বাংলাদেশের রাজনীতিতে কয়েকজন অবিসংবাদিত নেতা ও রাজনীতিবিদ বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন এবং যাঁদের স্মরণ করে আমরা কৃতার্থ ও ধন্য হই। এর মধ্যে শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশেষভাবে স্মর্তব্য। কিন্তু যে-কথা বলা দরকার, তা হলো-ইতিহাস অনুসন্ধানে এই চার নেতার মধ্যে প্রথম তিনজনের অবদানকে খাটো না-করেই কিছু-না-কিছু প্রশ্ন তোলা যায়, তাদের কর্তব্য-পরায়ণতা এবং দেশ ও মানুষের পক্ষে নীতি-নির্ধারণী অনেক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে। কিন্তু সবাইকে ছাড়িয়ে একজন মাত্র মানুষ, যিনি দেশ ও জনগণের সঙ্গে কোনোদিন কোনো বিষয়ে কোনো প্রকার বেইমানি করেননি-তাঁর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে থেকে বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে আজীবন রাজনীতি ও সংগ্রাম করে গেছেন। বাহাত্তরে ক্ষমতায়নের পরে প্রশাসনিক স্তরে বেশকিছু দুর্বলতা ও স্বজনদের সুপথে নিয়ন্ত্রণে কিছুটা ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হলেও, তিনি কখনো বেইমানদের সঙ্গে হাত মেলাননি, আঁতাত করেননি কোনো দেশদ্রোহী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গেও। এই সমগ্র জায়গায় তিনি বাংলার মহানায়ক ও অবিসংবাদিত নেতা। তাঁকে ঘিরেই এ গ্রন্থ হীরকজৌতি ছড়িয়েছে।
কবিতা রচনা দিয়ে সাহিত্যযাত্রা, গান-গল্প-প্রবন্ধ-ছড়া-চিত্রনাট্য-কলাম প্রভৃতি লিখে চলেছেন। আধুনিক বিশ্বে ভয়ঙ্কর দুটি শক্তি : রাজনীতিক ও যাজক, তাদের ভণ্ডামির বিরুদ্ধে তুলে ধরেছেন কলম-সম্ভাবনা গদ্য-পদ্য, লিখছেন খোলামত ও মতাদর্শ।