“অনভ্যস্ত গল্পের নায়িকা” বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ যে গল্পগুলাে বলা হয়ে ওঠেনি এ তল্লাটের মেয়েদের, বলতে অভ্যস্ত নয় তারা এখানে সে গল্পগুলাে আছে। যে গল্প শুনে অভ্যস্ত নই মেয়েদের মুখ থেকে আমরা, এখানে সে গল্প লেখা হয়েছে। লেখা হয়েছে হাজার বছরের অনভ্যস্ত গল্পের নায়িকাদের কথা। অনভ্যস্ত গল্পের জগতে আপনাদের স্বাগতম। প্রথম অংশের কিছু কথাঃ কাল রাতে অনু আমাকে ফোন করেছিল। রাত দুটো বাজে তখন। বারােটার ভেতর ঘুমিয়ে যাওয়া আমার অভ্যাস। কাছের যারা তারা এ নিয়ম জানে বলে বারােটার পর খুব জরুরি না হলে ফোন দেয় । দূরের বন্ধুরা আমার কন্টাক্ট নাম্বার জানেন না। অনু অল্প সময়ে কাছের হয়ে যাওয়া দূরের বন্ধু। মিলির বিয়েতে গিয়েছিলাম চট্টগ্রামে, মিলি আমার ছােটবেলার বন্ধু। বিয়ে করবাে, করবাে না’ বলে বাঙালির ভাষায় বিয়ের বয়স শেষ করে এসে মিলি বিয়ে করলাে, পলিমার সায়েন্সে পিএচডি কমপ্লিট করে ও তখন চট্টগ্রামের এক কোম্পানিতে কাজ করছে। অনু মিলির বরের বন্ধুর বউ। আমাকে দূর থেকে দেখেই এগিয়ে এসেছিল। মিনিট কুড়ির আলাপে সে খুব কাছের হয়েছিল আমার। আসবার সময় অনুই লজ্জিত গলায় বলল,-“কিছু না মনে করলে আপনার ফোন নাম্বার দেয়া যাবে আপা?’ আমি একটু ইতস্তত করছিলাম। ও আশ্বস্ত করার সুরে বলল, ‘খুব প্রয়ােজন না হলে ফোন দেবাে না। আমি একটু লজ্জা পেয়েছিলাম। কথা না বাড়িয়ে দিলাম নাম্বার। সকলের ভাষায় অনু খুব মিষ্টি মেয়ে। আমাদের এদিকে খুব ফর্সা না হলেও এক কথায় তাকে সুন্দরী বলা, ভাবায় দৈন্যতা আছে। ভারী সুন্দর দেখতে হলেও গায়ের রং কালাের দিকে হলে
Tamanna Setu লেখক ও সংস্কৃতি কর্মী। বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের পরিচালক। লেখালেখিতে অসাধারণ সামাজিক দায়বদ্ধতার জন্য পেয়েছেন `আয়েশা ফয়েজ সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬’। প্রকাশিত গ্রন্থ: ভবিষ্যতের জন্য, জন্মদিনের উপহার, মা আর আমি স্বপ্ন দেখি, আমার মুক্তি আলোয় আলোয়, তামান্না সেতু’র সাড়ে সাতটি প্রেমের গল্প, সে রাতে আমিও মেঘ হয়েছিলাম।