মানুষ স্বপ্ন দেখে। কখনাে রাতঘুমে আচ্ছন্ন থাকা পাতাবন্ধ একজোড়া চোখে, আবার কখনাে চোখ মেলে কল্পনার বিস্তৃতি নিয়ে কিছু স্বপ্ন পূরণ হয়, কিছু আবার ভেঙে যায়। রাতঘুমের সেসব ভেঙে যাওয়া স্বপ্নগুলােকে দুঃস্বপ্ন বলে এড়িয়ে যাওয়া যায়। খােলা চোখের স্বপ্নগুলাে অন্যরকম। এরা কোন দুঃস্বপ্নের দোহাই মানতে চায় না। পূরণ না হওয়া এই স্বপ্নগুলাের জন্য মানুষের কষ্ট হয়, সে প্রতি মুহূর্তে তড়পায় স্মৃতির কাছে জীবনটা এখন দুঃস্বপ্নের মত লাগে। কিন্তু সে চাইলেও রাতঘুমের স্বপ্ন ভেবে এই দুঃস্বপ্নের জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। তবুও অদম্য এক সাহসে, নতুন। উদ্দীপনা নিয়ে সে বাঁচে। মুহূর্তেই রুমনকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চিন্তা তার মাথা থেকে দূর হয়ে যায়। তাঁর মনে পড়ে দেশের নামে নেয়া শপথের কথা, মাহিমের জীবন দেওয়ার কথা, আশফাকের পা হারাবার কথা। তার কানে বাজে অসংখ্য ধর্ষিত মেয়ের চিঙ্কার। নিমিষের মধ্যেই স্মৃতির ভেতরটা জ্বলে ওঠে। কিন্তু তবুও স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন না নিয়ে মানুষের বাচাটা বড় দায়। স্বপ্ন দেখে রুমনকে নিয়ে নতুন করে বাঁচবার, সে স্বপ্ন বােনে, স্বপ্ন সাজায় একটা স্বাধীন দেশে রুমনকে স্বাধীনভাবে মানুষ করবার। সূর্য মায়া আর স্বপ্নের বিনিসূতােয় সে নিজের স্বপ্নগুলাে গাঁথে, একটু একটু করে লালন করে।