বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির জাতীয় চেতনার মহান কবি, মহাকালের মহামানব। তিনি জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত। তাঁর জীবনদর্শন ও বেড়ে ওঠা যে-কোনো বাঙালির কাছেই ঈর্ষণীয়। ইতিহাস তাঁকে মহান করেছে মহত্বের জন্য, সর্বজনীন আদর্শ ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার দৃঢ়তায়। তাঁকে নিয়ে যে-কোনো ধরনের বিরূপ মন্তব্য নিজের গালে নিজেরি চপেটাঘাতের মতো। তবে তাঁকে অথবা যে-কোনো আদর্শকে স্বীকার করে নিয়ে তার ভুল-ত্রুটি তুলে ধরা যেতে পারে, এতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু সমস্যা হয়, যখন একজন সেক্টর কমান্ডারের সঙ্গে তাঁকে তুলনা করা হয়, অথবা তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিকজীবনকে আলোচনায় না-এনে ঢালাওভাবে অন্য একজনকে হঠাৎ করে স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে প্রতিষ্ঠার আপ্রাণ চেষ্টা চলে। এটি নির্লজ্জতা, জাতির সঙ্গে চরমতম বিশ্বাসঘাতকতা। যদিও বাঙালির এ-দুটি স্বভাবই বেশ প্রখর ও টনটনে। সে-কারণে আমাদের গ্রহণ ও ত্যাগের তান্ত্রিকতা এককথায় আধুনিক নয়, কুসংস্কারাচ্ছন্ন।
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি অর্থাৎ আমি ভালোবাসি আমার দেশকে, আমার ভাষাকে, আমার এতদঞ্চলের মানুষকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভালোবাসতেন তার দেশকে, তার ভাষাকে, দেশের মানুষকে। এই মহান মানুষকে নিয়ে আমাদের দেশের নানা মতাদর্শের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত লেখার একটি ক্ষুদ্র সমন্বয়-সমগ্র স্বাধীনতার ঘোষক, সংবিধান এবং বঙ্গবন্ধু। শিরোনামের কারণেই এখানে বিষয়ভিত্তিক লেখাও রয়েছে, আছে বাঙালির আত্মানুসন্ধানের প্রকৃত ইতিহাসও।
কবিতা রচনা দিয়ে সাহিত্যযাত্রা, গান-গল্প-প্রবন্ধ-ছড়া-চিত্রনাট্য-কলাম প্রভৃতি লিখে চলেছেন। আধুনিক বিশ্বে ভয়ঙ্কর দুটি শক্তি : রাজনীতিক ও যাজক, তাদের ভণ্ডামির বিরুদ্ধে তুলে ধরেছেন কলম-সম্ভাবনা গদ্য-পদ্য, লিখছেন খোলামত ও মতাদর্শ।