মুখবন্ধ একজন শিশুর আবাসভূমে জন্মের পর তার জীবন গঠিত হয় সমাজ ও পরিবেশের নিবিড় পর্যবেক্ষণে। পরিবার, পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষায়তন এবং সমাজব্যবস্থার মধ্য দিয়েই বেড়ে ওঠে তার ধরাকাল। গঠিত হয় মানবিকতা ও আদর্শের পুরু দেয়াল। এটাই বিশ্বপরিমন্ডলের চলমান রীতি। তবে, এসকল নিয়মের শৃঙ্খল ভেদ করেও এই স্বপ্নীল বসুধায় কারো জন্ম হয়। যারা সকল সংকট এবং বাঁধার দুয়ার উপড়ে ফেলে নিজেদেরকে শাণিত করে। সম্মুখে হানা দেয়া আগ্রাসী অনাচারকেও বশ্যতার শিকলে আবদ্ধ করে। তারা উন্নত জীবনের স্বপ্নে বিভোর হয় এবং সেই অলৌকিক কল্পকে বাস্তবে রূপ দেয়ার পথও রচনা করে। পরিশেষে গর্বিত সাফল্যের জয়মাল্য ছিনিয়ে এনে নিজেদেরকে স্ব-মহিমায় প্রতিষ্ঠিত করে। এমনই একজন সাহিত্যপ্রেমী কবি ও লেখক সাইদুর রহমান। যে শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই লেখনি জগতে নিজেকে নিমজ্জিত রেখেছে। আত্মনির্ভরশীলতার খোঁজে অধ্যায়নকাল থেকেই অর্থ যোগানের নিমিত্তে কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত রয়েছে। জীবনে আহুত অজস্র ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে আজকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) শেষ করে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) সম্পন্নকরণের মধুর স্বপ্নে বিভোর। ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর রিসার্চ সেন্টারে কর্মরত অবস্থায় ইতোমধ্যে আরও দু’টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ‘পার্বতী’ সাইদুর রহমান-এর তৃতীয় গ্রন্থ। বইটিতে রয়েছে অল্প মাইনে পাওয়া কর্ম জীবনের জটিলতা, প্রিয় মানুষের সান্নিধ্যে কাটানো মধুর সময়ের আনন্দময়তা এবং উদ্ভাসিত হয়েছে নির্মল আবেগের সরলতা। উপন্যাসটিতে নতুনত্ব তুলে ধরার ক্ষেত্রে লেখক পরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছে। তার জীবনে চলার পথে সকল বাধা-বিপত্তি এবং অমানিসার ঘোর কেটে জীবনের আকাক্সক্ষা নিভৃত হোক এটিই আমাদের প্রত্যাশা। আমি তার উত্তরোত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। ড. সাইফুল ইসলাম খান ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।