মানব সভ্যতার বিকাশে মানব-মানবীর প্রেম প্রণয় এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। ইতিহাসের পাতায় পাতায় যুগ যুগ ধরে লিপিবদ্ধ হয়েছে অজস্র প্রেমের সুখ দুঃখের প্রণয়-কাহিনি। এর কোনটাতে আনন্দের ফল্গুধারা বয়ে গেছে আর কোনটাতে বিধৃত হয়েছে বিষাদের কালোছায়া। মূলত: বয়ঃসন্ধিকালের পরই মানব-মানবীর হৃদয়ে স্ফুরন ঘটে ভালো লাগার বুদ বুদ কে কখন কিভাবে প্রেমে জড়িয়ে পড়বে তার কোন ইয়ত্তা নেই। প্রেমে পড়ে মানুষ আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে হাসে, আবার কখনো বিরহের বিষাদে যন্ত্রণায় হাহাকার করে। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের নৃ-তাত্ত্বিকের ভিন্নতার কারণে মানুষের যাপিত জীবন ও ভাষা ভিন্ন ভিন্ন হলেও প্রেমের ক্ষেত্রে দেখা যায় সবই একই ঘটনা, একই কাহিনি। কেউ ভালোবাসার মানুষকে পেয়ে হাসে, কেউ না পেয়ে কাঁদে। মানব প্রেম মনস্তাত্তিক ক্রিয়ার কারণে নানা প্রক্রিয়ায় ভালোবাসা আসা-যাওয়া করে। কেউ এর গূঢ় রহস্য বোঝে, কেউ বোঝে না। 'স্মৃতিময় ভালোবাসা' গ্রন্থের লেখক লক্ষীন্দর খরঞ্জা বয়সে তরুণ হলেও একটি ব্যর্থ প্রেমের কাহিনি নির্মাণ করেছেন নিপুণভাবে। শিল্পিত ও নান্দনিকতার কিছু ঘাটতি থাকলেও এটি পাঠ করে মনে হবে- 'আরে এতো আমার জীবন কাহিনি।'