শরতের আকাশ। নীল আকাশের বুকে সাদা মেঘের বিচরণ। মাঝে মাঝে সাদা বকের দল নীল আকাশের বুক ঘেঁষে উড়ে যায়। বিকেলের হিমেল হাওয়ায় মন হারিয়ে যায়। নদীর দুপাড়ের সাদা কাঁশফুলগুলো যেন শরতের আকাশের সাদা মেঘের প্রতিকৃতি। অস্পর্শ অনুভবের আলতো ছোঁয়ায় হৃদয় স্পর্শ করে। মন হারিয়ে যায়, স্বপ্নের দেশে হাওয়ার খেয়ায় ভেসে ভেসে। অনাবিল সুখে মন ভরে যায়। পরন্ত বিকেলে নদীর পাড়ের রূপালী বালুচরে নগ্ন চরণে হাঁটার মজায় আলাদা। গোধূলি লগ্নে হারিয়ে যাওয়া সূর্যের হাসি শুধু প্রকৃতিকেই সুশোভিত করে না, মনের গহীনে ভালো লাগার দ্বীপ জ্বেলে দেয়। এই ভালো লাগা কখনো হারিয়ে যায় না। অন্তরের অন্তস্থলে আলো হয়ে জ্বলে। শরৎকালে মন্দিরে মন্দিরে শুরু হয়েছে দুর্গোৎসব। মন্দিরে বাজে ঢাকের বাদ্য। নানান পেশার নানান মানুষ আসে পুঁজা মণ্ডপে। দুর্গা মায়ের চরণে মাথা ঠেকিয়ে কতজনেই না কত কিছু কামনা করে। কেউ পায় আবার কেউ পাবে বলে আশায় বুক বেঁধে রাখে। মানুষ মানুষের কাছে যৎসামান্য কিছু চাইতে পারে, কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কাছে যখন চায়, তখন কেউ কৃপণতা করে না। জীবনে যতটুকু প্রয়োজন প্রাণ ভরে সবটুকুই চায়। এই চাওয়া কতটা পূর্ণ হলো, আর কতটা হবে, তার হিসেব কেউ কখনো কষে না। সৃষ্টিকর্তাকে মনের
কুমের আলী ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ঢেমটিয়া গ্রামে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতামাতার পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক এবং ঢাকা কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ছোটবেলা থেকে নানাবাড়িতেই তিনি থাকতেন। স্কুল জীবনেই তিনি ছোট গল্প, কবিতা ও গান লিখতেন। স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিজের লেখা কবিতা ও গান গেয়ে সুনাম অর্জন করেন। ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা 'দৈনিক লোকায়ন' পত্রিকার সাহিত্য পাতায় নিয়মিত তার কবিতা ছাপা হয়। তার লেখা আরও অনেক অপ্রকাশিত ছোট গল্প, কবিতা, গান ও উপন্যাস রয়েছে। ফিরে আসা রংধনু তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। 'স্বপ্ন ছড়ানো পথে' লেখকের ষষ্ঠ উপন্যাস।