"মানুষ নিয়ে বিজ্ঞান" বইয়ের শুরুর কথা: বিজ্ঞান বহুদুর এগিয়েছে। জীববিজ্ঞানও পিছিয়ে নেই। মানব বিজ্ঞান তাে মানুষের এক বরাবরের অগ্রাধিকার পাওয়া বিজ্ঞানের ক্ষেত্র। মানুষের দেহের ভেতরের বহু বিষয়ের পাশাপাশি জিনের অবস্থানসহ জিনের কতরকম কথাই না এখন মানুষের জানা সম্ভব হয়েছে। মানুষের এমন কোনাে বৈশিষ্ট্য নেই যার পেছনে জিনের ভূমিকা নেই। অতি সাধারণ দৃষ্টিগ্রত চোখ, কান, নাক, জা, মুখাবয়ব, ঠোঁটসহ সরাসরি দেখা যায় না। তেমন কত বৈশিষ্ট্যই-না জিন নিয়ন্ত্রিত। অনেকের ধারণা বুঝি রক্তের মধ্য দিয়েই মানুষের পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক রচিত হয়। সেটিও যে 'জিনেরই কাজ, তা এখানে তুলে আনা হয়েছে। আত্নীয়দের মধ্যে বিয়েথার পরিণাম যে জিনের কারণেই খুব সুখকর নয় সেটিও বাদ যায়নি। যেমন এসেছে সন্তান ও যমজ সন্তান জন্মানোর রহস্য, তেমনি এসেছে তৃতীয় লিঙ্গের কথা এবং মানব ক্লোনিং প্রসঙ্গও। মানুষের মেধা, তার আচরণ, মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া বৈচিত্র্য এবং 'এমন কী মানুষের বয়ােঃবৃদ্ধি ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট 'মনােদৈহিক পরিবর্তন প্রত্যেকটার পেছনেই জিন কাজ করছে গােপনে গােপনে। অনিবার্যভাবে এসব প্রসঙ্গও এসেছে এই গ্রন্থে।