বিজ্ঞানের এক একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার, মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশে এক একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। নিউটনের গতির সূত্রগুলাে থেকে শুরু করে আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব, বিদ্যুতের আবিষ্কার থেকে শুরু করে আজকের যুগের ইন্টারনেট বললে দিয়েছে পৃথিবীব্যাপী মানুষের জীবনাচার। ডারউইনের বিবর্তনবাদ যেমন বিপ্লব এনেছে মানুষের চিন্তা-চেতনায়, আলেকজাণ্ডার ফ্লেমিং-এর পেনিসিলিন যেমন মানুষের জীবনকে দিয়েছে বিস্তৃতি, ঠিক তেমনি জীবনের বংশগতির ধারক-বাহক হিসেবে ডিএনএ অণুর ভূমিকা মানব সভ্যতাকে করেছে মহিমান্বিত। আর তারই ধারাবাহিকতায় বিগত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে আবিষ্কৃত ডিএনএ অণুর দ্বিসূত্রক নান্দনিকতা এবং প্রায়ােগিক ও মৌলিক গবেষণায় তার অবারিত ব্যবহার ছাপিয়ে গেছে অতীতের সবকিছু। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ প্রযুক্তির সফল ব্যবহার আজ স্পর্শ করেছে মানুষের প্রত্যহ জীবন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে অমরতার দিকে ধাবিত করা থেকে শুরু করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের ক্ষুধামুক্তি, পরিবেশ দূষণ থেকে মুক্তির উপায় হতে শুরু করে বিবর্তনবাদ নিয়ে গবেষণায় ডিএনএ-এর ব্যবহার নিয়ে এসেছে নতুন ছন্দ। আর সে ছন্দে আজকের সভ্যতা বিমােহিত। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রাথমিক বিষয় থেকে শুরু করে ইউজেনিক্স, স্টেমসেল প্রযুক্তি, ক্লোনিং, জিন থেরাপি, জিএমও, এবং জিএম খাদ্যের মতাে বিষয়গুলাে উক্ত বইয়ে সহজভাবে বিবৃত করা হয়েছে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অধ্যয়নরত শিক্ষর্থী ছাড়াও এ বিষয়ে উৎসুক মানুষের কৌতূহল নিবারণে এই বইটি যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।