‘কালকূট’ বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ কালকূট। যার অর্থ- তীব্র বিষ। যে বিষের ক্ষমতা অনেক। জীবন থেকে পাওয়া সুখগুলো যেমন অমৃতের মতো। তেমনিভাবে দুঃখগুলো কি বিষের মতো নয়? জীবনের গল্পগুলো বিষাদের হয়। সুখের কোনো গল্প কেন যেন হয় না। সুখ মানুষের আকাঙ্ক্ষিত বিষয়। তাই সুখ স্বাভাবিক। স্বাভাবিকের বাইরে না চাওয়ার যে বিষাদপ্রাপ্তি, গল্প তো তারই হবে। একজীবনে মানুষের অসংখ্য ছোটো-বড় কষ্ট। কেউ সয়ে সয়ে বয়ে যায়। কেউ শেষ হতে থাকে ভেতর থেকে। কোনো কোনো ছোটো কষ্টও তীব্র বিষ হয়ে বাসা বাঁধে মায়ার গহীনে। হৃদয়কে বিষাক্ত করে দেয়। বেঁচে থাকাকে করে দেয় অর্থহীন। অর্থহীন জীবন নিয়েই পৃথিবীর মায়ায়, আপনজনের মায়ায় মানুষ বেঁচে থাকার চেষ্টা করে। এই। চেষ্টাটাও কখনো কারো কারো সফল হয় না।
এই সফল না হওয়া মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম না। যখন আরো মানুষের এই গল্পগুলো চোখের সামনে চলে আসে, তখন মানুষ শক্তি পায়। নিজেকে হালকা করতে পারে। ভাবে, দুনিয়ায় সে একাই দুঃখী নয়। অথবা অন্যের সুখগুলো দেখে মিলিয়ে নিতে পারে যে, তার। জীবনেও তো ছোটো ছোটো কিছু সুখ আছে যা অতি মূল্যবান। গল্পটি অয়নের। এই সমাজ, পরিবার, চারপাশের মানুষ। সবমিলিয়ে অয়ন কেমন আছে? কেমন থাকে অয়নের মতো মানুষেরা? ছোটো ছোটো সুখের বাইরে কষ্টের তীব্র। বিষগুলো ধারণ করে কারো কারো যে বেঁচে থাকা। ‘কালকূট তারই প্রকাশ। প্রচ্ছদ • হিমেল হক