অনেক, অনেক দিন আগের কথা। এক বিধবা। তার দুটি কচি ছেলে-চাঁদ ও সুরুজ। বিধবা চরকায় সুতা কাটে আর বেঁচে। এই দিয়ে অতি কষ্টে তারা দিন গুজরান করে। সােনার ছেলে চাঁদ। যেমন রূপ, তেমনি গুণ। ফুটফুটে চেহারা। মিঠা জবান। নরম দি সে সকলকেই ভালবাসে। সুরুজ এর উল্টা। সে যখন তখন রেগেমেগে আগুন হয়ে ওঠে। সারাদিন ঝগড়াঝাটি করে। কদিন থেকে মায়ের অসুখ। মা বড় ছেলে সুরুজকে ডেকে বললঃ বাবা, ঘরে এক মুঠো চাল নেই। কোন ধনীর বাড়িতে গিযে গরু বাছুর রাখলেই কিছু খাবার পাবে। দু'ভাই মিলেমিশে খেয়াে। সুরুজ বললােঃ আমি গরু রাখবাে, আর তােমার ননীর পুতুল বসে বসে খাবে ? ও হবে না। এই বলে সে রাগে গরগর করে চলে গেলাে। মা ছােটছেলে চাঁদকে ডেকে বললােঃ বাবা, ঘরে এক মুঠো চাল নেই। কোন ধনীর বাড়িতে গিয়ে ফাইফরমাশ খাটলেই কিছু খাবার পাবে। দু’ভাই মিলেমিশে খেয়াে। চাদ চলে যায়। মা পথপানে চেয়ে থাকে। দর দর করে তার চোখের পানি ঝরে পড়ে। দুধের বাচ্চা চাঁদ। ফরমাশ খাটবারও বয়স হয়নি তার। কোন মা এমন দুধের বাচ্চাকে পরের বাড়ি খাটতে পাঠায়? গরু রাখার পর সুরুজ বাড়ি ফিরে এলাে। মা জিগগেস করলােঃ বাবা, ওরা খেতে দিয়েছে তাে? দু’ভাই মিলেমিশে খেয়েছ তাে? সরুজ রাগে গরগর করতে করতে জবাব দিলাে” আমি গরু রাখবাে, আর তােমার ননীর পুতুল বসে বসে খাবে। ও হবে না।