পিকাসোর প্রায় তিনশো কবিতা পাওয়া যায়।খুব সম্ভবত ১৯৩৫ সালের দিকে একপ্রকার নি:সঙ্গতা থেকে তিনি ছোট্ট একটা নোটবইতে প্রথম কবিতা লেখা শুরু করেন।তার কবিতা লেখার বিষয়টা ছবি আঁকার মতো প্রকাশ্যে ছিলো না।যদিও কবিতা বা ছবিই মূলতই স্বত:স্ফূর্ত এবং কবি বা চিত্রীর অস্তিত্বের যন্ত্রণাকে প্রকাশ করে।এরা যথা অর্থে মৃন্ময়।কবি বা চিত্রীর উপলব্ধি এবং একান্ত সুন্দর অথবা হাহাকারকে প্রকাশ করে।কবিতা বা ছবির মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই।যে পার্থর্ক বিদ্যমান তা আসলে আঙ্গিকগত,পদ্ধতিগত,আর মাধ্যমগত,ভাবগত নয়।প্রকৃত অর্থে কবিতা হলো নিরাকার ছবি।আর ছবি হলো মূর্তিমান কবিতা। পিকাসো হয়তো নৈ:সঙ্গকে ভুলে থাকার জন্য বা অন্য কোনো যন্ত্রনাকে প্রকাশের জন্য কবিতা লিখতেন না,যদি না তার কবি লেখক বন্ধুরা থাকতো।তার ছিলো গিয়ম অ্যাপলিনেয়ার ,মাক্স জ্যাকব,আদ্রে ব্রেতো,প্রমুখ অনেক কবি -লেখকের সঙ্গে সখ্য। কায়েস সৈয়দ দীর্ঘদিন ধরে পিকাসোর এইসব কবিতা ভাষান্তর করেছেন।তার এই ভাষান্তর সাবলিল ও পরিশ্রম সাধ্য।আর এটি তার অনুদিত প্রথম প্রকাশিত বই।এই বইতে রইলো পিকাসোর ২৭ টি নির্বাচিত কবিতার বাংলা ভাষান্তর এবং সঙ্গে ২৭ টি কবিতার ইংরেজি অনুবাদ,যেগুলি থেকে এই বাংলা ভাষান্তর। -নির্ঝর নৈ:শব্দ্য