"সাইকো থ্রিলার: আমর্ষ" বইয়ের পেছনের কভারে লেখা:অনেক বেলা করেই ঘুম থেকে উঠলাে এসআই কামরুল। রাতে তদন্তের রিপাের্ট জমা দিয়ে বাসায় ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়েছে। কৌতূহলে রিমােট হাতে নিয়ে টিভি অন করলাে, কারণ সকালে ওসি স্যার তার তদন্তকৃত মামলার আসামি আদালতে পাঠানাের সময় প্রেস ব্রিফিং দেয়ার কথা আছে। টিভি স্ক্রিনে দেখতে পেলাে সংবাদ পাঠ করছে বন্ধু সাদি মােহাম্মদ। সংবাদের বিস্তারিত রিপাের্টে তখন লাইভ প্রেস ব্রিফিং দিচ্ছেন ওসি (তদন্ত) আসিফ মহিউদ্দিন। ব্রিফিংয়ে ওসি স্যার মডেল ডিয়ানা আলী, অর্থোপেডিক ডাক্তার ইরফান ও ফটোগ্রাফার রিমন খুনের বিষয়ে সঠিক তথ্য দিলেও ব্যবসায়ী পত্নী শরমিন জামান খুনের বিষয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যে তথ্য দিচ্ছেন। রাতে বাসায় ফেরার সময় ওসি স্যার ফোন করে জানায় দেশের প্রথম সারির ব্যবসায়ী তার নিজের সম্মান ও ছয় বছরের একমাত্র মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে উধ্বর্তন মহলের মাধ্যমে এ মৃত্যু রহস্য গােপন রাখার ব্যবস্থা করেছেন। প্রথমে টাকার ক্ষমতার অপব্যবহার ভেবে বিষয়টা মেনে নিতে না চাইলেও পরে ছােট শিশুটার কথা চিন্তা করে মেনে নিয়েছে কামরুল। ‘আমর্ষ : ক্রোধ, আক্রোশ, নির্দয়তা, নির্মমতা। না পাওয়ার যন্ত্রণা এক হতাশ মনে জন্ম দিয়েছে ক্রোধ। যখন নতুন করে পূর্ণ হওয়ার স্বপ্নে বিভাের, তখন আবারাে হারানাের সুর। ধীরে ধীরে আক্রোশে পরিণত হয়েছে প্রেম, হারানাের ভয় করে তুলেছে নির্দয়। ফলে নির্মমভাবে একে একে খুন হতে থাকে ডিয়ানা, শরমিন, ইরফান এবং রিমন!
শেখ সোহেল রানা কথা সাহিত্যিক। নাম মো. বশির উল্লাহ, তবে শেখ সোহেল রানা নামেই অধিক পরিচিত। মৃত্যুর পরেও অনন্তকাল বেঁচে থাকার এক অদম্য ইচ্ছেতেই লেখালেখির চেষ্টা। বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা-ই লেখালেখির মূল উৎস। মূলত থ্রিলার জনরার উপন্যাস লিখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, পাশাপাশি লিখেন সমকালীন গল্প ও কবিতা। জন্ম, বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। বর্তমানে মানসিক প্রশান্তি নিয়ে সবুজে ঘেরা মনোরম প্রকৃতির পার্বত্য রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়াতে স্থায়ী বসবাস। বাবা মো. বোরহান উল্লাহ এবং মা পারভীন আক্তারের তিন সন্তানের মধ্যে বড় সন্তান। স্ত্রী রেহানা বশির রেনু, একমাত্র পুত্র আশহাব বশির আরিক এবং একমাত্র কন্যা আনজুম বশির আদিবাকে নিয়েই লেখকের যাপিত জীবন। ২০১৮ সালে প্রকাশিত প্রথম বই অপেক্ষা এবং ভালোবাসা দিয়েই যাত্রা শুরু। একক বইয়ের পাশাপাশি লিখেছেন বিভিন্ন সংকলনে।