"ইমপ্রুভ ইওর মেমোরি পাওয়ার" বইয়ের পিছনের কভারের লেখা: আমাদের প্রত্যেকের জীবনে দু'টি পছন্দের দিক রয়েছে, সেখান থেকে প্রতিটি মানুষ অধিকতর। পছন্দের দিকটি বেছে নিয়ে জীবন পরিচালিত করে। প্রথম পছন্দের কাজ করতে আমাদের ক্ষমতা। থেকেও কম পরিশ্রম করতে হয়। এক্ষেত্রে বলা যায় অর্জন সীমিত, তাই চাওয়া-পাওয়াও সীমিত। পড়ালেখা কম, চিন্তার পরিধি খুবই স্বল্প, জ্ঞানার্জনের চেষ্টাও কম, নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলার আগ্রহ কম। এসব পছন্দ অপছন্দ, চাওয়া-পাওয়ার মাঝে মিল না থাকলে জীবন অন্তসারশুন্য হয়ে উঠে। জীবনে কিছু অর্জন করতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই, কিন্তু পরিশ্রম যদি পরিকল্পনামতাে না হয়। তাহলে সঠিকমতাে এগােনাে যায় না। প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে জ্ঞানার্জন, পরিকল্পনামতাে পরিশ্রম আর নিয়মানুবর্তিতা পালন, তাহলে দ্বিতীয় পছন্দের তালিকাটি কি? সাফল্য অর্জন করতে হলে সব কাজ সময়মতাে করতে হবে! মানুষের পক্ষে কী সব কাজ করা সম্ভব! প্রতিটি বই পড়া আমাদের পক্ষে সম্ভব? সাধ্যমতাে আয় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব! তবে সবকিছু করা, বা না করা আমাদের ইচ্ছা অনিচ্ছার। উপর নির্ভরশীল। হতেও পারে, নাও হতে পারে। এটা সার্বজনীন সত্য, সবকিছু অর্জন করতে পারি, আবার কম বেশি সাফল্য পেতে পারি, এমনও হতে পারে, কোনাে কিছুই অর্জন করা সম্ভব নাও হতে। পারে। এ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ প্রতিটি মুহুর্তে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, দক্ষতা, যােগ্যতা ও মেধা দিয়ে, বুদ্ধি। ও পরিকল্পনামতাে এগুতে হয়, মানুষ প্রকৃতঅর্থেই বটবৃক্ষের মতাে। বহু ঝড় ঝাপ্টা তার উপর দিয়ে। প্রবাহিত হয়, সে চ্যালেঞ্জ মেনে নিয়ে সামনের দিকে ধাবিত হওয়াই স্বভাবজাত ধর্ম। জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত মেধার বিকাশ ঘটানাে, প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে সামর্থের সবটুকু। উজাড় করে দিয়ে নিজেকে সমাজ, জাতি রাষ্ট্রের কাছে মেলে ধরা। কাজ, পরিশ্রম এবং পড়ালেখা শুরুর আগেই যদি কেউ ঠিক করে থাকে, গোজা মিল দিয়ে পার পেয়ে। যাবাে, তাহলে সেই ব্যক্তির জীবনে কোনাে কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। ব্যক্তির ক্ষেত্রে একথা যেমন। সত্য তেমনি সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও ততধিক সত্য। মানুষের জীবনে সাফল্য ও ব্যর্থতা সবকিছু নির্ধারণ হয় তার কর্মফলের উপর, কোনাে আলাপ আলােচনার ভিত্তিতে নয়। কোনাে ঘটনা বর্ণনার মধ্যে দিয়ে নয়। বিচার বিশ্লেষণ করে ফল নির্ধারণ করা যায় না। জ্ঞান কিভাবে সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগানাে যায় এ বইটিতে সে শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র।