"তৃতীয় পুুরুষ" বইয়ের পেছনের কভারে লেখা:জগতের অন্যায়ের দিকগুলােই অন্ধকারের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই অন্ধকার জগতের দৈত্যদের তাড়নায় মানবকুল মাঝে মধ্যেই বিপদসঙ্কুল পরিবেশে পড়ে যায়। এরূপ এমন এক অন্ধকার জগতের এক নায়কের জীবন কাহিনীর শুরু আর বিস্ময়কর উত্থানের ইতিবৃত্ত নিয়ে তৃতীয় পুরুষ। আবর্তিত হয়েছে। রূপসা পাড়ের এক ক্ষুদ্র বালক যার চৌর্যবৃত্তি দিয়ে জীবন শুরু হয়েছিল সে কিভাবে শতকোটি টাকার মালিক হয়ে পশ্চিমাঞ্চলকে দাপিয়ে বেড়িয়েছিল তারই আনুপূর্বক ঘটনার এক সুন্দর উপস্থাপনার মধ্যে এ তৃতীয় পুরুষ নামক উপন্যাসটি তার পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। আমরা আমাদের সমাজের লাট ভাইদের পরিচয় পাব, পাব তাদের ফাক বুঝে কেটে পড়ার স্বভাবগুলাে। অর্থের প্রতিপত্তিতে কিভাবে রক্ষকদের মাথা বিক্রি হয়ে যায় আবার এ ঘনঘাের অমানিশার মাঝেও আলােকবর্তিকা হিসাব কোন উত্তম পুরুষের আবির্ভাব ঘটে, কিভাবে শত প্রতিকুলতার মাঝেও সত্য তার সঠিক মূল্যে দাঁড়িয়ে যায় তার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে এ তৃতীয় পুরুষ উপন্যাসটি। পাঠককুল একবার যদি ঘটনার আবর্তে পড়ে যান। তবে এক নিঃশ্বাসে পাঠ করার আগ্রহ অবদমিত রতে পারবেন না বলে আমাদের বিশ্বাস। নৈতিকতা বিবর্জিত এ সমাজেও যে নীতিবােধের ধারা লুকিয়ে আছে, অন্ধকারও যে আলাের প্রতাপে। ফিকে হয়ে যায় তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলাে এ তৃতীয় পুরুষ। কল্যাণ চক্রবর্তী এমন একটা ঘটনার জন্ম দিয়েছেন যার মধ্যে তার নিজস্ব অভিজ্ঞতার ছাপ পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে। আশারাখি পাঠককুল এ উপন্যাসটি পড়ে হাসি-কান্না-আনন্দ-বেদনার স্বাদ পাবেন।