"বাবলীদের ভয়ঙ্কর অ্যাডভেঞ্চার " বইয়ের পেছেনের কভারে লেখা:বাবলীদের কাজের মেয়ে সুন্দরী হাসপাতাল থেকে উধাও। শুরু হয় খোজাখুঁজি। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় বাবলী তার দলবল নিয়ে নেমে পড়ে সুন্দরীকে খুঁজতে বাবলী, আয়েশা এ্যানি, মাধবীলতা, শুভ, পারভেজ, প্রতিবন্ধী মেয়ে সােহানা- এসব ক্ষুদে গােয়েন্দার চোখে ঘুম নেই। কারা কিডন্যাপ করল সুন্দরীকে? শ্বাসরুদ্ধকর কাহিনি এগিয়ে চলে। বাবলীদের মুক্তিযােদ্ধা দুখ কাকা, যিনি '৭১-এর স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ হওয়া স্ত্রী, সন্তানের স্মৃতিচারণ ও মুক্তিযুদ্ধের রুদ্ধশ্বাস সব গল্প শােনান। বাচ্চু খোড়াএকজন ভয়ঙ্কর মানুষ। শিশুদের অপহরণ করে হাত-পা কেটে পঙ্গু করে দেয় আর কন্যা শিশুদের মুখ অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দেয়। তারপর এদের ভিক্ষাবৃত্তিতে নামায়। এই ভয়ঙ্কর লােকটি আর বাবলীরা এখন মুখােমুখি। কী হবে এরপর...? রুদ্ধশ্বাস সব ঘটনা একের পর এক ঘটে চলে। বারবার বিপদের মুখােমুখি হয় বাবলী ও তার দলবল। চারদিকে রহস্যের গন্ধ! দুর্ধর্ষ সব ঘটনার মুখােমুখি হওয়া, আবার বুদ্ধি বের করে বিপদ থেকে মুক্ত হওয়া বুকের ভেতর হিম হয়ে আসা রুদ্ধশ্বাস কাহিনি। পাঠককে আনন্দ দেয়ার মতাে একটি উপন্যাস এটি।
জন্ম চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে। সে দিনটি ছিল ১৯৭৩ সালের ৩ জুলাই। মাত-উন্তী বিবি, বাবা : জয়নুল আবেদীন। শ্রম, সাধনা, ইচ্ছাশক্তি ও একাগ্রতাই তাঁর লেখালেখি জীবন চালিয়ে যাবার মূলশক্তি। সংসারের অভাব-অনটনের জন্য অষ্টম শ্রেণীতেই তাঁর পড়াশোনার ইতি ঘটতে যাচ্ছিল। কিন্তু তিনি থামেননি। জীবন ঘষে আগুন জ্বালাবার ব্রত নিয়ে ছুটে চলেন এ শহর থেকে ও শহরে। স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়তে তাঁকে টিউশনির ওপরই ভরসা করতে হয়। পেশা হিসেবে শুরু করেন সাংবাদিকতা। বর্তমানে বহুল প্রচারিত একটি দৈনিক পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। মানুষের মনোজগৎকে তিনি জীবন্তভাবে ফুটিয়ে তোলেন তাঁর লেখা উপন্যাস ও গল্পের চরিত্রগুলোতে। তিনি শিশু-কিশোরদের ভালোলাগা-মন্দলাগার বিষয়গুলো এবং তাদের জীবনের সুখ-দুঃখ-বেদনা উপলব্ধি করতে পারেন গভীরভাবে। তাঁর লেখা উপন্যাস-গল্পের কাহিনী শিশু-কিশোর, তরুণ, বৃদ্ধ সবার হৃদয়ে নাড়া দেয়। আগামী প্রজন্মকে বাঙালির সংস্কৃতি, বিজ্হান, ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়ে থাকেন তাঁর লেখার মাধ্যমে।