আভাষ এই গ্রন্থের লেখাগুলো একটি বিশেষ ভাবনা-সন্ধানের ফল, জীবনর কোনো এক সময়ে এ ভাবনাগুলো আলোড়িত করে প্রত্যেক মানুষকেই। অনেকে আমৃত্যু বহন করে বেড়ান এই ভাবনা চিন্তাগুলো । বস্তুত ঈশ্ববিষয়ক চিন্তা নিয়ে মানুষ চলাফেরা করে সারাজীবনভর। এই চিন্তা থাকা ও না থাকা দুটোই মানুষের জন্যে প্রয়োজনীয়। আর এই চিন্তা মানেই কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাপর নয়। আমার মনে হয় ঈশ্বর এক ধাঁধা যার উত্তর মানুষ নানাভাবে দেয় এবং সব উত্তরই হয়তো ঠিক।
এই গ্রন্থের প্রথম অংশের লেখাগুলো একটি পরিকল্পিত লেখার অংশবিশেষ আমার ইচ্ছা ছিল এ ধরণের আরও কিছু লেখা দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বই করার , কিন্তু আজ থেকে চার-পাঁচ বছর আগে শুরু করা এই লেখাগুলোর বিষয়ে আমি পরবর্তীকালে আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। ফলে প্রয়াসটি আর ফলে যাওয়ার এক্ষণে সম্ভাবনা নেই। কিন্তু লিখিত অংশগুলোর একটি গতি করার বাসনা থেকেই যায় আর এ প্রণোদনা থেকে বর্তমান বইটির আবির্ভাব।
এই বইয়ের দ্বিতীয় অংশের লেখাগুলো দিযে অনেক আগে একটি বই বেরিয়েছিল ভাবনাবিন্দু নামে, কিন্তু প্রথম অংশের লেখাগুলোর সাথে সামীপ্য থাকায় গ্রন্থভুক্ত করা হলো লেখাগুলো পুনর্বান আদিরূপে যদিও তা অনেকাংশে অব্যবস্থিত, অতএব ভাবনাবিন্দু নামীয় গ্রন্থের অস্তিত্ব আর থাকার কথা নয় এক অর্থে। সে যা-ই হোক এই গ্রন্থ হয়ে উঠল নতুন আর পূর্বেকার লেখার আধার। কুমার চক্রবর্তী
কুমার চক্রবর্তী : কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক। জন্ম ২ চৈত্র ১৩৭১ বঙ্গাব্দ, কুমিল্লা, বাংলাদেশ। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হলো- কবিতা : লগপুস্তকের পাতা (১৯৯৮), আয়না ও প্রতিবিম্ব ( ২০০৩), সমুদ্র, বিষণ্নতা ও অলীক বাতিঘর (২০০৭), পাখিদের নির্মিত সাঁকো (২০১০), হারানো ফোনোগ্রাফের গান (২০১২), তবে এসো, হে হাওয়া হে হর্ষনাদ (২০১৪)।