“ঝটপট জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান” বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ নীল ডিগ্র্যাস টাইসন। ১৯৭৫ সাল। যুক্তরাষ্ট্রের সেকালের সবচেয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের একজন জ্যোতিঃবিজ্ঞান-পাগল এক হাইস্কুল ছাত্রকে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানালেন। ছেলেটি এসেও ছিল। ফেরার সময় বিজ্ঞানী বললেন, বাস ধরতে দেরি হলে ছেলেটি চাইলে তার বাসায় রাতে থেকে যেতে পারে। বিখ্যাত সেই বিজ্ঞানীর নাম কার্ল সাগান। আর সেই পাগল ছেলেটা? সেই ছেলেটাই ছিলেন নীল ডিগ্র্যাস টাইসন। পরে নীল টাইসন স্মৃতিচারণ করে বলেছিলেন, ‘বিজ্ঞানী হতে চাই, সেটা আমি আগেই জানতাম। কিন্তু কেমন মানুষ হতে চাই, সেটা আমি সেদিন শিখেছিলাম কার্ল সাগানের কাছে। বর্তমানে আমেরিকান মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রির হেইডেন প্ল্যানেটারিয়ামের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত নীল টাইসন বিজ্ঞানী হওয়ার পাশাপাশি সেরকম একজন মানুষও হয়ে উঠেছেন। নীলক্ষা নীলের বুকে তারাদের গল্প এবং তারও ওপারে, মহাশূন্যের মাঝে যে বিচিত্র কর্মযজ্ঞ, তার সাথে মানুষের যে নাড়ীর টান—এ নিয়েই তার কাজ। বইপত্র এবং বিভিন্ন যােগাযােগ মাধ্যমে নিয়মিত উপস্থিতির মাধ্যমে বিজ্ঞানকে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে তিনি কাজ করে চলেছেন নিরন্তর। ১৯৯৫ সাল থেকে বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ লেখা শুরু। লিখেছেন বেশ কিছু বই। তাঁর উল্লেখযােগ্য। বইগুলাে হল: ডেথ বাই ব্ল্যাক হােল, ওয়েলকাম টু দ্য ইউনিভার্স এবং অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ফর পিপল ইন আ হারি (ঝটপট জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান)। বিজ্ঞান নিয়ে বেশ কিছু টিভি সিরিজেও কাজ করেছেন টাইসন। তাঁর করা কসমস: অ্যা। স্পেস টাইম অডিসি অসম্ভব জনপ্রিয় হয়েছে। বিজ্ঞান নিয়ে কাজের জন্য তাকে ২০০৪ সালে নাসা ডিস্টিংগুইশড পাবলিক সার্ভিস মেডাল পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়। সূচিপত্রঃ * অনুবাদকদ্বয়ের কথা * শুরুর আগে * ইতিহাসের সবচেয়ে চমক্কার কাহিনির খোঁজে * পৃথিবী থেকে স্বর্গের খোঁজখবর * আলােয় ভুবন ভরা। * ছায়াপথের ফাঁকে ফাঁকে * ডার্ক ম্যাটার * ডার্ক এনার্জি * পর্যায় সারণিতে মহাবিশ্ব * গােলকের জয়জয়কার * অদৃশ্য আলাে। * গ্রহগুলাের মাঝখানে * বহিঃসৌরজাগতিক গ্ৰহ * মহাজাগতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন * পরিভাষা