইজেনবার্গের গল্প" অত্যন্ত চমৎকার একটি বই। আর বইটিতে তিনি তার লেখা গল্পগুলো এতো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যে , তা সাইন্স,কমার্স,আর্টস যে কোন বিভাগের শিক্ষার্থীরা পড়তে পারবে এবং আনন্দ উপভোগ করবে। সত্যিই অসাধারণ একটি বই।
Read More
Was this review helpful to you?
By Arman,
04 Feb 2019
Verified Purchase
পছন্দের মানুষের লেখা! ফেসবুক টাইমলাইনে নিয়মিত ক্ষুদ্র ব্লগ গুলো পড়ছি। বই বের করছে জেনে প্রি-অর্ডার করেছি। অপেক্ষারত আছি পাবার জন্য। ব্লগ লিখা গুলোর মতই আশাকরি বিজ্ঞান ভিত্তিক এই বইটা ভালই লাগবে। শুভ কামনা শামির ভাইয়ার জন্য।
Read More
Was this review helpful to you?
By nayem,
17 Nov 2019
Verified Purchase
এটা আসলে বিজ্ঞানের বই নয়। বিজ্ঞানের গল্পের বই। বিজ্ঞান, অনেক আবিস্কারের পেছনের গল্প, বিভিন্ন আত্মভোলা বিজ্ঞানীর জীবনের মজার মজার গল্পগুলো সাবলীলভাবে বর্ণনা করা হয়েছে৷ যারা বিজ্ঞানের গল্প পছন্দ করেন তারা পড়ে দেখতে পারেন৷