কিশাের আজহার আলী বয়সের তুলনায় শারীরিকভাবে কিছুটা মােটা। আর মােটা হওয়ার কারণে প্রিয় খেলা হয়ে ওঠে বক্সিং। সমবয়সী কেউ তার বিপক্ষে বক্সিং রিংয়ে নেমে কজির শক্তি পরীক্ষার সাহস পেত না। ফলে সবাই তাকে বক্সার দ্য গ্রেট মােহাম্মদ আলী ডাকে। কিন্তু আজহার কিংবদন্তী আলী সম্পর্কে কিছুই জানে না। তাই দুই বন্ধু দাদুর মুখে আড্ডায় আড্ডায় শুনতে থাকে বক্সার আলী সম্পর্কে। যত শােনে ততই আগ্রহ বাড়ে। সত্যি আলী বিস্ময়কর চরিত্রের মানুষ। একজন ক্রীড়াবিদ। একজন মানবতাবাদী। যে মানুষকে ভালােবেসে মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য ভিয়েতনাম যুদ্ধে যেতে অস্বীকার করে। পরিণামে নেমে আসে বক্সিয়ের উপর নিষেধাজ্ঞার। ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে জুনিয়র থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে নাম মােহাম্মদ আলী। কথা বলা শুরু করলেন। কালােদের পক্ষে। পাশে দাঁড়ালেন নির্যাতিত ও নিপীড়িত মুসলমানের। প্রজন্মের তরুণ ক্রীড়াবিদদের চাওয়া একটাই মােহাম্মদ আলী হওয়া। দরিদ্রতম পরিবারে জন্ম। নেয়া আলী হয়ে ওঠেন গত শতকের পৃথিবী সেরা ক্রিড়াবিদ? একজন ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে জুনিয়র কীভাবে ভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করে মােহাম্মদ আলী ক্লে হয়ে উঠেছেন এটি মূলত সেই রহস্য উন্মােচনেরই কাহিনি।
জব্বার আল নাঈম এই সময়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় কবি। সময়কে অনুষঙ্গ করে তিনি লিখছেন যাপিত জীবনের চাওয়া-পাওয়া। জীবন ও প্রকৃতি, বোধ এবং বুদ্ধির জাগরণসহ নানান বিষয় অনুষঙ্গ করে। জব্বার আল নাঈম ১১ নভেম্বর ১৯৮৬ সালে চাঁদপুর জেলার মতলব থানাধীন নারায়ণপুর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নানান বিষয়ে লেখালেখি করতেন। লেখালেখির হাতেখড়ি মূলত বড়বোনের হাত ধরে। তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ তাড়া খাওয়া মাছের জীবন। বইটি ২০১৫ সালে শুভ্র প্রকাশ হতে প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় বই বিরুদ্ধ প্রচ্ছদের পেখম ২০১৬ সালে বিভাস প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হয়। ২০১৬ কবি রবীন্দ্র জার্নাল-দাগ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৬ পেয়েছেন।