"বিভং" বইটিতে লেখা শেষের কথা: ভেবে দেখুন, বাংলাদেশের প্রথম নভােচারি আপনি, উৎসাহে টগবগ করছেন আর কদিন পরেই রকেটে চড়ে বসার জন্য। কিন্তু ঠিক এই সময়েই আবিষ্কার করলেন একটা খুনের দায়ে ফাঁসানাে হচ্ছে আপনাকে, স্পেস স্টেশনের বদলে হয়তাে যেতে হবে জেলে। লাশ গুম করবেন কিভাবে? আর স্পেস স্টেশনে যেতে পারলেও শান্তি নেই—আপনি জানেন না আমেরিকান এবং রাশিয়ান নভােচারিরা কি গােপন মিশন নিয়ে এসেছে, তারা মহাকাশেই একে অন্যকে মারার জন্য উঠেপড়ে লাগবে কিনা। অভিনব কোনাে বিধ্বংসী মারণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে কি তারা? কেনই বা আপনার এক সহকর্মী উদ্ভট আচরণ করতে শুরু করলাে? মহাকাশ থেকে আসা রহস্যময় কোনাে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কি? বিভং কাকে বলে? এদিকে, যে মহাশক্তিধর অশুভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের হাত থেকে কয়েক দিন আগেই মুক্তি পেয়েছে মানুষ, সে আবার ফেরার চেষ্টা করছে না তাে? পৃথিবীব্যাপী তার সমর্থকরা কিসের আশায় বিশৃঙ্খলা চালাচ্ছে? সবচেয়ে বড় কথা, সবকিছু বিগড়ে গেলে কিভাবে নিজেকে বাঁচিয়ে পৃথিবীতে ফিরবেন আপনি? সুপারন্যাচারাল-থলার শ্বাপদ সনে দিয়ে শুরু, তারপর স্পাইথুলার বাজিকর আর বাজি দিয়ে পাঠকপ্রিয় লেখক নাবিল মুহতাসিম এবার টান টান উত্তেজনার সায়েন্সফিকশন-থৃলার বিভং নিয়ে হাজির পাঠকের সামনে।
নাবিল মুহতাসিমের বাড়ি রংপুরে। তার বাবা উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা, মা একজন গৃহিনী। পড়াশােনা কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে। কার্ল সাগান, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি আর ইতালীর জাতীয় ফুটবল দলের মহাভক্ত এই তরুণ পড়াশােনার পাশাপাশি গৃলারধর্মী বই পড়তে ভীষণ ভালােবাসেন তিনি। বর্ন লিগ্যাসি তার প্রথম অনুবাদগ্রন্থ। ভবিষ্যতে আরাে লেখালেখি করার ইচ্ছে আছে।