"ঈশ্বর এবং রাষ্ট্র" বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ “ঈশ্বর এবং রাষ্ট্র” মিখাইল বাকুনিনের একক অনন্য সৃষ্টি। একজন মানুষ যেসব কারণে ঈশ্বর সংক্রান্ত চিন্তা দ্বারা আক্রান্ত হয় বইটিতে সেসব ফ্যালাসিগুলাে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি। বাকুনিন বুঝাতে চেয়েছেন যে, মানুষজন এখনাে বঞ্চিত এবং বিভিন্ন উপায়ে সরকার তাদের বঞ্চিত করছে। প্রতিদিনের কাজের পর তাদের বিশ্রাম নেওয়ার সময়টুকুও থাকে না। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলােচনা-সমালােচনা করার সময় পাওয়া তো দূরের বিষয়। ঈশ্বরপন্থীরা এই সুযােগটি গ্রহণ করে। তারা এমনভাবে এই ধর্মীয় চিন্তাটি মানুষের মধ্যে প্রচার করে যে, কোন প্রকার সমালােচনা ছাড়াই মানুষ ধর্মীয় চিন্তাকে গ্রহণ করতে বাধ্য থাকে। এই সংস্কৃতি ছােটবেলা থেকেই একটা শিশুর চারপাশে বিরাজিত থাকে এবং ধীরে ধীরে এটি তার মনের মধ্যে গেঁথে যায়। এক পর্যায়ে তা এসে অভ্যাসে পরিণত হয়। দৈবত্ব যত মহৎ হয়েছে মানবতা তত দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থায় পতিত হয়েছে। এটাই হলাে সকল ধর্মের ইতিহাস। স্বর্গীয় আইনকানুনের নিষ্ঠুর ইতিহাস! অথাৎ ইতিহাসে ঈশ্বর হলো সেই ভয়ানক সংঘের সভাপতি, যার নাম দিয়ে স্বর্গীয় দ্যুতিপ্রাপ্ত মহৎ গুণের অধিকারী সমস্ত মহাপুরুষেরা। সাধারণ মানুষের মুক্তি, সম্মান, কার্যকারণ এবং উন্নতি কেড়ে নিয়েছে।