‘মহাভারতের পথে-তিন' বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথাঃ আসলেই কি কবিতা গোলাপের মতো সুন্দর? সিংহাসন কি সত্যিই ময়ুরপঙ্খী? নাহলে, অপচয়ের জন্য বাবাকে বন্দী করেও কেন আওরঙ্গজেব দ্বিতীয়-তাজমহলের জন্য নিজেই সাত লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা বরাদ্দ করলেন? আবার। অনুশোচনায়-দগ্ধ তিনিই নিজের সমাধির জন্য রাখলেন মাত্র তেরো টাকা বারো আনা? এর যুক্তি কী? নাকি, সবই সাজানো নাটক? বাংলাদেশের সংসদ ভবন নির্মাতার কাছে কী চেয়েছিলেন আইউব খান? কেন আমাদের লালবাগ দুর্গের নির্মাতার নাম পর্যন্ত আমরা জানি? জানতে চাইও না । ইতিহাস ও ঐতিহ্য তাকে বেশি টানে বলেই তিনি নিজের দেশের। অযাচিত-অনগ্রসরতাকে প্রতিতুলনা করেন। বিদেশের নানা স্থান ও নিদর্শন বর্ণনার ছত্রে-ছত্রে । এটাই তার রচনার ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য। এবার। তিনি এসব প্রশ্নের উত্তর খোজার চেষ্টা করেছেন। চণ্ডিগড়, জয়পুর, আগ্রা, দৌলতাবাদ এবং। আজমীরে ভারতের কেন্দ্র ও উষর পশ্চিমাঞ্চল ভ্রমণে। বরাবরের মতোই লেখক বলতে চেয়েছেন: সমগ্র বিশ্বের মতো এ ভূখণ্ড ও আমাদের; এর ভাগাভাগি-কাটাকাটি কেবলই হীন-স্বার্থে । মনুষ্যত্বের জাগরণ ছাড়া সব ধর্মের। বাগাড়ম্বরই মিথ্যা; সব রাজনীতিই স্বার্থপরতার নামান্তর। চলুন, রহস্য-রঙিন ভ্রমণবিশ্ব সেই অপরূপা-মহাভারতে; তৃতীয়বার ।