মাঝেমধ্যে টের পাই মাথার মধ্যে একরাশ কুয়াশার মতাে জমাট বাধে স্মৃতি। মানুষের মস্তিষ্ক। এক অদ্ভুত পাললিক ভূমি এখানে আস্তরে আস্তরে জমে থাকে যাপিত জীবনের কঙ্কালচিহ্ন। হাতের। পাঞ্জার ক্ষয়িষ্ণু আয়ুরেখা ধরে ধরে আমরা হেটে যাই। কোথায় যাই? পথের শেষে কে অপেক্ষায় রয়েছে। আমাদের? মৃত্যু ছাড়া কোনাে ব্যতিক্রম মেলে না, তবুও কী উল্লাসে পান করি জীবন! অথবা পান। করি জীবন নামক এক সুস্বাদু হেমলক! রাত্রির অন্ধকার যাপন শেষেই রেড ওয়াইন হাতে অংশগ্রহণ করি স্বাস্থ্যবান পৃথিবীর রূপবতী জলসায়। জলসার মাদকতায় পা টলতে শুরু করলে বন্ধুর কাধে হাত রেখে দাড়াই পরম বিশ্বাসে। অথচ নেশা কেটে গেলেই দেখি পাশে। দণ্ডায়মান জিবরাইল, হাতে নিয়ে সায়ানাইড শিঙা। তার চোখেমুখে জল্লাদের ক্রোধ। পালাতে পালাতেই আবার মেতে উঠি রুটি ও। যৌনতার খোঁজে। সিরিয়া কিংবা নাসিরনগরের কথা আমার মনেও পড়ে না। মনে পড়ে না হলি আর্টিজান। আমার নতজানু শিশ্ন উত্থিত হলেই ভেঙে যায় সভ্যতার সকল অর্গল। পাকস্থলীর চেয়ে সুবৃহৎ কোনাে পৃথিবী নেই। শিশ্নের চেয়ে শক্তিমান কোনাে ঈশ্বর নেই। এখানে এসে ক্ষয়কাশিতে সম্মিলিতভাবে ধুকতে থাকে রাষ্ট্রযন্ত্র কাটাতার পুজিবাদ সমাজতন্ত্র ও মহামান্য। ধর্মাবতারগণ।। তবে আমি কিংবা আমরা যাপন করছি কী? পান। করছি কোনাে অমৃত যা আমাদেরকে উপহার। দিচ্ছে প্রাগৈতিহাসিক মৃত্যুর মহিমা?। প্রতিদিন ভােরে এক বিশ্রী ঘেউ ঘেউ শীকারে আমার ঘুম ভেঙে যায়। চোখ কচলে নিয়ে দেখি। বাড়ির দক্ষিণদিকে আমার পিতা ও পিতামহের কবরের পাশ দিয়ে ধানখেতের আইল ধরে হেঁটে যায় বৃদ্ধ বাউল। তার একতারা গেয়ে ওঠে। ‘মন রে কৃষিকাজ জানাে না। এমন মানবজমিন রইল পতিত। আবাদ করলে ফলত সােনা।