দু’টি কথা "কিছু মানুষের কষ্ট চোখ দিয়ে ঝরে, কিছু মানুষের কষ্ট মেজাজ দিয়ে প্রকাশ করে, কিছু মানুষের কষ্ট হৃদয়ের মাঝে শুকিয়ে মরে, তবে কষ্টকে যারা প্রকাশ করতে না পারে, তারাই জীবনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে”।
প্রতিটি মানুষের জীবনেই কিছু কষ্ট থাকে, কেউ প্রকাশ করে আবার কেউ করে না। যারা এই কষ্ট মেনে নিতে পারে না তারা পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারে না। কষ্ট হলো মানুষের জীবনের একটা অংশ, আর এই কথা ভেবে যারা সামনের দিকে এগিয়ে যায় তারাই হয়তো একসময় পৌঁছে যায় সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। কষ্ট যে মানুষেকে শেষ করে দিতে পারে বিষয়টা এমন নয়। কারণ কষ্ট হলো মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। ভালোবাসা মানুষের জীবনে পূর্ণতা আনতে পারে কিন্তু সাফল্য আনার ক্ষেত্রে ভূমিকা তেমন একটা নেই। তাই কষ্ট নিয়ে কোন আক্ষেপ করতে নেই।
আমার লেখা “অপেক্ষা” উপন্যাসটি ভালোবাসা,দুঃখ-কষ্ট নিয়েই লেখা। এটি আমার প্রথম উপন্যাস। এর আগে আমার ৩ টি কবিতার বই বের হয়েছে। উপন্যাসটি সম্পূর্ণ বাস্তব ঘটনা নিয়ে লেখা। যেখানে ফুটে উঠেছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থার চরম বাস্তবতা। ভালোবাসার যে কত রঙ থাকে তা এই উপন্যাসটি না লিখলে বুঝতাম না। নিজের হাতে একটি কাহিনীকে জীবন্ত রুপ দেয়া অনেক কষ্টের, তারপরও চেষ্টা করেছি আমার সর্বোচ্চটা দেয়ার। এই উপন্যাসের কাহিনী অনেক বড় ও বাস্তব ভিত্তিক, কিন্তু বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে এত বড় উপন্যাস বের করা খুবই দুরহ ব্যাপার। তাই চিন্তা করেছি উপন্যাসটির আরেকটি পর্ব বের করব। আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে হয়তো ভবিষ্যতে পাবেন।
আমাদের সমাজে নানা রকম সমস্যার মধ্যে ভালোবাসাটাও একটি মারাত্মক সমস্যা, যা ইচ্ছা করলেই আপনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না। ভালোবাসা না থাকলে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। আবার এই ভালোবাসায়ই এক সময় হয়ে যায় মৃত্যুর কারণ। হয়তো একটু চেষ্টা করলেই বের হতে পারি এই সমস্যা থেকে।
আমাদের সমাজে কিছু অভিভাবক আছেন, যারা বাস্তবতাকে বুঝেন না। যার জন্য প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে আত্মহত্যার ঘটনা, অনেকেই হয়ে যাচ্ছেন মানসিক রুগী। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। মানুষ মাত্রই ভুল, এর মধ্যেই মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়। তাই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। না হলে এর পরিনতি যে কত ভয়াবহ হতে পারে তা এই উপন্যাসটি পড়লেই বুঝতে পারবেন।
উঠতি বয়সি ছেলে-মেয়েদের বলছি আপনারা যে কোন বিষয়েই ভেবে চিনতে সিদ্ধান্ত নিন। এই বয়সে বিবেকের চেয়ে আবেগ বেশি খেলা করে। আপনি কি করতছেন, কোন দিকে অগ্রসর হচ্ছেন তা বুঝার ক্ষমতা এই বয়সে আপনার নেই। পরিণামে জন্ম হতে পারে এক ভয়াবহ ঘটনার, যা পরিবারের জন্য অশান্তির কারণ হয়ে থাকে। এই বয়স তারুণ্যের বয়স। এই বয়সে হাতে থাকবে বই, গোলাপ না। এটাও মনে রাখতে হবে গোলাপেও কাটা আছে।
রেদোয়ান মাসুদ বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় কবি, ঔপন্যাসিক ও ছড়াকার। কবিতা দিয়ে সাহিত্য জগতে প্রবেশ করলেও একজন ঔপন্যাসিক হিসেবেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত। রেদোয়ান মাসুদের জন্ম ৬ই জানুয়ারী শরীয়তপুরের জাজিরায়। তিনি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ তথ্য ভান্ডার বাংলাকোষ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সি ই ও, হেলথ এইড হাসপাতাল লিঃ এর পরিচালক ও জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল মোড়ল নিউজ এর প্রকাশক। ২০১৪ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মায়ের ভাষা’। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘অপেক্ষা-১’। ২০২২ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম ম্যাক্সিম ‘জোছনায় পোড়া চোখ’। তার শৈশব ও কৈশর কেটেছে শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে। মাছ ধরা, ঘেলাধুলা ও বাগান করা ছিল তার প্রিয় শখ অথচ এই ইটপাথরের দেওয়ালঘেরা শহরে তাকে পেয়ে বসেছে লেখার জগতে। তবে শহরের এই যান্ত্রিক জীবনেও তাকে বারবার তাড়িয়ে বেড়ায় গ্রামের সেই মা ও মাটির গন্ধ। রেদোয়ান মাসুদ দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্থ মানুষকে খুব বেশি ভালবাসেন। শত ঝামেলার মাঝেও তিনি তাদের পাশে দাঁড়াতে কার্পণ্যবোধ করেন না। তিনি ততোটা জাঁকজমকপূর্ণ জীবনযাপনে আগ্রহী নন। তাই আধুনিকতার এই যুগে একেবারে সাধারণ জীবনযাপন করছেন।